পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে এ সংক্রান্ত একগুচ্ছ নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
newsbdd.blogspot.com। দেশের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম। কোটিপতি হওয়ার গল্প, সাফল্য, নিউজ, খবর, সংবাদ, হিরো, শীর্ষ।
Monday, May 30, 2022
Wednesday, May 25, 2022
সাকিবের দুই প্রতিষ্ঠান কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বাদ দেয়ার পরামর্শ বিএসইসি'র
Sunday, May 22, 2022
পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে নতুন যে উদ্যোগ
পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে নতুন যে উদ্যোগ
Wednesday, May 11, 2022
কোন কোন ব্যাংকের লভ্যাংশ কমলো-বাড়লো
দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৩টি ব্যাংকের মধ্যে এক–তৃতীয়াংশ বা ১১টি ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে। আর অধিকাংশ ব্যাংক আগের বছরের মতোই লভ্যাংশ দিয়েছে। তবে লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ব্যাংক আগের বছরের অবস্থায় থাকলেও শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কিন্তু বেড়েছে দুই–তৃতীয়াংশ তথা ২২ ব্যাংকের।
চলতি বছরের প্রথম দিকে এসব ব্যাংক তাদের গত বছরের লভ্যাংশ ও আর্থিক তথ্য প্রকাশ করেছে। দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৩টি ব্যাংকের মধ্যে ১১টির লভ্যাংশ আগের বছরের চেয়ে গত বছর বেড়েছে। লভ্যাংশের পরিমাণ কমেছে ৬টি ব্যাংকের, আর অপরিবর্তিত ছিল ১৩টির। আর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস বেড়েছে ২২টির। তার মানে এই ব্যাংকগুলোর মুনাফা আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। আর মুনাফা কমায় ইপিএস কমেছে ১০ ব্যাংকের। এ ছাড়া আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়েছে। এমনিতেই ব্যাংকটির ইপিএস ঋণাত্মক ছিল। ২০২১ সালে এসে তা আরও বেড়েছে।
২০২০ সালের চেয়ে ২০২১ সালে যে ১১টি ব্যাংক বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সেগুলো হচ্ছে—দ্য সিটি, মার্কেন্টাইল, এনসিসি, এনআরবিসি, প্রিমিয়ার, প্রাইম, শাহজালাল, সাউথইস্ট, স্ট্যান্ডার্ড, ট্রাস্ট ও উত্তরা ব্যাংক। এসব ব্যাংকের লভ্যাংশ আগের বছরের চেয়ে সর্বনিম্ন ১ থেকে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। নগদ ও বোনাস মিলিয়েই তাদের লভ্যাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো সাধারণত আর্থিক বছর শেষে নগদ অথবা বোনাস আকারে কিংবা দুভাবেই লভ্যাংশ ঘোষণা করে থাকে। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি ব্যাংকের মালিকানার সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তা–পরিচালকেরা এই লভ্যাংশ পান।
শেয়ারবাজারের বর্তমান বিধান অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর আর্থিক বছর শেষ হয় জুন কিংবা ডিসেম্বরে। আর্থিক বছর শেষ হওয়ার পর পরবর্তী বছরের কয়েক মাসের মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হয়। আর ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণ করা হয় বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদনের পর। নগদ লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা থেকে সরাসরি নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। আর বোনাস লভ্যাংশ হিসেবে দেওয়া হয় কোম্পানির শেয়ার। বোনাস শেয়ারের কেনাবেচাও হয়ে থাকে সাধারণ শেয়ারের মতো। লভ্যাংশ ঘোষণার পর নির্ধারিত রেকর্ড তারিখে যার হাতে যত শেয়ার থাকে, তিনি ওই হিসেবে লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন।
২০২১ সালে ছয়টি ব্যাংকের লভ্যাংশের পরিমাণ ২০২০ সালের চেয়ে কমেছে। সেগুলো হচ্ছে—ব্যাংক এশিয়া, ডাচ–বাংলা, ইস্টার্ন, ওয়ান, রূপালী ও সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক।
লভ্যাংশ অপরিবর্তিত থাকা ১৩টি ব্যাংক হলো—এবি, আল–আরাফাহ্, ব্র্যাক, ঢাকা, এক্সিম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, আইএফআইসি, ইসলামী, যমুনা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পূবালী, সোশ্যাল ইসলামী ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। এর বাইরে আইসিবি ইসলামিক ও ন্যাশনাল ব্যাংক ২০২১ সালের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। আর নতুন তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ব্যাংক গত বছরের জন্য নগদ ও বোনাস মিলিয়ে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ইউনিয়ন ব্যাংক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে গত বছরের জানুয়ারিতে।
এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০২১ সালে বেশ কয়েকটি কারণে ২০২০ সালের তুলনায় ব্যাংকগুলোর মুনাফা বেড়েছে। গত বছর শেয়ারবাজার থেকে ভালো মুনাফা এসেছে। এ ছাড়া করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গত বছর ব্যাংকের মূল ব্যবসায়ও ভালো হয়েছে, আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু নীতি–সিদ্ধান্তও ব্যাংকগুলোর মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। গত বছর প্রবাসী আয় ভালো থাকায় ব্যাংকগুলোর আমানত সংগ্রহের খরচও কমেছে। সব মিলিয়ে বছর শেষে ব্যাংকগুলোর আয় বেড়েছে। এ জন্য তারা ভালো লভ্যাংশ দিতে পেরেছে।