newsbdd.blogspot.com। দেশের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম। কোটিপতি হওয়ার গল্প, সাফল্য, নিউজ, খবর, সংবাদ, হিরো, শীর্ষ।
Tuesday, December 31, 2019
Friday, December 27, 2019
Sunday, December 22, 2019
Thursday, December 19, 2019
Wednesday, December 18, 2019
Monday, December 16, 2019
Wednesday, December 11, 2019
Sunday, December 8, 2019
Tuesday, December 3, 2019
Wednesday, November 20, 2019
Tuesday, November 19, 2019
Sunday, October 27, 2019
নিয়ন্ত্রণহীন পিয়াজের বাজার দেখবে কে
এদিকে বাজারে কার্যকর নজরদারি নেই। খোলাবাজারে পিয়াজ বিক্রি করেও দাম কমাতে পারছে না সরকারি সংস্থা টিসিবি। অবশ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, পিয়াজের বাড়তি দাম ঠেকাতে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছে। অন্তত দুই হাজার বিক্রেতাকে শাস্তি দিয়েছে তারা। কিন্তু এর পরও মিলছে না সুফল। অতিরিক্ত দামে পিয়াজ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ভোক্তাসাধারণ।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর পিয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এরপর সরকারের তৎপরতায় মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এতে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তা হলে বোঝা যাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীই ইচ্ছা করে দাম বাড়াচ্ছেন। সরকারকে সেই জায়গায় নজরদারি করতে হবে। তারা মনে করেন, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে বাজারে এমন অযৌক্তিক মূল্য অব্যাহত রয়েছে।
বাজারে দেখা গেছে, ভারত রপ্তানি বন্ধ করলেও মিয়ানমার ও মিসর থেকে আসছে পিয়াজ। এরপরও দাম কমছে না। উল্টো দফায় দফায় বাড়ছে। বৃষ্টির অজুহাতে শুক্র ও শনিবার দুই দফায় পিয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল পাইকারি বাজারে দেশী পিয়াজের প্রতিকেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে পিয়াজের দাম বাড়ছে।
এদিকে গতকাল চট্টগ্রামে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমি আশাবাদী এক সপ্তাহের মধ্যে মিশরের পিয়াজ চলে আসবে। যদি আসে তা হলে হয়তো আমরা ৮০ টাকার মধ্যে পিয়াজ সরবরাহ করতে পারবো। তবে কষ্টটা বোধ হয় আমাদের আরো একটা মাস করতে হবে। কারণ আমাদের নিজেদের (পর্যাপ্ত পিয়াজ মজুদ) নেই।
রাজধানীর কাওরান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি পিয়াজের জন্য গুনতে হচ্ছে ১২০ টাকা পর্যন্ত, যা এক দিন আগেও ছিল ১১০ টাকা। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে পিয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। দেশী বা আমদানি সব ধরনের পিয়াজের দামেই ঊর্ধ্বগতি। গত এক মাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ১২০ টাকায় উঠল পিয়াজের দাম।
ঢাকার বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে মিসর থেকে আসা পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা, যা শুক্রবার ছিল ৮০-৯০ টাকার মধ্যে। শুক্রবারের আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। মিসরের পিয়াজের পাশাপাশি বেড়েছে দেশি ও ভারতীয় পিয়াজের দাম। দেশি পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা, যা শুক্রবার ছিল ১০০-১১০ টাকা। শুক্রবারের আগে ছিল ৭৫-৮০ টাকা। শুক্রবারের আগে ৬০-৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ভারতীয় পিয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা।
পিয়াজের আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পিয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মাজেদ বলেন, আমরা যত কথাই বলি, ভারতের পিয়াজ আমদানি শুরু না হলে দাম কমবে না। কারণ আমরা অন্যান্য দেশ থেকে পর্যাপ্ত পিয়াজ পাচ্ছি না। আবার আমদানিও করতে হচ্ছে চড়া দামে।
তবে আরেক আমদানিকারক বলেন, বাজারে কিছু সমস্যা হচ্ছে। যেমন, মিসরের পিয়াজ আমদানিকারকরা ৮০-৮২ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন। সেটা খুচরা বাজারে ৯০ টাকা থাকার কথা। তবে এ পিয়াজও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিয়ানমারের পিয়াজ ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আড়তে। সেটা খুচরায় ১০০-১০৫ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এটিও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অস্থিরতার বাজারে এ সুবিধা বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা নিচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, আগে দিনে ভারত থেকে সাড়ে ছয় হাজার টন পিয়াজ আসত। এখন সেখানে মিয়ানমার থেকে দিনে ২৫০-৩০০ টন পিয়াজ আসছে। অন্যান্য দেশ থেকে আরো কিছু পিয়াজ আসছে। তবে সেটা পর্যাপ্ত নয়।
রাজধানীর কাওরান বাজারের পাইকারি আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, দেশি, ভারতীয়, মিসর ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে। মেসার্স মাতৃভা-ার ৫৬ নম্বর আড়তের মূল্যতালিকায় দেখা গেল, দেশি পিয়াজ ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, ভারতীয় পিয়াজ ১১৫ টাকা, মিসরের পিয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পিয়াজের দাম কেন কমছে না জানতে চাইলে আড়তের বিক্রেতা লোকমান হোসেন বলেন, পিয়াজ আমদানি কমে গেছে। দেশি পিয়াজের মজুদও কম। সব মিলিয়ে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। যে কারণে দাম বাড়তি। আরেক আড়তদার বলেন, বাজারে যারা প্রভাব বিস্তার করছেন, তারা অনেক বড় ব্যবসায়ী। তাদের ধরা উচিত।
এদিকে খুচরা বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২৫ টাকায়। শুক্রবারও এই দামেই বিক্রি হয় দেশি পিয়াজ। তবে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে আমদানি করা পিয়াজ। ভালো মানের আমদানি করা পিয়াজ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা, যা শুক্রবার ছিল ৮০-৯০ টাকা।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনে মিয়ানমার থেকে যে পিয়াজ আমদানি হচ্ছে, সেগুলোর দাম পড়ছে প্রতি কেজি ৪২ টাকা। একই পিয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। এর আগে ভারতীয় পিয়াজ আমদানি হয়েছে ৭২ টাকা কেজি দরে। বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। মিসরের পিয়াজ আমদানি হয়েছে ২৫ টাকা কেজি দরে, বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
আমদানি তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২৯শে সেপ্টেম্বর ভারত সরকার কর্তৃক পিয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হলেও ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে ১৯শে অক্টোবর পর্যন্ত ২০ দিনে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৮ হাজার ৫৬৮ টন পিয়াজ। এ সময়ে মিয়ানমার থেকে ১২ হাজার ৮৪৯ টন, মিসর থেকে ৫৬২ টন এবং চীন থেকে ৫২ টন পিয়াজ আমদানি করা হয়। সব মিলিয়ে ২০ দিনে পিয়াজ আমদানি হয়েছে ২২ হাজার টন।
মগবাজার মধুবাগ কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, ওই বাজারে ৮ থেকে ১০ জন বিক্রেতা। তাদের মধ্যে ৫ জনের কাছে পিয়াজ আছে। আর বাকিদের কাছে পিয়াজ নাই। তাদের একজন জানালেন, 'দাম বেশি, গ্রাহকরা ঝামেলঅ করে, তাই বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। পিয়াজ বিক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে পিয়াজের অভাব নাই। দামটা বেশি, এটাই সমস্যা।
বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজার থেকে চাহিদা অনুযায়ী পিয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে অনেকেই পিয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। তারা বলেন, বৃষ্টির কারণে পিয়াজের দাম বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার শ্যামবাজার থেকে যে পিয়াজ ৮০ টাকা কেজি কিনেছি, এখন তা ১২০ টাকা। সামনে হয়তো আরো বাড়তে পারে। কিন্তু কিছুদিন পরই বাজারে নতুন পিয়াজ আসবে, এ পরিস্থিতিতে পিয়াজের দাম বাড়ার যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ নেই। মূলত শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীদের কারণেই দাম বাড়ছে। শ্যামবাজারে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নিলেই দেখবেন দাম কমে গেছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গেল ২৬ দিনে মিয়ানমার থেকে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার টন পিয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানির এ হার আগের চেয়ে বাড়ছে।
গ্রাহকরা জানান, ব্যবাসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। দাম যখন বেড়ে যায় তখনই সব দোকানদার একসঙ্গে বাড়ায়। এটা সম্ভব তখনই, যখন বিক্রেতারা একজোট থাকে।
কাওরানবাজারে আসা মতিন বলেন, বাজারে সরকারের নজরদারি নেই বললেই চলে। নজরদারি হলে অন্তত দিনে দিনে দাম বাড়তে পারে না।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) খোলাবাজারে ৪৫ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি করছে। কিন্তু তাতেও বাজারে কোনো প্রভাব পড়ছে না। প্রতিষ্ঠানটি এখন ঢাকার ৩৫টি স্থানে ট্রাকে করে পিয়াজ বিক্রি করছে। প্রতিটি ট্রাকে প্রতিদিন ১ হাজার কেজি করে পিয়াজ বিক্রির জন্য দেয়া হচ্ছে বলে জানান টিসিবির তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
গতকাল চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট ফেয়ারের (বিআইটিএফ) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেছেন, এবার আমাদের শিক্ষা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি বলেছেন খুব চেষ্টা করবেন পিয়াজ উৎপাদন বাড়াতে। আমাদের যেন আর বাইরের ওপর নির্ভর করতে না হয়। এবার হয়তো কষ্ট হবে। আশাকরি, আগামী বছর অবস্থার উন্নতি হবে। পিয়াজে ভারতনির্ভরতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাই তা না, আমরা নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। আমাদের সব চেষ্টা হলো আগামীতে যেন নিজেরাই এসব জিনিস উৎপাদন করতে পারি।
বাজার মনিটরিং প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মজুদকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি। সমস্যাটা হচ্ছে হঠাৎ করে চাপ দিলে তারা বিগড়ে গেলে মানুষের কষ্ট আরো বাড়বে। এদিকে চাপের কারণে কিছু পিয়াজ পচেও গেছে। আমরা বাজার মনিটরিং করতে যাই। কিন্তু কাউকে জেলখানায় নিয়ে ভরবো সেই রকম মানসিকতা নেই। আমরা তাদের প্রোঅ্যাকটিভ করতে চাই, বোঝাতে চাই। তাতে কিছু কাজ হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, সমস্যাটা আরো এক মাস থাকবে। মিশরের পিয়াজ ঢুকলে দাম কমে আসবে।
উল্লেখ্য, পিয়াজের বাজারের এ অস্থিরতার শুরু হয়েছিল ২৯শে সেপ্টেম্বর ভারতের পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। সে সময় পিয়াজের দাম কেজি ১৩০ টাকায় উঠেছিল। কিন্তু এটি আবার কমে ৭০-৯০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। দ্রুতই আবার ১০০ টাকা, পরের ধাপে ১১০ টাকা এবং সব শেষে গতকাল ১২০ টাকায় উঠে আসে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি করা হলেও দাম বাড়ার নেরাজ্য আর ঠেকানো যাচ্ছে না।
দেশে ছাগল কমেছে, বেড়েছে গরু
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি শুমারি ২০১৯ এর প্রাথমিক ফলাফলে এই চিত্র উঠে এসেছে। ওই শুমারিতে অবশ্য ভেড়া, মহিষ, হাঁস, মুরগি, টার্কির সংখ্যাও পাওয়া গেছে। রোববার এক অনুষ্ঠানে শুমারির প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করেছে বিবিএস।
শুমারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মোট পরিবারের (খানা) সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ১৮০টি। দেশে গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৫টি। হাঁসের সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ২১০টি এবং মুরগী রয়েছে ১৮ কোটি ৯২ লাখ ৬২ হাজার ৯১০টি।
Saturday, October 26, 2019
প্রিমিয়ার ব্যাংকের ২০ বছর উদযাপন
গতকাল রাজধানীর বনানীতে ইকবাল সেন্টারে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবাল। এ সময় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মঈন ইকবাল, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুস সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী, মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল, জামাল জি আহমেদ, উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রিয়াজুল করিমসহ ব্যাংকের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সমৃদ্ধিময় ২০ বছরের এই পথচলায় প্রিমিয়ার ব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি মানুষের আস্থাও অর্জন করেছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বড় একটি কেক কাটা হয়।
এরপর ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল বলেন, শুরুটা হয়েছিলো সেই ১৯৯৯ সালে। তারপর থেকে আমরা মানুষের বিশ্বাস, আস্থা ও ভালোবাসায় আজকের অবস্থানে এসেছি। আমাদের ব্যাংক দেশের বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সমৃদ্ধিময় উন্নয়নে সবার সাহায্য ও ভালোবাসা ছাড়া আমরা আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে পারতাম না।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রিয়াজুল করিম বলেন, সমৃদ্ধির এই পথচলা অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে আমাদের ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ নেমে এসেছে ৫ শতাংশের নিচে। এ ছাড়া অন্যান্য সূচকেও গত কয়েক বছরে ব্যাংকটি বেশ উন্নতি করেছে। গত এক বছরের ব্যবধানে আমাদের ব্যাংকের আমানতে ২২ শতাংশ, মুনাফায় ১৫ শতাংশের বেশি, রেমিট্যান্স আহরণে ৫৪ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আশা করছি, আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই ব্যাংকটি সব ধরনের সূচকে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি ব্যাংক হয়ে উঠবে।
ব্যাংকটির উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই অগ্রযাত্রায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ডা. ইকবালের নেতৃত্বে গত বিশ বছরে সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে প্রিমিয়ার ব্যাংক উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।
Thursday, October 24, 2019
ডুয়িং বিজনেস: ৯৯ দেশের মধ্যে প্রবেশের লক্ষ্য সালমান এফ রহমানের
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে 'ডুইং বিজনেস ২০২০' প্রতিবেদন প্রকাশকালে তিনি এ কথ বলেন। এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধান সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক ও অর্থ সচিব মো. আবদুর রউফ তালুকদার।
সালমান এফ রহমান বলেন, অতীতে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান খুব সামান্যই পরিবর্তিত হয়েছে। এবার অবশ্য ৮ ধাপ এগিয়েছে। আগে কখনো এত পয়েন্ট জাম্প আমরা করতে পারিনি। এছাড়া সবচেয়ে ভালো করা ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। এটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নতির প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে বেশি দিন হয়নি। বিশেষ করে, এ বছর আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পরই এই প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে সূচকের অগ্রগতি বা অবনতি সংক্রান্ত তথ্য নথিবদ্ধ করার শেষ সময় ছিল এপ্রিল মাস। সুতরাং আমাদের হাতে বেশি সময় ছিল না।
সালমান এফ রহমান বলেন, গত ৩/৪ বছর ধরেই এ নিয়ে কাজ হচ্ছিল। কিন্তু আমাদের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হচ্ছিল না। নিয়মটা হল, এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রতি বছরের যা রিফর্মস হয়, সেই রিফর্মসের উপর ভিত্তি করে তারা অক্টোবরে ফলাফল দেয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বিশ্ব ব্যাংক যখন র্যাংকিং শুরু করে, বাংলাদেশ খারাপ অবস্থানে ছিল।
সালমান এফ রহমান বলেন, তারপরও আমাদের প্রত্যাশা আরো বেশি ছিল। কারণ আমরা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অনেক পরিবর্তন এনেছি। তবে এই পরিবর্তনের সুফল মাঠপর্যায়ে পুরোপুরি যায়নি, কারণ মধ্যম ও নিচু সারির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এই পরিবর্তন স¤পর্কে অবহিত হননি অথবা মানিয়ে নিতে পারেননি। আমরা এখন এই পরিবর্তনের প্রায়োগিক বাস্তবায়নের ওপর জোর দিচ্ছি। যাতে সকল উপকারভোগী বাস্তবিক অর্থেই এই পরিবর্তনের সুফল পান। পামাপাশি আমরাও যেন সূচকে পূর্ণ নম্বর পাই। এছাড়া আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি। যেগুলো বাস্তবায়িত হলে আমাদের অবস্থানে ব্যাপক উন্নতি হবে। কিন্তু আইন সংশোধনের কাজ সময়সাপেক্ষ কেননা এক্ষেত্রে সরকারকে সকল আংশীজনের সঙ্গে শলাপরামর্শ করতে হয় ও তাদের উদ্বেগ ও পরামর্শ আমলে নিতে হয়।
অগ্রগতির জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ৮ ধাপ এগিয়ে এলেও আমরা মনে করব না এটা আমাদের অনেক বড় অর্জন। আমাদের লক্ষ্য আগামী বছর আমরা উল্লেখযোগ্য একটা অগ্রগতি চাই। আমরা টার্গেট করব যেন ডাবল ডিজিটে আসতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে এসসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আপনি যদি প্রতিবেদনটা দেখেন, ১০টা মানদ-ের মধ্যে অন্তত ৬০টি ইস্যুতে রিপোর্ট করতে হয়। প্রতিটাকেই কিন্তু গুরুত্ব দিতে হবে। সবগুলো ক্ষেত্রেই আমাদের উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কাজ করে গেলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একটি দেশের অর্থ-বাণিজ্যের পরিবেশ ১০টি মাপকাঠিতে তুলনা করে এই সূচক তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি বুঝতে ব্যবহার করা হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের তথ্য। এই ১০টি মাপকাঠি হল- নতুন ব্যবসা শুরু করা, অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি পাওয়া, বিদ্যুৎ সুবিধা, সম্পত্তির নিবন্ধন, ঋণ পাওয়ার সুযোগ, সংখ্যালঘু বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, কর পরিশোধ, বৈদেশিক বাণিজ্য, চুক্তি বাস্তবায়ন ও দেউলিয়া হওয়া ব্যবসার উন্নয়ন। সব মিলিয়ে ১০০ ভিত্তিক এই সূচকে বাংলাদেশের মোট স্কোর হয়েছে এবার ৪৫, যা গতবারের চেয়ে ৩.০৩ পয়েন্ট বেশি। গতবছর ৪১.৯৭ ছিল।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, ১০টি মাপকাঠির মধ্যে ৬টিতেই বাংলাদেশের স্কোর গতবারের চেয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে ঋণ পাওয়ার সুযোগে স্কোর বেড়েছে ২০ শতাংশ পয়েন্ট। ৪টি মাপকাঠিতে এবারের স্কোর গতবারের সমান। শুধু অবনতি হয়েছে দেউলিয়া হওয়া ব্যবসার উন্নয়ন ঘটানোর ক্ষেত্রে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ব্যবসা করা সহজ হয়েছে। বাংলাদেশের এতটা এগিয়ে আসার কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাংক বলছে, ব্যবসা শুরু করতে আগের চেয়ে খরচ কমেছে বাংলাদেশে। রাজধানী ঢাকাসহ শহর এলাকায় বিদ্যুৎ প্রাপ্তি সহজ হয়েছে। এছাড়া ঋণপ্রাপ্তির যাবতীয় তথ্য এখন সহজে, আরো বিস্তারিত আকারে পান উদ্যোক্তারা। তারপরও ব্যবসার পরিবেশে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। আফগানিন্তানের অবস্থান ১৭৩ তম। স্কোর ৪৪.১। এবারের সূচকে দেশটির অবনতি হয়েছে ৬ ধাপ।
ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষস্থানে আছে। ভারত সারা বিশ্বে ৬৩তম স্থানে আছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করায় ভারতের অবস্থানের ১৪ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়া ভুটান এ সূচকের ৮৯তম (স্কোর ৬৬), নেপাল ৯৪তম (৬৩.২), শ্রীলঙ্কা ৯৯তম (৬১.৮), পাকিস্তান ১০৮তম (৬১), মালদ্বীপ ১৪৭তম (৫৩.৩), মিয়ানমার ১৬৫তম (৪৬.৮) অবস্থানে রয়েছে।
এবারের প্রতিবেদনে অর্থ-বাণিজ্যের পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড; সূচকে তাদের স্কোর ৮৬.৮। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর ও হংকং। শীর্ষ দশে থাকা অন্য দেশগুলো হল- ডেনমার্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জর্জিয়া, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে ও সুইডেন। গতবারের মত এবারও সূচকে সোমালিয়ার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। আফ্রিকার এই দেশটির স্কোর ২০।
প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ডাবল-ডিজিটে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন সংস্কার ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে কো¤পানিজ অ্যাক্ট, ব্যাংক্রাপ্টসি অ্যাক্ট, আরবিট্রেশন অ্যাক্ট ও ইমারত নির্মান বিধিমালা, ইত্যাদি। এছাড়া সিকিউর্ড ট্রানজেকশন বিল প্রণয়ন, কমার্শিয়াল ডিসপিউট রিজ্যুলিউশন কোর্ট প্রতিষ্ঠা ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের রিস্ক প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে বর্ডার কমপ্ল্যয়েন্স-এ কার্যকরি পরিদর্শন ব্যবস্থা প্রনয়ণ করতে হবে।
Sunday, October 20, 2019
বীমা খাতেও দুরবস্থা, মেয়াদ শেষেও টাকা ফেরত পান না গ্রাহকরা
Thursday, October 17, 2019
শেয়ারবাজার টালমাটাল, বিনিয়োগকারীদের কান্না
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, বাজারের বর্তমান অবস্থা ১৯৯৬ এবং ২০১০ সালের ধসকেও হার মানিয়েছে। ওই দুই সময়ের ধসে বড় ধরনের সংস্কার এবং প্রণোদনা দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের দেখার কেউ নেই। এ অবস্থায় পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। ফলে নীরব কান্না চলছে শেয়ারবাজারে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। কোনো বিনিয়োগকারীই পুঁজি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। নতুন করে বিনিয়োগ তো আসছেই না, উল্টো অনেকে বড় লোকসান দিয়ে সমুদয় শেয়ার বিক্রি করছেন। যাদের লোকসান মাত্রাতিরিক্ত, তারাই লোকসান কমানোর আশায় এক শেয়ার বিক্রি করে অন্য শেয়ার কিনছেন। কিন্তু লোকসান তো কমছেই না, বরং লোকসানের পাল্লা বাড়ছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ডিএসই প্রধান সূচক প্রায় ৯ মাসে কমেছে ১ হাজার ২০০ পয়েন্ট। একই সময়ের ব্যবধানে বাজার মূলধন বা শেয়ারের বাজারমূল্য কমেছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। কারণ বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই। সূচক যেমন তলানিতে, আস্থাও তলানিতে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অতিমূল্যায়িত আইপিও পুঁজিবাজারকে অস্থির করে তুলেছে। অন্যদিকে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে বাজার প্রাণহীন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচকটি চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল গত ২৪শে জানুয়ারি। ওই দিন সূচক ছিল ৫ হাজার ৯৫০ পয়েন্টে ও বাজার মূলধন ছিল প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। গতকাল সেই সূচক নেমে এসেছে ৪ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে আর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ৯ মাসে সূচক কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ আর বাজার মূলধন কমেছে ১৪ শতাংশের বেশি। এছাড়া শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৬টি বা প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম এখন ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে এসেছে। এসব কোম্পানির বেশির ভাগই বর্তমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নিয়ে বাজারে এসেছে। অনুমোদন দেয়া নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন।
ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেছেন, তারল্য সংকট, আর্থিক খাতের খারাপ অবস্থা এবং গ্রামীণফোনের সমস্যার সমাধান না হওয়ার কারণে পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতন হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে যে তারল্য সংকট আছে সেটা রয়ে গেছে। ব্যাংকের সুদের হার এখনও বেশি। এটার নেতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারে আছে। গ্রামীণফোন পুঁজিবাজারের প্রায় ১০ শতাংশর মত। এটার সঙ্গে কর নিয়ে যে একটি সমস্যা সেটার সমাধান হয়নি। এসটার বড় প্রভাব ফেলছে বাজারে। শাকিল রিজভী মনে করেন, বাজারে এখন আস্থার সংকটই সবচেয়ে বড় সমস্যা। আর এই তিন সমস্যা দূর না হলে বাজারে আস্থা ফিরবে না। বিনিয়োগকারীলা বাজারমুখি হবেন না। বাজার স্বাভাবিক হবে না।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলামও শাকিল রিজভীর সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, ব্যাংকিং খাত ঠিক না হলে শেয়ার বাজার ঠিক হবে না। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে ব্যাংকিং খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭০ পয়েন্টে। গত সোমবার ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) বিনিয়োগের ঘোষণার পর মঙ্গলবার বড় উত্থান হলেও বুধবার আবার পতনে ফিরেছে শেয়ারবাজার। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৭৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩১৩ কোটি লাখ টাকার। যা গত কার্যদিবস থেকে ১১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩২৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। গতকাল ডিএসইতে ৩৫০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৫টির, কমেছে ১৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৫১১ পয়েন্টে। সিএসইতে টাকার অংকে ১৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।
বাজারের এমন আচরণে হতাশ সাধারণ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরাও। সংশ্লিষ্টরা জানান, মঙ্গলবার গুঞ্জন ছিল শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির শীর্ষ পদে বড় রদবদল হচ্ছে। ওই দিন বিকালেই অবশ্য জানা যায়, এটি গুজব। বাজারের বিপরীতমুখী অবস্থার ক্ষেত্রে এ খবরের যোগসূত্র রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এদিকে শেয়ারবাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যে পরিমাণ টাকার শেয়ার কিনছেন বিক্রি করে দিচ্ছেন তার থেকে বেশি।
সূত্র জানায়, শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে গত ১৬ই সেপ্টেম্বর বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এখানে আশ্বস্ত করব সবাইকে যে, আমরা পুঁজিবাজারকে সুশাসন দেব এবং আমরা গর্ভন্যান্সে ভালো করব। এভাবে আমাদের পুঁজিবাজারকে আমরা একটি শক্তিশালী বাজারে রূপান্তরিত করব। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়াতে নগদ অর্থ জোগান দেয়ার উদ্যোগ নেয়। এর বাইরে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা দিয়েছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা আইসিবিকে। আইসিবি ওই টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
এর পর সর্বশেষ 'বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ' অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন বলেছিলেন, সরকারি লাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো খুব শিগগিরই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে। কিছু ভালো লাভজনক প্রতিষ্ঠান দু-এক মাসের মধ্যেই বাজারে আসবে। এরপরও বাজারে পতন চলছেই। অর্থাৎ আস্থার সংকটে কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা সৃষ্টি করাই এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান কাজ।
অন্যদিকে শেয়ারবাজারে লেনদেন কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খোদ স্টক ব্রোকার মালিকরা। তাদের ব্যবসা সংকোচনের নামে কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছেন।
একজন ব্রোকার মালিক জানান, ২০১০ সালের পর দীর্ঘ সময়ে লোকসান দিয়ে হাউস পরিচালনা করেছেন। এর পর কোম্পানির রিজার্ভ থেকে কর্মকর্তাদের বেতন পরিশোধ করেছেন। এখন রিজার্ভের খাতা শূন্যের কোঠায় নামছে। ফলে বাধ্য হয়েই কর্মী ছাঁটাইয়ে যেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শাকিল রিজভী বলেন, পরিস্থিতি ভালো না। প্রতিদিনই লোকসান দিতে দিতে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও এতটাই কমেছে যে, তারা এর দিকে ফিরে তাকাতেও বিরক্ত বোধ করছেন। অনেক ব্রোকারেজ হাউস বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কারণ শেয়ার কেনাবেচা থেকে যে কমিশন আয় হচ্ছে, তা নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয়া তো দূরের কথা, দৈনন্দিন অফিস খরচই মেটাতে পারছে না। এভাবে কতদিন চলবে, তা কেউ বলতে পারছেন না।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী সোহেল হাসান বলেন, কয়েক মাস আগে একটি কোম্পানির শেয়ার ৬ টাকা ৭০ পয়সায় কিনেছিলেন। এখন সেই শেয়ারের মূল্য কমে ৪ টাকা ৫০ পয়সায় নেমেছে। আলোচ্য সময়ে তিনি পুঁজি খুইয়েছেন ৩৩ শতাংশ। তিনি বলেন, কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য কমেছে যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই।
হাসিবুল হাসিব নামের আরেক বিনিয়োগকারী একটি ভালো কোম্পানির শেয়ার কিনেছিলেন ৭৭ টাকা করে। সর্বশেষ সেই শেয়ারের মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকায়। আলোচ্য সময়ে তিনি পুঁজি হারিয়েছেন ৩৯ শতাংশ। আরেক বিনিয়োগকারী আতিকুল ইসলাম জাহিন স্পিনিংয়ের প্রতিটি শেয়ার কিনেছিলেন ৯ টাকা ৬০ পয়সায়। এখন সেই শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৫ পয়সা। আলোচ্য সময়ে তার পুঁজি হারিয়েছে ৪৩ শতাংশ। তিন মাসের ব্যবধানে তাদের বিনিয়োগ করা পুঁজি খুইয়েছেন। তবে শেয়ারের এই মূল্য কমে যাওয়ার কোনো কারণ কোম্পানি বা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অব্যাহত দরপতনে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই এখন লোকসানে। লোকসান আরো বাড়বে এমন শঙ্কায় অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে বিক্রির চাপ বেড়ে দরপতন ত্বরান্বিত হচ্ছে। বিক্রির চাপ বাড়লেও তা সামাল দেয়ার জন্য যে সহায়তা দরকার, তা বাজারে নেই।
Wednesday, October 16, 2019
Tuesday, October 15, 2019
একনেকে নতুন দুই মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন
Monday, October 14, 2019
বিশ্ব মান দিবসের আলোচনায় শিল্পমন্ত্রীর হুশিয়ারী
অর্থনীতিকে এগিয়ে নিবে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি
শতভাগ পরিবেশ রক্ষা করেই সুন্দরবন এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
Sunday, October 13, 2019
আইএফআইসি-সমকাল শিল্প পুরস্কার পেল তরুণ উদ্যোক্তা কাজী সাজেদুর রহমান
Saturday, October 12, 2019
সুজনের সেমিনার, ব্যাংকিং খাত নিয়ে উল্টোপাল্টা পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে
Friday, October 11, 2019
Wednesday, October 9, 2019
Monday, October 7, 2019
8m came out of poverty in 6yrs: WB
বিল গেটসের সেকেন্ডে আয় ৩৮০ ডলার
Sunday, October 6, 2019
অস্থির ডলারের বাজার, দাম বেড়ে হয়েছে ৮৭ টাকা
ILO Global Business Forum Highlights the Importance of a Sustainability Vision for Bangladesh’s RMG Sector
Saturday, October 5, 2019
The secret to Bangladesh’s economic success? The SheikhHasina factor
[This article, written by Salman Fazlur Rahman, the prime minister's adviser for private industry and investment, was first published by the World Economic Forum as part of the India Economic Summit.]
Nobody disputes the economic credentials of Sheikh Hasina's government - the Asian Development Bank (ADB) is the latest member of a growing list of international institutions attesting to Bangladesh's economic success. The ADB ranked Bangladesh as the fastest-growing economy in the Asia-Pacific region, eclipsing China, Vietnam and India. At the same time, our improvements in many socio-economic indicators are another object of envy to our neighbours.
Propelled by a robust manufacturing sector and an enormous boom in infrastructure, Bangladesh has set a target of becoming a developed nation by 2041 to coincide with the platinum jubilee of its independence. Many commentators have called the goal ambitious, but even the government's staunchest critics would think twice before questioning its plausibility. There has been a sea change in attitude from 2006 when our surpassing of Pakistan's growth rate was dismissed as a fluke.
Ten years ago, if somebody had told me that Bangladesh would progress this far, I wouldn't have believed it. Now, however, I am in a position to explain the phenomenon. While trying to decipher Bangladesh's economic success, pundits cite several crucial factors, including fulfilling electricity demands, infrastructural development, political stability and food self-sufficiency. But none of these achievements has been easy. When Sheikh Hasina's government tried to introduce and implement its policies, it often faced enormous political risks and implications.
Take the electricity crisis for example. When the Awami League re-assumed power a decade ago, the country was grappling with suffocating power outages. These days, however, we produce more electricity than we need at night and are close to eradicating any forms of power shortages once and for all.
When she returned to power in 2009, Sheikh Hasina knew that the energy shortage first needed to be mitigated to a tolerable extent, before embarking on long-term plans. As a temporary measure, she decided to allow private companies to build small-range power plants, known as quick-rental power plants. The decision received a barrage of criticism from many quarters — from opposition parties and economists to the press and think tanks — intimidating many in the bureaucracy.
But Sheikh Hasina refused to back down from what she thought was the right step forward. She defended her decision forcefully, making necessary amendments to clear any legal ambiguity, and focused on its implementation. Nearly 10 years on, no one doubts that the decision was instrumental in solving the persistent energy crisis.
Data from World BankData from World BankIn a way, this chapter also illustrates how much faith Sheikh Hasina puts in the private sector. She is aware of the country's socialist legacy, which is extremely wary of private sector inroads in critical areas, but she also knows the virtues of the free market.
When she first came to power in 1996, she broke the monopoly in the telecommunications industry, paving the way for intense competition between companies. As an obvious consequence, we now enjoy one of the cheapest mobile data and lowest mobile phone usage costs in the world, which, among others, has helped our globally celebrated mobile financial services to flourish.
While in power, Sheikh Hasina has opened up many sectors traditionally reserved for the public sector to the private sector, including health, banking, higher education, TV and even export processing and economic zones. At the same time, her government has substantially widened and expanded welfare programmes to lift the poorest and most neglected section of the population and increased subsidies for other crucial elements of the economy such as agriculture. Her development philosophy is a blend of capitalistic and socialistic virtues.
For the greater part of our history, the world knew Bangladesh only for natural calamities, wrenching poverty, famine and political violence. While these events and aspects merited attention, they were certainly not a reflection of the aspiration of our nation. The bigger story should have been the resilience with which our people withstood countless natural disasters and crises.
Regretfully, downplaying this resilience was the approach adopted by successive governments to ensure the undisrupted flow of foreign aid. A former finance minister once infamously argued that self-sufficiency in food could take a back seat to incoming foreign support. As a person deeply familiar with Bangladesh's state machinery, I know that such a mindset held back our economic progress for so long.
Indeed, the single most decisive factor behind Bangladesh's startling success is that Sheikh Hasina has infused a sense of confidence in our national psyche. Oftentimes, she has done so while defying great odds. The Padma Bridge, which the government decided to self-fund after the World Bank's withdrawal is, perhaps, a perfect example of this.
Observers may have overlooked the Prime Minister's tenacious, bold, fearless and pragmatic approach, but no explanation of Bangladesh's success would be complete or comprehensive without taking into account the Sheikh Hasina factor.