newsbdd.blogspot.com। দেশের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম। কোটিপতি হওয়ার গল্প, সাফল্য, নিউজ, খবর, সংবাদ, হিরো, শীর্ষ।
Wednesday, October 27, 2021
Tuesday, October 26, 2021
মোহাম্মদ আলীর জীবনের মোড় ঘুরালো এক অটোরিকশা
Saturday, October 23, 2021
Sunday, October 10, 2021
ব্রোকারেজ হাউজ থেকে ঋণ নিয়ে শেয়ার কেনা নয়: বিএসইসি চেয়ারম্যান
Saturday, October 9, 2021
মিউচুয়াল ফান্ডে যত সুযোগ-সুবিধা দরকার দেয়া হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
Thursday, October 7, 2021
বার্জার পেইন্টসের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলবে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
Wednesday, October 6, 2021
Monday, September 27, 2021
Honda Launches New XBlade ABS with Refreshed Style
নতুন স্টাইলে হোন্ডা এক্সব্লেড ডাবল ডিস্ক এবিএস এখন বাংলাদেশে
Saturday, September 18, 2021
আইপিও'র আবেদনে ১০ হাজার টাকার বেশি নয়
Wednesday, September 15, 2021
শেয়ার কিনতে সানোফির সাথে বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি
Monday, September 13, 2021
আরো এক কোম্পানির পর্ষদ ভেঙে দিলো বিএসইসি
Friday, August 13, 2021
আসছে ওয়ালটনের অনলাইন মার্কেট প্ল্যাটফর্ম 'ওয়ালকার্ট' - Outlook Bangla
Sunday, May 16, 2021
প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর মুনাফা ও লভ্যাংশের চিত্র - Outlook Bangla
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৫টি ব্যাংক মুনাফার বিবেচনায় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ভালো করেছে।
ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস বুধবার পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে ২১টি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এই তিন মাসে ২১টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। ১৪টির বেড়েছে এবং একটি ব্যাংকের লোকসান কমেছে।
এছাড়া বুধবার পর্যন্ত ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে ২৬টি ব্যাংক লভ্যাংশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
এর মধ্যে ১১টির লভ্যাংশ আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে, ৪টির কমেছে এবং ১১টি ব্যাংকের নগদ ও স্টক মিলিয়ে মোট লভ্যাংশ সমান রয়েছে।
মুনাফা বাড়ার বিষয়ে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার বলেন, “ব্যাংকগুলো আগের বছরের তুলনায় খরচ অনেক কমিয়েছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল খরচ কমানো, সেটা আমরা পেরেছি।”
আমানতের উপর সুদের হারও আমরা কমিয়ে দিয়েছি। এটার একটা বড় প্রভাব পড়েছে অনিরীক্ষিত মুনাফার হিসাবে। এর বাইরে বেতন খরচ ছাড়া অন্যান্য অপারেটিং খরচ কমিয়ে এনেছি।”
শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হাসান বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাড়ের কারণে ব্যাংকগুলোকে প্রভিশন রাখতে হয়নি। এটিও মুনাফা বাড়ার একটি কারণ।”
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে সবচেয়ে বেশি মুনাফা অর্থ্যাৎ শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে প্রাইম ব্যাংকের।
এই ব্যাংকের ইপিএস ৪৬ পয়সা থেকে ১৯১.৩০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা।
এরপর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এবি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ইপিএস ৮ পয়সা থেকে দ্বিগুণ হয়ে
১৬ পয়সা হয়েছে।
এ সময়ে সবচেয়ে বেশি কমেছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের। এটির ইপিএস ৩৬ পয়সা থেকে ৫২.৭৮ শতাংশ কমে ১৭ পয়সা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি কমার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা। আগে যা ছিল ৬৬ পয়সা, কমেছে ৫১.৫২ শতাংশ।
প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে খরায় থাকা ব্যাংকের শেয়ারে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এর সঙ্গে ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করায় এ খাতের শেয়ার কেনাবেচায় আগ্রহ একটু একটু করে আগ্রহ বাড়তে দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের।
মার্চেন্ট ব্যাংক লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের গবেষণায় দেখা গেছে, গত তিন সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের শেয়ারে লেনদেন ক্রমাগত বেড়েছে।
এই গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ শেষে অর্থাৎ ২২ এপ্রিলে শেষ হওয়া সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২৬ কোটি টাকার ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
পরের সপ্তাহে যা ৫০ শতাংশ বেড়ে দৈনিক গড়ে ৩৯ কোটি টাকা হয়েছে।
এরপর ৬ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ৬৩ কোটি টাকার ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সর্বশেষ সপ্তাহে গড়ে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৫১ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪১ শতাংশ বেশি।
গত ৩ সপ্তাহে ব্যাংকিং খাতের ট্রেইলিং পিইও বেড়েছে।
লংকাবাংলার হিসাবে ২২ এপ্রিল শেষে ব্যাংকিং খাতের পিই ছিল ৬ দশমিক ৮ পয়েন্ট ।
বুধবার পর্যন্ত ঢাকার পুঁজিবাজারে ট্রেইলিং পিই ১৮ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট। সেখানে ব্যাংক খাতের পিই ৭ দশমিক ৮৯।
ট্রেইলিং পিই হিসাব করা হয় কোনো শেয়ারের বর্তমান দামকে সর্বশেষ ১২ মাসের ইপিএস দিয়ে ভাগ করে। আর পিই (প্রাইস আর্নিং) রেশিও হলো মূল্য ও আয় অনুপাত।
জানুয়ারি-মার্চ প্রথম প্রান্তিকের মুনাফা
ব্যাংক | ২০২১ | ২০২০ | শতাংশে পরিবর্তন |
এবি | ১৬ পয়সা | ৮ পয়সা | ১০০% বেড়েছে |
ব্যাংক এশিয়া | ১ টাকা ৫ পয়সা | ১ টাকা ১৬ পয়সা | ৯.৪৮% কমেছে |
ব্র্যাক | ৯৩ পয়সা | ৬৬ পযসা | ৪০.৯১% বেড়েছে |
দি সিটি | ৯৮ পয়সা | ৭৫ শতাংশ | ৩০.৬৭% বেড়েছে |
ইস্টার্ন | ১ টাকা ২৮ পয়সা | ১ টাকা ৩ পয়সা | ২৪.২৭% বেড়েছে |
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী | ৩২ পয়সা | ৬৬ পয়সা | ৫১.৫২% কমেছে |
আইসিবি ইসলামী | ১৫ পয়সা লোকসান | ৯ পয়সা লোকসান | ৬৬.৬৭% লোকসান কমেছে |
আইএফআইসি | ৪৬ পয়সা | ৪৪ পয়সা | ৪.৫৫% বেড়েছে |
ইসলামী বাংলাদেশ | ৪৫ পয়সা | ৪৪ পয়সা | ২.২৭% বেড়েছে |
যমুনা | ১ টাকা ৬০ পয়সা | ১ টাকা ৪২ পয়সা | ১২.৬৮% বেড়েছে |
মার্কেন্টাইল | ৬৪ পয়সা | ৫৫ পয়সা | ১৬.৩৬% বেড়েছে |
মিউচুয়াল ট্রাস্ট | ৮১ পয়সা | ৭২ পয়সা | ১২.৫০% বেড়েছে |
ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স | ৫৫ পয়সা | ৮২ পয়সা | ৩২.৯৩ শতাংশ কমেছে |
ওয়ান | ৮৪ পয়সা | ৭৯ পয়সা | ৬.৩৩% বেড়েছে |
প্রিমিয়ার | ৬০ পয়সা | ৭৯ পয়সা | ২৪.০৫% কমেছে |
প্রাইম | ১ টাকা ৩৪ পয়সা | ৪৬ পয়সা | ১৯১.৩০% বেড়েছে |
পূবালী | ৯৮ পয়সা | ৮৬ পয়সা | ১৩.৯৫% বেড়েছে |
শাহজালাল | ৬৫ পয়সা | ৬১ পয়সা | ৬.৫৬% বেড়েছে |
সাউথইস্ট | ১ টাকা ২২ পয়সা | ৯৬ পয়সা | ২৭.০৮% বেড়েছে |
স্ট্যান্ডার্ড | ১৭ পয়সা | ৩৬ পয়সা | ৫২.৭৮% কমেছে |
উত্তরা | ৮৪ পয়সা | ১ টাকা ৩৪ পয়সা | ৩৭.৩১% কমেছে |
লভ্যাংশ ঘোষণা
ব্যাংক | পিই (পয়েন্ট) | লভ্যাংশ শতাংশে (২০২০ হিসাব বছর) | লভ্যাংশ শতাংশে (২০১৯ হিসাব বছর) |
এবি | ১৮.২৮ | ৫% স্টক | ৫% স্টক |
আল আরাফাহ ইসলামী | ৯.৪২ | ১৫% নগদ | ১৩% নগদ |
ব্যাংক এশিয়া | ১০.২৫ | ১০% নগদ | ১০% নগদ |
ব্র্যাক | ১৪.৬৫ | ১০% নগদ এবং ৫% স্টক | ৭.৫% নগদ এবং ৭.৫% স্টক |
দি সিটি | ৫.৯৭ | ১৭.৫% নগদ এবং ৫% স্টক | ১৫% নগদ |
ঢাকা | ৫.৯৯ | ৬% নগদ এবং ৬% স্টক | ৫% নগদ এবং ৫% স্টক |
ডাচবাংলা | ৬.৮১ | ১৫% নগদ এবং ১৫% স্টক | ১৫% নগদ এবং ১৫% স্টক |
ইস্টার্ন | ৭.২১ | ১৭.৫% নগদ এবং ১৭.৫% স্টক | ১৫% নগদ |
এক্সিম | ৪.৯০ | ৭.৫% নগদ এবং ২.৫% স্টক | ১০% নগদ |
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী | ৪.০১ | ৫% নগদ এবং ৫% স্টক | ১০% স্টক |
আইসিবি ইসলামী | ০.০ | লভ্যাংশ দেবে না | লভ্যাংশ দেয়নি |
আইএফআইসি | ১৬.৫৮ | ৫% স্টক | ১০% স্টক |
ইসলামী বাংলাদেশ | ৯.৬৭ | ১০% নগদ | ১০% নগদ |
যমুনা | ৪.৮৭ | ১৭.৫০% নগদ | ১৫% নগদ |
মার্কেন্টাইল | ৫.২৫ | ১০% নগদ এবং ৫% স্টক | ১১% নগদ এবং ৫% স্টক |
মিউচুয়াল ট্রাস্ট | ১৪.১১ | ১০% স্টক | ৫% নগদ এবং ৫% স্টক |
ন্যাশনাল | ৬.৩৮ | এখনও দেয়নি | ৫% নগদ এবং ৫% স্টক |
ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স | ৭.২০ | ৭.৫% নগদ এবং ৭.৫% স্টক | ১৫% নগদ এবং ২% স্টক |
এনআরবিসি | ৮.২৭ | ৭.৫০% নগদ এবং ৫% স্টক | ৯% নগদ এবং ২% স্টক |
ওয়ান | ৬.৪৫ | ৬% নগদ এবং ৫.৫০% স্টক | ৫% নগদ এবং ৫% স্টক |
প্রিমিয়ার | ৩.৩৬ | ১২.৫০% নগদ এবং ৭.৫০% স্টক | ৫% নগদ এবং ৫% স্টক |
প্রাইম | ৭.৭৯ | ১৫% নগদ | ১৩.৫% নগদ |
পূবালী | ৬.৫৯ | ১২.৫০% নগদ | ১০% নগদ |
রূপালী | ১৯.৮০ | এখনও দেয়নি | লভ্যাংশ দেয়নি |
শাহ্জালাল ইসলামী | ১০.৮৫ | ৭% নগদ এবং ৫% স্টক | ৫% নগদ এবং ৫% স্টক |
সোসাল ইসলামী | ৭.৯০ | ৫% নগদ এবং ৫ % স্টক | ৫% নগদ এবং ৫% স্টক |
সাউথইস্ট | ৬.৩৮ | ১০% নগদ | ৭.৫০% নগদ এবং ২.৫০% স্টক |
স্ট্যান্ডার্ড | ৯.৩৪ | ২.৫০% নগদ এবং ২.৫০% স্টক | ৫% নগদ এবং ৫% স্টক |
ট্রাস্ট | ৬.৮৭ | এখনও দেয়নি | ৫% নগদ এবং ৫% স্টক |
ইউসিবি | ১২.২৫ | এখনও দেয়নি | ৫ % নগদ ও ৫% স্টক |
উত্তরা | ৫.৭১ | ১২.৫০% নগদ এবং ১২.৫০% স্টক | ৭% নগদ এবং ২৩% স্টক |
Wednesday, March 24, 2021
যেসব শেয়ারে বেশি ভুগছে বিনিয়োগকারীরা - Outlook Bangla
কোম্পানির নাম | লেনদেন শুরু | ইস্যু মূল্য (টাকা) | প্রথম মাসের সর্বোচ্চ দর (টাকা) | ২০ মার্চের দর (টাকা) | পতনের হার |
ওয়ালটন হাইটেক | ২৩ সেপ্টেম্বর | ৩১৫ | ১০০২.৭০ | ১২৬৫.৩০ | ২৬.১৯% |
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার | ১৯ জানুয়ারি ২১ | ৩৫ | ৯২.৬০ | ৪৬.৫০ | (৪৯.৭৮%) |
ডমিনেজ স্টিল | ২ ডিসেম্বর | ১০ | ৪৩.৩০ | ২২.৬০ | (৪৭.৮১%) |
এসোসিয়েটেড অক্সিজেন | ২৫ অক্টোবর | ১০ | ৬৫.৬০ | ৩৭.৬০ | (৪২.৬৮%) |
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স | ২১ ডিসেম্বর | ১০ | ৫৩.৮০ | ৩৪.১০ | (৩৬.৬২%) |
রবি আজিয়াটা | ২৪ ডিসেম্বর | ১০ | ৭০.১০ | ৪৬.৬০ | (৩৩.৫২%) |
লুব-রেফ | ৯ মার্চ ২১ | ৩০ | ৬০.৭০ | ৪৩.১০ | (২৯%) |
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স | ২৪ আগস্ট | ১০ | ৩২ | ২৪.৩০ | (২৪.০৬%) |
মীর আখতার | ২ ফেব্রুয়ারি ২১ | ৬০ | ১০০.২০ | ৭৬.৮০ | (২৩.৩৫%) |
ইজেনারেশন | ২৩ ফেব্রুয়ারি | ১০ | ৩৯.৪০ | ৩২.৫০ | (১৭.৫১%) |
লাভেলো | ১০ ফেব্রুয়ারি | ১০ | ২৫ | ২১.৮০ | (১২.৮০%) |
Tuesday, March 16, 2021
নৌপথে প্রাণের খাদ্যপণ্যের প্রথম চালান গেলো ভারতে - Outlook Bangla
Friday, March 5, 2021
অটোমোবাইল উৎপাদনের আঞ্চলিক কেন্দ্র হবে বাংলাদেশ: শিল্পমন্ত্রী - Outlook Bangla
Wednesday, March 3, 2021
জেনে নিন দক্ষতা অর্জনের ১০ কৌশল
১. কোন বিষয়ে আপনার কৌতূহল
যে বিষয় আপনাকে কৌতূহলী করে, সেটিই শিখতে চেষ্টা করুন। যা কিছুতে আমাদের ভালো লাগা বা ভালোবাসা কাজ করে, সেগুলোই আমরা দ্রুত শিখতে পারি। আর যেসব বিষয় খুব একটা টানে না, সেগুলো শিখতেও বেগ পেতে হয়।
২. এক নৌকায় পা দিন
প্রতিটি দক্ষতা অর্জনেই বেশ পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করতে হয়। তাই অনেকগুলো দক্ষতা অর্জনের প্রকল্প যদি আপনি একসঙ্গে নেন, তাহলে উল্লেখযোগ্য ফলাফল পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। আর এ থেকে তৈরি হতে পারে হতাশা। তাই একটি দক্ষতা নিয়ে কাজ করুন। আপনার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু যদি হয় একাধিক বা আপনি একসঙ্গে অনেকগুলো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চান, তবে তার মধ্যে থেকে যেটা আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে, সেটি বেছে নিন। বাকিগুলো পরে শেখার জন্য একটি নোটবুকে টুকে রাখুন।
৩. কতটুকু শিখতে চান
একটি নির্দিষ্ট সময়ে কতটুকু শিখলে আপনি সন্তুষ্ট হবেন? এই প্রশ্নের উত্তরটি আগেভাগে ঠিক করে রাখা ভালো। তাহলে বুঝতে পারবেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনি কতটুকু শিখতে চান। টাইপিংয়ের ক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য হতে পারে, প্রথম ২০ ঘণ্টায় মিনিটে ১৫ শব্দ টাইপ করার দক্ষতা অর্জন। আবার ভাষা শেখার ক্ষেত্রে প্রথম ২০ ঘণ্টায় আপনার লক্ষ্য হতে পারে কিছু সহজ বাক্য গঠন।
৪. ভাগ করে ফেলুন
পুরো দক্ষতা অর্জনের প্রক্রিয়াটিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে ফেলুন। এরপর একবারে একটি বিষয়ে মনোযোগ দিন। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে ‘কোনটা ছেড়ে কোনটা করব’—এই দ্বিধা আপনাকে আটকাতে পারবে না। ধরা যাক, আপনি একটি নতুন ভাষা শিখতে চান। এ ক্ষেত্রে আপনি পুরো ভাষা শেখার প্রক্রিয়াটিকে ভাগ করতে পারেন: বর্ণমালা, সংখ্যা, শব্দ, বাক্যগঠন বা ব্যাকরণ, শোনা, বলা, লেখা, পড়া ইত্যাদি। তারপর আপনার কাজ হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট দক্ষতার প্রতি নজর দেওয়া।
৫. প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ
প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হাতের কাছে নিয়ে নিন। সাইকেল চালানো শিখতে চাইলে নিয়ে নিন একটি সাইকেল। ভাষা শিখতে চাইলে ভাষা শেখার বই বা অ্যাপ সংগ্রহ করুন। আবার যদি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখতে চান, তবে বন্দোবস্ত করুন বই, টিউটোরিয়াল আর একটি কম্পিউটারের।
৬. দূর করুন অনুশীলনের বাধা
অনুশীলনের সময় যেন প্রযুক্তি বা কোনো কিছু বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। টেলিভিশন, ইন্টারনেট বা স্মার্টফোন যেন আপনার মনোযোগে ব্যাঘাত না ঘটায়, সে ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রাখুন। নিজের পরিবেশকে সাজিয়ে ফেলুন, যেন নিয়মিত অনুশীলন সহজ হয়ে যায়।
৭. সময় আলাদা করুন
নির্দিষ্ট একটি সময় অনুশীলনের অভ্যাস করুন। আপনি হয়তো ভাবছেন কী করে সময় বের করব? একটা নোটবুক নিন। রোজ কখন কী করলেন—সব টুকে রাখুন। দেখবেন অনেক কাজেই আপনার সময় ব্যয় হচ্ছে, যা তেমন প্রয়োজনীয় নয়। সেসব কাজ বাদ দিয়ে দিন। যে সময়টা বেঁচে যাবে, সে সময়টিকে কাজে লাগান নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য।
৮. আয়না দেখা
ভালো প্রতিফলন দেখতে পেলে আমরা সেই কাজটি আবার করতে চাই। টাইপিং শেখার সময় টাইপিং টেস্ট দিয়ে দেখুন আপনি কতটা দক্ষতা অর্জন করেছেন। কিংবা নতুন ভাষা শেখার সময় নিজের পড়ার বা বলার গতি রেকর্ড করে শুনুন। নিজের ব্যায়ামের পরিমাণ রেকর্ড করুন স্মার্টফোনের অ্যাপে।
৯. ঘড়ি ধরে অল্প করে
শুরুর দিকে একটা অসুবিধার সম্মুখীন হই আমরা। অল্প অনুশীলন করেই মনে হয়, আমি বুঝি অনেক পরিশ্রম করে ফেলেছি। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হলো, ঘড়ি ধরে অনুশীলন করা। স্টপওয়াচে ২০ মিনিট সময় নির্ধারণ করুন। এবার স্টপওয়াচ চালু করে টানা ২০ মিনিট অনুশীলন করে যান। এরপর বিরতি নিন। এভাবে রোজ মাত্র চার–পাঁচ ধাপে অনুশীলন করলে ভালো ফল পেতে পারেন।
১০. পরিমাণ ও গতিতে জোর দিন
শুরুর দিকে অনুশীলন নিখুঁত করার একটা প্রবণতা তৈরি হতে পারে। এ থেকে আসতে পারে হতাশা। এই হতাশাকে কাটানোর জন্য মনোযোগ দিন অনুশীলনের পরিমাণের ওপর। হিসাব করে দেখুন, আপনার গতি কতটা বেড়েছে। আপনি কত কম সময়ে কতটুকু করতে পারছেন। মোটামুটি ভালো, অর্থাৎ ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পারলে আপনার গতি বাড়িয়ে দিন।
‘হালাল সাবান’ খ্যাত আলমগীর এসিআই ছেড়ে আকিজে
স্টাফ রিপোর্টার :এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলমগীর আকিজ ভেঞ্চারসে যোগ দিচ্ছেন। সোমবার আকিজে তাঁর প্রথম কর্মদিবস ছিল। সৈয়দ আলমগীর আকিজ ভেঞ্চারসের গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দিচ্ছেন।
দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইওদের মধ্যে সৈয়দ আলমগীর স্বনামখ্যাত। তাঁর দেওয়া স্লোগান ‘শতভাগ হালাল সাবান’ একসময় একটি নতুন সাবানের ব্র্যান্ডকে বাজারের শীর্ষে তুলেছিল। এ ছাড়া ভোগ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা ফাস্ট মুভিং কনজ্যুমার গুডস (এফএমসিজি) খাতের নানা পণ্যকে জনপ্রিয় করেছেন তিনি।
মার্কিন বিপণন বিশেষজ্ঞ কোটলারের বিখ্যাত বই ‘প্রিন্সিপালস অব মার্কেটিং’–এর একটি সংস্করণে হালাল সাবানের বিপণন কৌশলটি একটি ‘কেস স্টাডি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।
এসিআই ছেড়ে আকিজে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সৈয়দ আলমগীর বলেন, ‘এসিআই এখন সুপ্রতিষ্ঠিত। অন্যদিকে আকিজ ভেঞ্চারস নতুন নতুন অনেক খাতে বিনিয়োগ করতে চাইছে। এ জন্যই সেখানে যাওয়া।’
সৈয়দ আলমগীর ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডসে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। কনজ্যুমার ব্র্যান্ডসের অধীনে গ্রুপটির খাদ্য ও নিত্যব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন তিনি।
১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে এমবিএ করার পর প্রথম চাকরি হিসেবে মে অ্যান্ড বেকারে (এখনকার সানোফি) যোগ দেন সৈয়দ আলমগীর। সেখানে ১৬ বছর থাকার পর যমুনা গ্রুপে যোগ দেন তিনি। ২০১৯ সালে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৈয়দ আলমগীর জানিয়েছিলেন, যমুনায় যোগ দিয়ে তিনি বৃহত্তর পরিসর পেয়েছিলেন। ১১টি কোম্পানি তাঁর অধীনে ছিল, যেগুলোকে তিনি বড় করেন। যমুনা থেকে এসিআইতে যোগ দিয়ে তিনি কনজ্যুমার ব্র্যান্ডসের ব্যবসা বড় করেন।
আকিজ ভেঞ্চারসের চেয়ারম্যান সেখ শামীম উদ্দিন। এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর, হবিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে বড় বিনিয়োগের চিন্তা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বরে আকিজ বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে রাসায়নিক, স্বাস্থ্যসুরক্ষা পণ্য, হালকা প্রকৌশল, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং খাদ্য ও পানীয় খাতে ৩ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়। তারা প্রায় ১৮টি কারখানা করবে, এ জন্য জমি চেয়েছে ৩০৭ একর।
সৈয়দ আলমগীর বলেন, আকিজে গেলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পর্ষদে পরিচালক হিসেবে তিনি থাকবেন।
Tuesday, March 2, 2021
তিন হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে এখন বড় উদ্যোক্তা
অনলাইন ডেস্ক: কুমিল্লার গোমতী নদীর তীরে তৈরি হচ্ছে মুঠোফোন, মুঠোফোনের ব্যাটারি, চার্জার, পাওয়ার ব্যাংকসহ ইলেকট্রনিকসের নানা পণ্য। মাত্র তিন হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে স্বপ্নবান এক যুবক এক দশক আগে গড়ে তোলেন বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। দেশে মুঠোফোনের ব্যাটারি, চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক তৈরিতে এক অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান হালিমা টেলিকম। কর্মবীর ওই যুবকের নাম আবুল কালাম হাসান ওরফে টগর। স্বল্প পুঁজি নিয়ে ধীরে ধীরে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন তিনি। দেশের ৬৪ জেলায় তাঁর প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রনিকসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। শুধু ব্যবসা নয়, পাড়া–মহল্লায় যেসব মেয়ে অন্যের বাসায় কাজ করে সামান্য টাকা পেতেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তিনি কারখানায় কাজে লাগিয়েছেন। তাঁর এ প্রতিষ্ঠানে এখন অন্তত ৯০০ ছেলেমেয়ে কাজ করছেন। এখন তাঁর স্বপ্ন কারখানার তৈরি সামগ্রী বিদেশে ব্যাপকভাবে রপ্তানি করা।
জীবনসংগ্রামের শুরু
সময়টা ছিল ১৯৯৮ সাল। আবুল কালাম হাসানের বয়স তখন ২২ বছর। একদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে হোটেল বয় হিসেবে কাজ নেন সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে। একপর্যায়ে মনে হলো, এভাবে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না। জমানো তিন হাজার টাকা নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। রাজধানীর ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণফোনের মোবাইলের প্রিপেইড কার্ড বিক্রি শুরু করেন। এই সময়েই ঢাকায় গ্রামীণফোনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তিনি তাঁকে নিজ শহর কুমিল্লায় ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে গ্রামীণফোনের অনুমোদিত সাব–ডিলার করার প্রতিশ্রুতি দেন। ১৯৯৯ সালে আবুল কালাম হাসান নিজের শহর কুমিল্লায় ফিরে আসেন এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে গ্রামীণফোনের সঙ্গে যুক্ত হন। গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ব্যবসা শুরুর প্রথম দিনই চালু হয় গ্রামীণফোনের প্রিপেইড প্যাকেজ। ওই সিমের চাহিদা ছিল ব্যাপক। তখন একশ্রেণির ব্যবসায়ী বাড়তি টাকা নিয়ে সিম বিক্রি করত। কিন্তু আবুল কালাম হাসান নির্ধারিত দামেই সিম বিক্রি করতেন বলে মানুষের মধ্যে তাঁর প্রতি আস্থা বেড়ে যায়। পরে তিনি গ্রামীণফোনের ডিস্ট্রিবিউটর হন। গ্রামীণফোন থেকে তখন সেরা বিক্রেতারও পুরস্কার পেয়েছেন।
গ্রামীণফোনের সিমের ব্যবসা করতে গিয়ে পুরো জেলার মোবাইল ব্যবসায়ীরা তাঁর কাছে মোবাইল ফোনের আনুষঙ্গিক পণ্য বা অ্যাকসেসরিজ এনে দেওয়ার দাবি তোলেন। এরপর ঢাকা থেকে মুঠোফোনের যন্ত্রপাতি এনে ব্যবসাটা আরও বাড়ান তিনি। একটি সাইকেল কেনেন তিনি। সাইকেলে করে দোকানে দোকানে গিয়ে মুঠোফোনের চার্জারসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করা শুরু করেন। এ সময়েই আবুল কালাম হাসানের মাথায় নিজেই কিছু করার কথা এল। ওই ভাবনা থেকে ২০১০ সালে পাড়ি জমান চীনে। সেখানে মোবাইল ব্যাটারি, চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক তৈরির বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করেন, একই সঙ্গে জেনে নেন মোবাইলের অ্যাকসেসরিজ তৈরির কৌশল। আবুল কালাম হাসান জানান, ‘চীনে গিয়ে দেখতে পেলাম বাংলাদেশে সবাই নকিয়া ও স্যামসাংয়ের তৈরি পণ্য এনে বিক্রি করে। এতে মুনাফা কম হয়। এরপর দেশে এসে স্বল্প অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০১০ সালেই মায়ের নামে চালু করি হালিমা টেলিকম।’
যেভাবে শুরু
২০১০ সালে চীন থেকে ফেরার সময় কিছু কাঁচামাল নিয়ে আসেন টগর। এরপর তিনি চারজনকে নিজেই প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণের পর মোবাইল চার্জার ও ব্যাটারি বানানো শুরু করেন। কিন্তু বাংলাদেশে এই প্রযুক্তি বা কারিগরি দিক সম্পর্কে কারও তেমন কোনো ধারণা ছিল না। ফলে সামান্য অভিজ্ঞতা নিয়ে শুরু করতে গিয়ে লোকসান গুনতে হয়। কিন্তু হতাশ না হয়ে চারজনকে নিয়েই আবার শুরু করেন তিনি। এবার মোবাইল ফোনের চার্জার ও ব্যাটারি ভালো বাজার পায়। আর তিনিও কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে শুরু করেন। ব্যবসাও বাড়তে থাকে। দেশে হালিমা টেলিকমের ব্যাটারি ও চার্জারের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে আবুল কালাম হাসান গোমতী নদীর তীরে চানপুর এলাকায় জায়গা কেনেন। সেখানে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেন। ৩০ হাজার বর্গফুটের ওই ভবনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ব্যাটারি, চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক তৈরির কাজ। প্রতিদিন ওই কারখানায় গড়ে ৫০ হাজার মোবাইল চার্জার, ২০ হাজার ব্যাটারি ও দুই হাজার পাওয়ার ব্যাংক তৈরি হয়। এরপর নিজস্ব গাড়িতে করে দেশের বিভিন্ন জেলায় ওই সামগ্রী বাজারজাতকরণের জন্য পৌঁছানো হয়। আবুল কালাম হাসান বলেন, ‘আমার কারখানায় ৩.৪ / ২.৪ / ২ এমএএইচ চার্জার, ১০০০ এমএএইচ থেকে শুরু করে ২৬০০ এমএএইচ ব্যাটারি ও ১০ হাজার এমএএইচ পর্যন্ত পাওয়ার ব্যাংক বানানো হচ্ছে।’
কারখানার শ্রমিক নুসরাত জাহান, ইমরান হোসেন, মিলি বেগম একই পরিবারের সদস্য। তিনজনেই ২৫ হাজার টাকা মাসিক বেতন পান। তাঁরা বলেন, ‘আগে আমরা অতি নিম্নমানের কাজ করতাম। এখন হালিমা টেলিকমে কাজ করে ভালো বেতন পাচ্ছি। পরিবারকে টাকা নিয়ে ভালোভাবেই চলতে পারছি।’
২০১৫ সালেই সারা দেশে আমার প্রতিষ্ঠানের তৈরি চার্জার, ব্যাটারি ও পাওয়ার ব্যাংক এক নম্বরে চলে আসে। সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে আমাকে পুরো দেশ অন্তত ৫০ বার ঘুরতে হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে ৩৭৫ জন ডিলার, ৪০০ বিক্রয়কর্মী মাঠে আছেন।
আবুল কালাম হাসান
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সালমা বেগম বলেন, এই কারখানার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এখানে পিছিয়ে পড়া ও অনগ্রসরমাণ নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী বানানো হয়। শুধু ব্যবসা নয়, সমাজের মানুষের জন্য কাজ করা হয়। এটা একধরনের সামাজিক ব্যবসা। গ্রামের মেয়েরা ইলেকট্রনিকসের কাজ করছে। এটা অনেক বড় ব্যাপার।
আবুল কালাম হাসান যা বলেন
চারজন দিয়ে কারখানা শুরু করি। এখন মোবাইল চার্জার, ব্যাটারি ও পাওয়ার ব্যাংক তৈরি করছে ২৭৫ জন মেয়ে ও ১৭৫ জন ছেলে। এদের প্রশিক্ষণ আমিই দিই। এদের মধ্য থেকে অতি প্রতিভাবান একজনকে নেতৃত্বে আনি, যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সবাই মিলে দক্ষ কর্মী তৈরি করি। এই কারখানার কর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী করা হয়। হালিমা আমার মায়ের নাম। ওই নামেই আমি ব্র্যান্ডিং শুরু করি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা নাম নিয়ে কেমন জানি করত। পরে আমি ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগ দিয়ে বাজারজাত শুরু করি। পুরো দেশের আনাচকানাচে ঘুরে আমার তৈরি জিনিস কেনার জন্য ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করি।
আবুল কালাম হাসান আরও বললেন, ২০১৫ সালেই সারা দেশে আমার প্রতিষ্ঠানের তৈরি চার্জার, ব্যাটারি ও পাওয়ার ব্যাংক এক নম্বরে চলে আসে। সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে আমাকে পুরো দেশ অন্তত ৫০ বার ঘুরতে হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে ৩৭৫ জন ডিলার, ৪০০ বিক্রয়কর্মী মাঠে আছেন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আমি কুমিল্লা অঞ্চলে সেরা করদাতার পুরস্কার পাই। এখন আমার স্বপ্ন, হালিমা গ্রুপের পণ্য, মালয়েশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও থাইল্যান্ডে রপ্তানি করা। এ জন্য সরকারের সহযোগিতা দরকার। কেননা আমার দেশে তৈরি পণ্যের মান ভালো, টেকসই ও মজবুত।
আবুল কালাম হাসান হালিমা ইলেকট্রনিকস নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুপি ইউনিয়নের পিড়াতলি এলাকায় ৪০ হাজার বর্গফুটের জায়গা নিয়ে এই কারখানা। কারখানায় আধুনিক যন্ত্রপাতি এনে এলইডি লাইট, এনার্জি লাইট, ক্লিয়ার বাল্ব, টিউবশেট, ব্যাকলাইট, গ্যাং ও পিয়ানো সুইচ, সার্কিট ব্রেকার ও হোল্ডার তৈরি করা হয়। সেখানেও ৩০০ জন মেয়ে ও ১৫০ জন ছেলে কাজ করছেন। হালিমা টেলিকম থেকে ব্যবসা বাড়িয়ে আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান করা হয়। এগুলো হচ্ছে হালিমা ইলেকট্রনিকস, হালিমা ট্রেডার্স, হালিমা ওয়ার্ল্ড, এইচটিই ও নিউক্লিক গ্লোবাল। আবুল কালাম হাসান বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে তাঁর উৎপাদিত পণ্য নিয়ে কাতার ও থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নেন।
সর্বশেষ খবর হচ্ছে, হালিমা টেলিকম চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বাজারে নিয়ে এসেছে মুঠোফোন সেট। এর দামও নাগালের মধ্যে। সূত্র: প্রথম আলো।