Monday, September 27, 2021

Honda Launches New XBlade ABS with Refreshed Style

Honda Launches New XBlade ABS with Refreshed Style: Honda Launches New XBlade ABS with Refreshed Style Honda Launches New XBlade ABS with Refreshed Style Honda Launches New XBlade ABS with Refreshed Style

নতুন স্টাইলে হোন্ডা এক্সব্লেড ডাবল ডিস্ক এবিএস এখন বাংলাদেশে

নতুন স্টাইলে হোন্ডা এক্সব্লেড ডাবল ডিস্ক এবিএস এখন বাংলাদেশে: নতুন স্টাইলে হোন্ডা এক্সব্লেড ডাবল ডিস্ক এবিএস এখন বাংলাদেশে নতুন স্টাইলে হোন্ডা এক্সব্লেড ডাবল ডিস্ক এবিএস এখন বাংলাদেশে

Saturday, September 18, 2021

আইপিও'র আবেদনে ১০ হাজার টাকার বেশি নয়

আইপিও'র আবেদনে ১০ হাজার টাকার বেশি নয়: আইপিও'র আবেদনে ১০ হাজার টাকার বেশি নয় আইপিও'র আবেদনে ১০ হাজার টাকার বেশি নয় আইপিও'র আবেদনে ১০ হাজার টাকার বেশি নয়

Wednesday, September 15, 2021

শেয়ার কিনতে সানোফির সাথে বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি

শেয়ার কিনতে সানোফির সাথে বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি: শেয়ার কিনতে সানোফির সাথে বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি শেয়ার কিনতে সানোফির সাথে বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি শেয়ার কিনতে সানোফির সাথে বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি

Friday, August 13, 2021

আসছে ওয়ালটনের অনলাইন মার্কেট প্ল্যাটফর্ম 'ওয়ালকার্ট' - Outlook Bangla

আসছে ওয়ালটনের অনলাইন মার্কেট প্ল্যাটফর্ম 'ওয়ালকার্ট' - Outlook Bangla: আসছে ওয়ালটনের অনলাইন মার্কেট প্ল্যাটফর্ম #ওয়ালকার্ট' আসছে #ওয়ালটনের অনলাইন মার্কেট প্ল্যাটফর্ম 'ওয়ালকার্ট' ওয়ালটনের অনলাইন মার্কেট প্ল্যাটফর্ম 'ওয়ালকার্ট'


Sunday, May 16, 2021

প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর মুনাফা ও লভ্যাংশের চিত্র - Outlook Bangla

প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর মুনাফা ও লভ্যাংশের চিত্র - Outlook Bangla: প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর মুনাফা ও লভ্যাংশের চিত্র 



চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৫টি ব্যাংক মুনাফার বিবেচনায় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ভালো করেছে।

ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস বুধবার পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে ২১টি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এই তিন মাসে ২১টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। ১৪টির বেড়েছে এবং একটি ব্যাংকের লোকসান কমেছে।

এছাড়া বুধবার পর্যন্ত ২০২০ সমাপ্ত হিসাব বছরে ২৬টি ব্যাংক লভ্যাংশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

এর মধ্যে ১১টির লভ্যাংশ আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে, ৪টির কমেছে এবং ১১টি ব্যাংকের নগদ ও স্টক মিলিয়ে মোট লভ্যাংশ সমান রয়েছে।

মুনাফা বাড়ার বিষয়ে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার বলেন, “ব্যাংকগুলো আগের বছরের তুলনায় খরচ অনেক কমিয়েছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল খরচ কমানো, সেটা আমরা পেরেছি।”

আমানতের উপর সুদের হারও আমরা কমিয়ে দিয়েছি। এটার একটা বড় প্রভাব পড়েছে অনিরীক্ষিত মুনাফার হিসাবে। এর বাইরে বেতন খরচ ছাড়া অন্যান্য অপারেটিং খরচ কমিয়ে এনেছি।”

শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হাসান বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাড়ের কারণে ব্যাংকগুলোকে প্রভিশন রাখতে হয়নি। এটিও মুনাফা বাড়ার একটি কারণ।”

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে সবচেয়ে বেশি মুনাফা অর্থ্যাৎ শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে প্রাইম ব্যাংকের।

এই ব্যাংকের ইপিএস ৪৬ পয়সা থেকে ১৯১.৩০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা।

এরপর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এবি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ইপিএস ৮ পয়সা থেকে দ্বিগুণ হয়ে

১৬ পয়সা হয়েছে।

এ সময়ে সবচেয়ে বেশি কমেছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের। এটির ইপিএস ৩৬ পয়সা থেকে ৫২.৭৮ শতাংশ কমে ১৭ পয়সা হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি কমার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা। আগে যা ছিল ৬৬ পয়সা, কমেছে ৫১.৫২ শতাংশ।

প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে খরায় থাকা ব্যাংকের শেয়ারে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এর সঙ্গে ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করায় এ খাতের শেয়ার কেনাবেচায় আগ্রহ একটু একটু করে আগ্রহ বাড়তে দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের।

মার্চেন্ট ব্যাংক লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের গবেষণায় দেখা গেছে, গত তিন সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের শেয়ারে লেনদেন ক্রমাগত বেড়েছে।

এই গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ শেষে অর্থাৎ ২২ এপ্রিলে শেষ হওয়া সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২৬ কোটি টাকার ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

পরের সপ্তাহে যা ৫০ শতাংশ বেড়ে দৈনিক গড়ে ৩৯ কোটি টাকা হয়েছে।

এরপর ৬ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ৬৩ কোটি টাকার ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সর্বশেষ সপ্তাহে গড়ে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৫১ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪১ শতাংশ বেশি।

গত ৩ সপ্তাহে ব্যাংকিং খাতের ট্রেইলিং পিইও বেড়েছে।

লংকাবাংলার হিসাবে ২২ এপ্রিল শেষে ব্যাংকিং খাতের পিই ছিল ৬ দশমিক ৮ পয়েন্ট ।

বুধবার পর্যন্ত ঢাকার পুঁজিবাজারে ট্রেইলিং পিই ১৮ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট। সেখানে ব্যাংক খাতের পিই ৭ দশমিক ৮৯।

ট্রেইলিং পিই হিসাব করা হয় কোনো শেয়ারের বর্তমান দামকে সর্বশেষ ১২ মাসের ইপিএস দিয়ে ভাগ করে। আর পিই (প্রাইস আর্নিং) রেশিও হলো মূল্য ও আয় অনুপাত।

জানুয়ারি-মার্চ প্রথম প্রান্তিকের মুনাফা

ব্যাংক২০২১২০২০শতাংশে পরিবর্তন
এবি১৬ পয়সা৮ পয়সা১০০% বেড়েছে
ব্যাংক এশিয়া১ টাকা ৫ পয়সা১ টাকা ১৬ পয়সা৯.৪৮% কমেছে
ব্র্যাক৯৩ পয়সা৬৬ পযসা৪০.৯১% বেড়েছে
দি সিটি৯৮ পয়সা৭৫ শতাংশ৩০.৬৭% বেড়েছে
ইস্টার্ন১ টাকা ২৮ পয়সা১ টাকা ৩ পয়সা২৪.২৭% বেড়েছে
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী৩২ পয়সা৬৬ পয়সা৫১.৫২% কমেছে
আইসিবি ইসলামী১৫ পয়সা লোকসান৯ পয়সা লোকসান৬৬.৬৭% লোকসান কমেছে
আইএফআইসি৪৬ পয়সা৪৪ পয়সা৪.৫৫% বেড়েছে
ইসলামী বাংলাদেশ৪৫ পয়সা৪৪ পয়সা২.২৭% বেড়েছে
যমুনা১ টাকা ৬০ পয়সা১ টাকা ৪২ পয়সা১২.৬৮% বেড়েছে
মার্কেন্টাইল৬৪ পয়সা৫৫ পয়সা১৬.৩৬% বেড়েছে
মিউচুয়াল ট্রাস্ট৮১ পয়সা৭২ পয়সা১২.৫০% বেড়েছে
ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স৫৫ পয়সা৮২ পয়সা৩২.৯৩ শতাংশ কমেছে
ওয়ান৮৪ পয়সা৭৯ পয়সা৬.৩৩% বেড়েছে
প্রিমিয়ার৬০ পয়সা৭৯ পয়সা২৪.০৫% কমেছে
প্রাইম১ টাকা ৩৪ পয়সা৪৬ পয়সা১৯১.৩০% বেড়েছে
পূবালী৯৮ পয়সা৮৬ পয়সা১৩.৯৫% বেড়েছে
শাহজালাল৬৫ পয়সা৬১ পয়সা৬.৫৬% বেড়েছে
সাউথইস্ট১ টাকা ২২ পয়সা৯৬ পয়সা২৭.০৮% বেড়েছে
স্ট্যান্ডার্ড১৭ পয়সা৩৬ পয়সা৫২.৭৮% কমেছে
উত্তরা৮৪ পয়সা১ টাকা ৩৪ পয়সা৩৭.৩১% কমেছে

 

লভ্যাংশ ঘোষণা

ব্যাংকপিই (পয়েন্ট)লভ্যাংশ শতাংশে (২০২০ হিসাব বছর)লভ্যাংশ শতাংশে (২০১৯ হিসাব বছর)
এবি১৮.২৮৫% স্টক৫% স্টক
আল আরাফাহ ইসলামী৯.৪২১৫% নগদ১৩% নগদ
ব্যাংক এশিয়া১০.২৫১০% নগদ১০% নগদ
ব্র্যাক১৪.৬৫১০% নগদ এবং ৫% স্টক৭.৫% নগদ এবং ৭.৫% স্টক
দি সিটি৫.৯৭১৭.৫% নগদ এবং ৫% স্টক১৫% নগদ
ঢাকা৫.৯৯৬% নগদ এবং ৬% স্টক৫% নগদ এবং ৫% স্টক
ডাচবাংলা৬.৮১১৫% নগদ এবং ১৫% স্টক১৫% নগদ এবং ১৫% স্টক
ইস্টার্ন৭.২১১৭.৫% নগদ এবং ১৭.৫% স্টক১৫% নগদ
এক্সিম৪.৯০৭.৫% নগদ এবং ২.৫% স্টক১০% নগদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী৪.০১৫% নগদ এবং ৫% স্টক১০% স্টক
আইসিবি ইসলামী০.০লভ্যাংশ দেবে নালভ্যাংশ দেয়নি
আইএফআইসি১৬.৫৮৫% স্টক১০% স্টক
ইসলামী বাংলাদেশ৯.৬৭১০% নগদ১০% নগদ
যমুনা৪.৮৭১৭.৫০% নগদ১৫% নগদ
মার্কেন্টাইল৫.২৫১০% নগদ এবং ৫% স্টক১১% নগদ এবং ৫% স্টক
মিউচুয়াল ট্রাস্ট১৪.১১১০% স্টক৫% নগদ এবং ৫% স্টক
ন্যাশনাল৬.৩৮এখনও দেয়নি৫% নগদ এবং ৫% স্টক
ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স৭.২০৭.৫% নগদ এবং ৭.৫% স্টক১৫% নগদ এবং ২% স্টক
এনআরবিসি৮.২৭৭.৫০% নগদ এবং ৫% স্টক৯% নগদ এবং ২% স্টক
ওয়ান৬.৪৫৬% নগদ এবং ৫.৫০% স্টক৫% নগদ এবং ৫% স্টক
প্রিমিয়ার৩.৩৬১২.৫০% নগদ এবং ৭.৫০% স্টক৫% নগদ এবং ৫% স্টক
প্রাইম৭.৭৯১৫% নগদ১৩.৫% নগদ
পূবালী৬.৫৯১২.৫০% নগদ১০% নগদ
রূপালী১৯.৮০এখনও দেয়নিলভ্যাংশ দেয়নি
শাহ্জালাল ইসলামী১০.৮৫৭% নগদ এবং ৫% স্টক৫% নগদ এবং ৫% স্টক
সোসাল ইসলামী৭.৯০৫% নগদ এবং ৫ % স্টক৫% নগদ এবং ৫% স্টক
সাউথইস্ট৬.৩৮১০% নগদ৭.৫০% নগদ এবং ২.৫০% স্টক
স্ট্যান্ডার্ড৯.৩৪২.৫০% নগদ এবং ২.৫০% স্টক৫% নগদ এবং ৫% স্টক
ট্রাস্ট৬.৮৭এখনও দেয়নি৫% নগদ এবং ৫% স্টক
ইউসিবি১২.২৫এখনও দেয়নি৫ % নগদ ও ৫% স্টক
উত্তরা৫.৭১১২.৫০% নগদ এবং ১২.৫০% স্টক৭% নগদ এবং ২৩% স্টক

Wednesday, March 24, 2021

যেসব শেয়ারে বেশি ভুগছে বিনিয়োগকারীরা - Outlook Bangla

যেসব শেয়ারে বেশি ভুগছে বিনিয়োগকারীরা - Outlook Bangla: যেসব শেয়ারে বেশি ভুগছে বিনিয়োগকারীরা 


দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অনেক যাচাই-বাছাই করে যোগ্য কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দেয়া হয় বলে দাবি করে আসছে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন। শুরুতে কয়েকটি কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা মধ্যে সেই দাবি বিশ্বাসও করে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সেই বিশ্বাসে কিছুটা হলেও ফাঁটল ধরেছে। এখনো আগের মতোই দূর্বলতার কারনে নতুন শেয়ারগুলোতে অস্থিরতা বিদ্যমান।

নতুন কমিশন ভালো কোম্পানির আইপিও দেয় বলে দাবি করে আসলেও এরমধ্যে দূর্বল কোম্পানির আইপিও দেওয়া হয়েছে। এমন কোম্পানির আইপিও দেওয়া হয়েছে, যে কোম্পানি কোটি কোটি টাকার ভূয়া ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টবাবদ সম্পদ দেখিয়েছে। এমনকি চুক্তিভিত্তিক কাজ করায় একটি জাহাজ নির্মাণকারী কোম্পানির আইপিও বাতিল করলেও কন্ট্রাকটারের কাজ করা আরেক কোম্পানির অনুমোদন দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করার উদাহরন আছে। এছাড়া ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে অ্যাকাউন্টসের কোম্পানিও আইপিও অনুমোদন পেয়েছে এই কমিশনের সময়ে। যা লেনদেনে আসার পরে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর ধরে রাখতে না পারার পেছনে একটি কারন।

এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন কমিশনের আইপিও নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। এছাড়া দূর্বল কোম্পানির আইপিও নিয়ে অনেক বাজার সংশ্লিষ্টরাও সমালোচনা করছেন। তবে নতুন কমিশন হওয়ায় এখনই কেউ প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কিছু বলছেন না।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, লেনদেনের কয়েকদিনের মধ্যে দর পতনের পেছনে দূর্বল কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের নির্বুদ্ধিতাও কাজ করছে। দূর্বল কিংবা সবল, যেকোন ধরনের নতুন কোম্পানির শেয়ার পেতে বিনিয়োগকারীদের মরিয়া হয়ে উঠা শেয়ারবাজারের একটি বড় সমস্যা। যাতে নতুন শেয়ারগুলো মৌলভিত্তি ছাড়াই টানা দর বাড়ে। কিন্তু একসময় অযৌক্তিক দর বৃদ্ধির কারনে তার পতন হতেই হয়।

শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন স্বাভাবিক। কখনো শেয়ারের দাম কমবে, কখনো বাড়বে-এমনটিই হয়ে থাকে। কিন্তু সব নতুন শেয়ারের ভিন্নচিত্র। লেনদেনের শুরুতে টানা দর বৃদ্ধি পায় এবং পরবর্তীতে টানা পতন হয়। এই পতনে শেয়ারগুলো আর কখনো আগের অবস্থানে ফিরে যায় না। এতে করে আইপিওধারীরা লাভবান হলেও সেকেন্ডারির বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিত লোকসান হয়।

শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নির্ধারিত দরের শেয়ারও লেনদেনের শুরুতে টানা বৃদ্ধি পায়। এটা খুবই অবাক করার বিষয়। যেখানে বুক বিল্ডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের নির্ধারিত দরকেই অতিমূল্যায়িত বলে অভিযোগ ওঠে, সেখানে সেইসব শেয়ারও লেনদেনে এসে টানা দর বৃদ্ধি পায়।

দেখা গেছে, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে গত ২০ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ১১টি কোম্পানির লেনদেন শুরু হয়েছে। যার সবগুলো শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন থেকে টানা বাড়ে। কিন্তু একমাত্র ওয়ালটন ছাড়া কোনটিই সেই দর ধরে রাখতে পারেনি। প্রত্যেকটি শেয়ারের দর কয়েকদিনের ব্যবধানে নেমে এসেছে।

ওই ১১টি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর পতন হয়েছে ১৯ জানুয়ারি লেনদেন শুরু হওয়া এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের। ৩৫ টাকা ইস্যু মূল্যের শেয়ারটি টানা বেড়ে ২৫ জানুয়ারি ৯২.৬০ টাকা হয়ে যায়। অর্থাৎ ওই সময় শেয়ারটির দর বাড়ে ৫৭.৬০ টাকা বা ১৬৫ শতাংশ। কিন্তু সেই শেয়ারটি ২০ মার্চ ৪৬.৫০ টাকায় নেমে এসেছে। এ হিসেবে শেয়ারটির ৫০ শতাংশ দর পতন হয়ে গেছে।

নিম্নে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরের বিস্তারিত তুলে ধরা হল-
কোম্পানির নামলেনদেন শুরুইস্যু মূল্য (টাকা)প্রথম মাসের সর্বোচ্চ দর (টাকা)২০ মার্চের দর (টাকা)পতনের হার
ওয়ালটন হাইটেক২৩ সেপ্টেম্বর৩১৫১০০২.৭০১২৬৫.৩০২৬.১৯%
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার১৯ জানুয়ারি ২১৩৫৯২.৬০৪৬.৫০(৪৯.৭৮%)
ডমিনেজ স্টিল২ ডিসেম্বর১০৪৩.৩০২২.৬০(৪৭.৮১%)
এসোসিয়েটেড অক্সিজেন২৫ অক্টোবর১০৬৫.৬০৩৭.৬০(৪২.৬৮%)
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স২১ ডিসেম্বর১০৫৩.৮০৩৪.১০(৩৬.৬২%)
রবি আজিয়াটা২৪ ডিসেম্বর১০৭০.১০৪৬.৬০(৩৩.৫২%)
লুব-রেফ৯ মার্চ ২১৩০৬০.৭০৪৩.১০(২৯%)
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স২৪ আগস্ট১০৩২২৪.৩০(২৪.০৬%)
মীর আখতার২ ফেব্রুয়ারি ২১৬০১০০.২০৭৬.৮০(২৩.৩৫%)
ইজেনারেশন২৩ ফেব্রুয়ারি১০৩৯.৪০৩২.৫০(১৭.৫১%)
লাভেলো১০ ফেব্রুয়ারি১০২৫২১.৮০(১২.৮০%)
তবে দেশের জায়ান্ট ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক একমাত্র ব্যতিক্রম কোম্পানি। এই কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের প্রথম মাসে যে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল, এখন তারচেয়ে অনেক বেশিতে অবস্থান করছে। শুধুমাত্র এই শেয়ারটির ধস নামেনি। অথচ এই শেয়ারটি নিয়ে কমিশনের এক কমিশনারও বিরোধীতা করেছিলেন। যিনি কোম্পানিটির আইপিওতে আপত্তি জানিয়ে নোট দেন।

৩১৫ টাকা ইস্যু মূল্যের ওয়ালটনের শেয়ারটি লেনদেনের প্রথম মাসে সর্বোচ্চ ১০০২.৭০ টাকায় উঠে। যে শেয়ারটি ২০ মার্চ আরও বেড়ে দাড়িঁয়েছে ১২৬৫.৩০ টাকায়।