Friday, February 11, 2022

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি জুতার রপ্তানি বেড়েছে ৭৩.২২ ভাগ

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি জুতার রপ্তানি বেড়েছে ৭৩.২২ ভাগ

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি জুতার রপ্তানি বেড়েছে ৭৩.২২ ভাগ

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি জুতার রপ্তানি বেড়েছে ৭৩.২২ শতাংশ। এতে রপ্তানিকারকদের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪.৫৮ মিলিয়ন ডলারে।

গত বছরের মোট আয়ের মধ্যে ২৪৯ মিলিয়ন ডলার এসেছে চামড়াজাত জুতা রপ্তানি করে, আর বাকিটা এসেছে অচামড়াজাত জুতা থেকে।

ওটেক্সা’র (অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল) তথ্য বলছে, ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জুতা রপ্তানি করে ১৫৮.৫১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।

২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের জুতা রপ্তানি ১০৪ মিলিয়ন ডলার থেকে ১৬১.৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪.৫৮ মিলিয়ন ডলারে ।

মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা এবং একটি একক দেশের ওপর নির্ভরতা হ্রাস, এর অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। যুক্তিসঙ্গত দাম এবং সফলভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশের মান উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে।

পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি রপ্তানিমুখী চামড়ার পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, “মার্কিন সরকার তার একক দেশের আমদানি নির্ভরতা কমাচ্ছে। এছাড়া, বাণিজ্য দ্বন্দ্বের কারণে চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পণ্যগুলো ক্রমবর্ধমান শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

ইসলাম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পণ্য কেনার গন্তব্যের ওপর একটি ভূ-রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপরন্তু, মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা শুল্কের পরিমাণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন। ফলে তারা প্রচুর পরিমাণে অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তরিত করেছে, যা আমাদের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করেছে।

খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ধরে রাখতে হবে রপ্তানিকারকদের। একই সাথে রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

লেদারেক্স ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার আমদানিকারকদেরকে চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে প্ররোচিত করছে, যাতে পণ্যের আমদানি গন্তব্য কোনো একটি দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কম হয়।”

বাংলাদেশের লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট নাজমুল বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনের জিনজিয়াং অঞ্চল থেকে মার্কিন আমদানি নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক যুদ্ধ ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোকে পণ্য ক্রয়ের গন্তব্য স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করেছে।

এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, “আমরা মার্কিন বাজারের সিংহভাগ দখল করতে সক্ষম হবো, যদি আমরা পরিবেশ অনুকূলে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি এবং লিড টাইম কমাতে পারি।”

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে একমত। তিনি বলেন, “দেশে বিদ্যমান কাঁচামাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি, আমরা সহজেই মার্কিন বাজারে নেতৃত্ব দিতে পারি।”

এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেছেন, যদিও পরিবেশগত আর কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ এ সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে বাধা সৃষ্টি করে৷ সরকারের উচিত পৃথক কোম্পানিগুলোকে ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) স্থাপনের অনুমতি দেয়া। যদিও এটি একক কোম্পানির পক্ষে কঠিন, তবে তাদের ব্যবসার স্বার্থে এটি করা উচিত।

বাংলাদেশের ফুটওয়্যার পণ্যের ব্র্যান্ডিং দেশের রপ্তানি আয়ের বড় প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমেরিকান ক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশি পণ্য আর এসবের গুণমানের সাথে পরিচিত ছিল না, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করায় রপ্তানিকারকদের তাদের সাথে সংযুক্ত করেছে।”

তিনি বলেন, “তারা আন্তর্জাতিক বাংলাদেশি চামড়ার পাদুকা এবং চামড়াজাত পণ্যের সোর্সিং শোয়ের আয়োজন করেছে।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অধিকার গোষ্ঠীর সমালোচনার মুখে বায়ু ও পানি দূষণ রোধে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ঢাকার সাভার উপজেলায় ট্যানারি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

২০১৭ সালের এপ্রিলে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সরকার এবং প্রায় ২০০টি ট্যানারিকে সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তর করতে বাধ্য করে।

অনেক ট্যানার সাভারে স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রপ্তানিতে উন্নতি হয়েছে।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির বর্তমান অবস্থা

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২৯.৬৬ শতাংশ বেড়ে ৬৮২.৭৪ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ছিল ৫২৭ মিলিয়ন ডলার।

চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি ৩৭.৪১ শতাংশ বেড়ে ১৮৩ মিলিয়ন এবং চামড়ার জুতা ২৫.৭৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৪.৫২ মিলিয়ন ডলারে।

পেওনিয়ারে ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট আসবে বিকাশে

পেওনিয়ারে ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট আসবে বিকাশে

bKash is a subsidiary of BRAC Bank Limited-বিকাশ-ব্র্যাক-ব্যাংক

এখন সারা বিশ্ব থেকে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ার এর মাধ্যমে মূহুর্তেই ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট আসবে বিকাশে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা রিয়েল টাইমে এই সেবা আসার সুবিধা বিকাশমান ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো গতিশীলতা আনবে এবং দেশের বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহকে আরো বেগবান করবে।

ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বর্ডারলেস পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পেওনিয়ার, দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংক এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ যৌথভাবে এই সেবার উদ্বোধন করে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, পেওনিয়ার এর রিজিওনাল সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট রোহিত কুলকার্নি ও চিফ রেভিনিউ অফিসার রবার্ট ক্লার্কসন, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর সহ প্রতিষ্ঠানগুলোর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউট এর অনলাইন লেবার ইনডেক্স১ এর মতে, আইসিটি ফ্রিল্যান্সিং সেবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বের মধ্যে শক্তিশালী। লাখো বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার সারাবিশ্বে এ খাতে অবদান রাখছেন। তারা দেশের অর্থনীতিতে প্রতি বছর মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা যুক্ত করছেন। ফ্রিল্যান্সিং আয়েও সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সেরা একটি দেশ হলো বাংলাদেশ।

নতুন এই সেবার ফলে বিকাশ অ্যাপের রেমিটেন্স আইকন থেকে খুব সহজেই নতুন পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন গ্রাহকরা। যাদের ইতোমধ্যে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট আছে তারাও নিজেদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত করে নিতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত হয়ে গেলে ফ্রিল্যান্সাররা তাৎক্ষনিক তাদের পেমেন্ট বিকাশ অ্যাকাউন্টে আনতে পারবেন। বিকাশ থেকেই পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করারও সুযোগ থাকবে।

দিন রাত ২৪ ঘন্টা যেকোন প্রান্তে বসে বিকাশে তাৎক্ষণিক পেমেন্ট গ্রহণ করার সুযোগ তৈরি হওয়ায় ফ্রিল্যান্সারদের আগের মতো পেমেন্টের জন্য আর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। বিকাশে আসা টাকা তাঁরা প্রয়োজন মত অন্য বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো, বিল পরিশোধ করা, কেনাকাটার পেমেন্ট দেয়া, ক্যাশ আউট করা সহ যেকোনো প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন।

এই সেবায় ফরেন কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড সেটেলমেন্ট ব্যাংক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ব্র্যাক ব্যাংক।

নতুন এই সেবা চালু হওয়া উপলক্ষ্যে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাশে সর্বোচ্চ পেমেন্ট গ্রহণকারী ফ্রিল্যান্সারকে ১টি করে মোবাইল ফোন পুরস্কার দেয়া হবে। ক্যাম্পেইন চলাকালীন একজন গ্রাহক একবারই এই পুরস্কার পাবেন। পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে এক বা একাধিক ট্রানজেকশনে বিকাশ অ্যাকাউন্টে আসা অর্থের পরিমাণ দিনে ১৫,০০০ টাকার বেশি হতে হবে। ক্যাম্পেইন শেষে বিজয়ীদের কাছে পুরস্কারের মোবাইল ফোন তুলে দেয়া হবে। পাশাপাশি, নতুন এই সেবা চালু হওয়া উপলক্ষ্যে প্রতিবার পেওনিয়ার থেকে বিকাশে ট্রানজেকশনে ২% ইন্সট্যান্ট ক্যাশব্যাকও দিচ্ছে বিকাশ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সাররা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি বলেন, “দ্রুততার সাথে তাৎক্ষনিক ভাবে নিরাপদে ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থ পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করায় বিকাশ, পেওনিয়ার ও ব্র্যাক ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরো বলেন, “দক্ষ মানব সম্পদ আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। যে সাড়ে ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে, তারা বিশ্বের অনলাইন আউটসোর্সিং এ ১৬ শতাংশ অবদান রাখছে। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউট এর গবেষণায় উঠে এসেছে, অনলাইন আউটসোর্সিং এ বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য। গত ১৩ বছরে সরকারের বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ ও নীতি সহায়তায় ২০ লক্ষ তরুণ-তরুনীর প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে যা আরো সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছি আমরা”।

“বৈশ্বিক দৃষ্টিকোন থেকেই পেওনিয়ারের জন্য বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ উল্লেখ করে পেওনিয়ারের চিফ রেভিনিউ অফিসার রবার্ট ক্লার্কসন বলেন, “সম্ভাবনাময় বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের উপর বরাবরই আমাদের আস্থা রয়েছে। বিকাশের সাথে এই অংশীদারিত্ব আমাদের বিনিয়োগ ও স্থানীয় গ্রাহকদের সেরা সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতিকেই ব্যক্ত করে। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে সব ধরনের ডিজিটাল ব্যবসায় প্রবৃদ্ধির অংশ হওয়া। বিকাশ ও ব্র্যাক ব্যাংকের মতো শীর্ষ দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদার হয়ে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গী হতে পেরে আমরা আনন্দিত।”

ব্র্যাক ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “ফ্রিল্যান্সারদের বৈদেশিক আয় সরাসরি ও তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশ অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসার এ উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই সেবা দেশের ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট গ্রহণ করার পথ যেমন সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে সেই সাথে দেশে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহকে আরো বৃদ্ধি করবে। আমরা এক সাথে বাংলাদেশকে বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং খাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে এবং এ খাতের বৈদেশিক আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারি।”

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, “বাংলাদেশের যে ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি হয়েছে তার সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে বিশ্ববাজারে দেশের ফ্রিল্যান্সিংকে আরো শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে দেয়ার সুযোগ রয়েছে। রেগুলেটেড পদ্ধতিতে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সহজে পেমেন্ট পাওয়ার এই পদ্ধতি ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘদিনের পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা দূর করবে। এই সেবা আরো অনেককেই ফ্রিল্যান্সিং এ যুক্ত হতে উৎসাহিত করবে, সেই সাথে যারা ফ্রিল্যান্সিং করছেন তাদের কাজে আরো সময় ও মনোযোগ দিতে সহায়তা করবে।”

গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করলো স্যামসাং

গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করলো স্যামসাং

samsang-স্যামসাং-অনলাইন ডেস্ক, আউটলুবাংলা ডটকম Staff reporter, Outlookbangla.com

সম্প্রতি গ্যালাক্সি আনপ্যাকড অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্যামসাং এর বহুল প্রতীক্ষিত গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করেছে। উন্নত ফিচার সমৃদ্ধ এ ডিভাইসগুলোতে রয়েছে অসাধারণ এস-পেন, দ্রুতগতির স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর এবং চমৎকার ক্যামেরা। ডিভাইস দুটি খুব শিগগিরই বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে; আগ্রহীরা আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ডিভাইস দু’টি প্রি-বুকিং দিতে পারবেন।

গ্যালাক্সি এস সিরিজের নতুন ডিভাইস দু’টি চলতি বছরের সবচেয়ে বহুল প্রত্যাশিত ফোন। বিশ্বজুড়ে বিপুল সংখ্যক প্রযুক্তিপ্রেমীর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ডিভাইস দু’টি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর, গ্যালাক্সি আনপ্যাকড অনুষ্ঠানে গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করেছে স্যামসাং। ডিভাইস দু’টিতে বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে স্যামসাং তাই, স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে এ ডিভাইসগুলো।

এ প্রসঙ্গে স্যামসাং মোবাইলের হেড অব বিজনেস মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “বর্তমান বিশ্বে দূরবর্তী স্থান থেকে কাজ করা, অনলাইন ক্লাস ও ডিজিটাল লেনদেন নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে; এ কারণে স্মার্টফোন আমাদের অনেকের কাছেই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে, ক্রেতাদের পর্যবেক্ষণ আমলে নিয়ে তাদেরকে স্মার্টফোন ব্যবহারের উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে নিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের বিশ্বাস, গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ ডিভাইস দু’টি ব্যবহারকারীদের কাছে সৃজনশীলতা ও দক্ষতা বিকাশের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রযুক্তিপ্রেমীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় ভিন্নমাত্রা যোগ করবে।”

গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ ডিভাইস দু’টিতে দ্রুতগতির স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ (৪এনএম) প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ডিভাইসটিতে ৬.৮ ইঞ্চি কিউএইচডি+ ডায়নামিক অ্যামোলেড ডিসপ্লে রয়েছে; পাশাপাশি, ডিভাইসটিতে ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা, ১০৮ মেগাপিক্সেল ওয়াইড ক্যামেরা, দু’টি ১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা ও একটি ৪০ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। এ লেন্সগুলো ব্যবহার করে যে কোন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতেই যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তারা পরিষ্কার ও উজ্জ্বল ছবি তুলতে পারবেন। এছাড়াও, ডিভাইসটিতে রয়েছে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি, যা চোখের পলকেই ব্যবহারকারীদের উন্নত গেমিং অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২+ ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৬ ইঞ্চি এফএইচডি+ ডায়নামিক ডিসপ্লে; সাথে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা, ৫০ মেগাপিক্সেল ওয়াইড ক্যামেরা, ১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা। পাশাপাশি, ডিভাইটিতে রয়েছে ৪৫ ওয়াট দ্রুতগতির চার্জারসহ ৪,৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি সুবিধা, যা ব্যবহারকারীদের সারাদিন চার্জার বহন করার দুশ্চিন্তা ছাড়াই খুব সহজে গেম খেলা ও কনটেন্ট উপভোগ করতে সাহায্য করবে। চমকপ্রদ এসব ফিচারের পাশাপাশি ডিভাইসগুলোতে রয়েছে এস পেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে খুব সহজে বাস্তবিক ছবি তুলতে সাহায্য করবে!

পরবর্তী প্রজন্মের গ্যালাক্সি এস সিরিজ এখন বাজারে; তাই এখন চমৎকার ডিভাইস দু’টি দিয়ে স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোন ব্যবহারকারীরা স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারের অসাধারণ অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।

উচ্চ কর হারের কারণে বিদেশিরা বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকেন: বিডা

উচ্চ কর হারের কারণে বিদেশিরা বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকেন: বিডা

বাংলাদেশে উচ্চ কর হারের কারণে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকেন বলে মনে করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এতে বক্তব্য রাখেন— এনবিআরের কাস্টমস সদস্য (শুল্ক নীতি) মাসুদ সাদিক, সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানা ও সদস্য (আয়কর নীতি) সামস উদ্দিন আহমেদ।

বিডার আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ উন্নয়ন বিভাগের মহাপরিচালক শাহ মোহাম্মদ মাহবুব বলেন, ‘নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাব বাস্তবায়নে করপোরেট কর হার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগে সবসময় পার্শ্ববর্তী এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর করপোরেট কর হার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

বাংলাদেশে উচ্চতর কর হারের কারণে অনেক আগ্রহী বিনিয়োগকারীও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। তাই নতুন বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে এই হার কমানো প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে করপোরেট কর হার ২১ থেকে ২৪ শতাংশের মধ্যে। কিন্তু আমাদের দেশে নন-লিসটেড কোম্পানির কর হার সাড়ে ৩২ শতাংশ, মোট ৪০ শতাংশের ওপরে পড়ে যায়। এ কর হার কমানো দরকার। এই কর হার কমাতে পারলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যাবে। বাংলাদেশকে বিদেশিদের কাছে পজিটিভলি উপস্থাপনে সহায়তা করবে।’

প্রস্তাবনায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া করপোরেট কর দেয় না উল্লেখ মাহবুব বলেন, ‘আমাজন, ফেসবুক ও গুগলের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনলাইন মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া বাংলাদেশে ভ্যাট দিলেও করপোরেট কর দেয় না। তাদের আইনি প্রতিনিধিদের করপোরেট কর দেওয়ার আওতায় আনা উচিত।’ তিনি লভ্যাংশ আয়ের ওপর অগ্রিম কর কোম্পানির জন্য ২০ থেকে ১০ শতাংশ ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০ থেকে ৫ শতাংশ হ্রাস করা, প্লাস্টিক খাতে কন্টিনিউয়াস বন্ডের অনুমতি দেওয়া, টেলিকম সেক্টরের মোট প্রাপ্তির ওপর ন্যূনতম টার্নওভার কর কমানোসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন।

এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মুনিম বলেন, ‘কিছু প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর এত বেশি ও দীর্ঘসময় ছাড় দেওয়া আছে যে, অনেক সময় ওই কোম্পানির কার্যক্রমই শেষ হয়ে যায়। তারপরও করের বোঝা যদি অতিরিক্ত হয়, তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’