Saturday, February 12, 2022

Company Act needs amendment to make it time-befitting: Commerce Secretary

Company Act needs amendment to make it time-befitting: Commerce Secretary

Company Act Needs Amendment To Make It Time-Befitting: Commerce Secretary

Commerce Ministry’s Senior Secretary Tapan Kanti Ghosh said on Saturday that the country’s Company Act needs to be amended and modernized in line with the global perspective for sustainable financial growth.

The Company Act has been amended in 1994, which needs to be more up-to-date in the perspective to adopt so many changes in the global economy and trading system, he said.

The commerce secretary came up with remarks while addressing as the chief guest in the opening session at journalists workshop titled “Investigative Journalism on Company Reporting”, held at ERF Auditorium on Saturday.

In order to develop skilled of economic reporters, the program was jointly organized by Management and Resources Development Initiative (MRDI) and Economic Reporters’ Forum (ERF).

The four-part workshop was chaired by ERF President Sharmeen Rinvy. Barrister Nihad Kabir, chairperson BUILD (Business Initiative Leading Development) and former president of Metropolitan Chamber of Commerce (MCCI), Shahidul Islam CFA former president CFA Society Bangladesh, Shafiqul Alam, bureau chief of Agency France Press (AFP), Hasibur Rahman, Executive Director MRDI, among others, spoke in the function. ERF secretary SM Rashedul Islam Moderated the program.

Tapan Kanti Ghosh said the government has taken initiative to amend the company law to make it inclusive of all relevant issues after reviewing various aspects of the economy.

He said in the free market economy, it is the responsibility of the state to ensure fair prices of goods and services rising to encourage market competition.

The government is trying to do that along with creating a competitive environment for business and productions, the senior commerce secretary said.

Barrister Nihad Kabir said, “There are complications in several cases in company law. Many people get into trouble when they go to liquidate a company. That is why many are not going to end the legal process”

In response to a question, Nihad Kabir said there is no option to produce a complete new Company Act, it should be a consequence of previous Company Act as well as World Trade Organization (WTO) and other international rules and regulations.

She said the problems that have arisen with the passage of time need to be rectified in the new amendment of the Company Act.

AFP bureau chief Shafiqul Alam outlines what aspects the reporter needs to look at in preparing an investigative report on the company.

He said that not only financial irregularities but also the impact of the company’s activities on society and human life and its impact on the environment could be the subject of investigation reporting.

Hasibur Rahman said the MRDI works to improve the skills of journalists including investigative journalism.

To this end, MRDI assists individual reporters and organizations with financial and logistical support, he said.

এক জমিতেই ৩০ প্রজাতির বাঁশ (ভিডিও)

এক জমিতেই ৩০ প্রজাতির বাঁশ (ভিডিও)

এক জমিতেই ৩০ প্রজাতির বাঁশ (ভিডিও)

কয়েক বছর আগেও দেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই যেখানে সেখানে দেখা যেত বাঁশ বাগান। কিন্তু নানা কারণে দ্রুতই সেসব বাগান অস্তিত্ব হারাচ্ছে। শহরে বাঁশ বাগানের দেখা তো পাওয়া যাবেই না, গ্রাম থেকেও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বাগানগুলো।

এমন বাস্তবতায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম। বান্দরবানের লামা উপজেলায় অবস্থিত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের চত্বরে গড়ে তোলা হয়েছে বাঁশ বাগান। আর এই বাগানের বিশেষত্ব হলো- একটি-দুটি নয়, ৩০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে এই বাগানে।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক রাহুল সরকার বলেন, ‘সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০০৭ সালে প্রায় ৮০ শতক জমিতে বাঁশ বাগানটি গড়ে তোলা হয়। প্রথম পর্যায়ে বনবিভাগ থেকে কয়েক প্রজাতির বাঁশ এনে রোপণ করা হয়। পরে দেশের বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বাইর থেকে বাঁশ এনে এখানে রোপণ করা হয়। বর্তমানে এই বাগানে ৩০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে।’

কেন এই বাঁশ বাগান

রাহুল সরকার বলেন, ‘বিলুপ্তপ্রায় গাছ সংরক্ষণ আমাদের কোয়ান্টামের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে বাঁশ বাগানও গড়ে তোলা হয়েছে।’

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বাঁশ বাগানে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে ‘কোয়ান্টাম ব্যাম্বোরিয়াম’ নামে একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা আছে, বনবিভাগের সহযোগিতায় ব্যাম্বোরিয়াম।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক বলেন, ‘অ্যাকুরিয়ামে যেমন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ থাকে, তেমনি ব্যাম্বোরিয়ামে অনেক প্রজাতির বাঁশ থাকে।’

যেসব বাঁশ রয়েছে এখানে

ব্যাম্বোরিয়ামে প্রবেশ করতেই দেখা মিলবে সাদা বাঁশের। পাতাগুলো সাদা। তাই হয়তো এটি সাদা বাঁশ নামে পরিচিত।

পাশেই রয়েছে ঘটি বাঁশ। এই বাঁশ দেখলে মনে হবে, অনেকগুলো মাটির হাঁড়ি একটির উপর আরেকটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো স্বর্ণ বাঁশ। সোনালী রঙের বাঁশটি খুব বেশি লম্বা ও মোটা নয়। সোনালী বর্ণের হওয়ায় দূর থেকে এই বাঁশ খুবই সুন্দর দেখায়।

সবচেয়ে লম্বা ও মোটা ভুদুম বাঁশ। আকাশ ছোয়া এ বাঁশটপাহাড়ি অঞ্চলেই জন্মে।

তেঁতুয়া, থাই, মাকলা, মিতিঙ্গা, তল্লা, বরাক, রেঙ্গুন, ফারুয়া, বেথুয়া, ব্রান্ডিসি, বাইজ্জা, মাকলা, কাঁটা, হেজা, লাঠি, ঘটি, জিগজ্যাগ, বারওয়ারী, বরাক, কনককাইচ, মুলি ও বোম্ব বাঁশ।

বিচিত্র এ বাঁশ বাগানে ঘুরতে আসা দর্শণার্থী আবদুর রহমান জানান, তার বাড়ি ফেনী জেলায়। সমতল ভূমির এ জেলায় তিনি ৩ প্রকারের বাঁশ দেখেছেন। এখানে এক বাগানে ৩০ প্রজাতির বাঁশ দেখে তিনি অভিভূত।

কুমিল্লা থেকে বেড়াতে আসা বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা তাহিবুর রহমান এই বাগান থেকে বিষ্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সত্যি খুব ভালো সংগ্রহ রয়েছে বাগানটিতে। আশা করি বাগানটি সংরক্ষণের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম বাঁশ সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা পাবে।’

No negative growth in any area of the economy: Kamal

No negative growth in any area of the economy: Kamal

No Negative Growth In Any Area Of The Economy: Kamal

Finance Minister AHM Mustafa Kamal has said that there is no sector of Bangladesh’s economy witnessed negative growth, although the global economy was hit hard by the pandemic.

He said this while briefing reporters on the outcomes of the two consecutive meetings of the Cabinet Committee on Economic Affairs and the Cabinet Committee on Public Purchase held virtually on Thursday.

“You can easily find a calculation of the economy. There is no inflation while our exchange rates have remained stable. When globally remittance was facing tough times, our (inward) remittance achieved a 15 per cent growth”, he added.

He also said that the country’s revenue generation obtained 30 per cent growth while the import and IT sector witnessed growth too.

Kamal said though remittance is not considered while calculating the GDP growth, it is considered while calculating per capita income.

“These are the areas of the economy…If there was any negative growth, it will be reflected into the economy,” he said.

Referring to his budget speech, the finance minister said his prediction in the previous FY2020-21 proved correct in the economic growth. The predictions were close to the World Bank’s projections.

He said it was possible because of the people’s participation and efficient leadership of Prime Minister Sheikh Hasina.

“Our expansionary monetary policy has played a role in this regard. We followed this policy when many countries in the world didn’t dare to take this path”, he said adding, these were reasons for the economic growth.

He said that whatever the way you calculate the economic growth, finally you find the same result. “We have given the clarifications.”

Kamal said somebody may say that it was not a correct calculation, but you can yourself see our achievements.

“Nobody can show this achievement anywhere”, he said.

‘নারীর ক্ষমতায়নে নেদারল্যান্ডসের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ’

‘নারীর ক্ষমতায়নে নেদারল্যান্ডসের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ’

‘নারীর ক্ষমতায়নে নেদারল্যান্ডসের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ’

নারী ক্ষমতায়নে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এমনটা বলেছেন ওই দেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রেনে জোনস। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন।

আশির দশকের প্রথম দিকে বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন রেনে জোনস। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর আবার ২০১৫ সালে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠকের জন্য ঢাকায় এলে পুরনো শহরকে চিনতেই পারেননি তিনি।

জীবনের প্রথম পোস্টিং সম্পর্কে রেনে বলেন, ওই সময়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেকে মনে করতো নারী চাকরিজীবীদের জন্য ঢাকা ভালো জায়গা নয়। এখন তা চিন্তাও করা যায় না।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে অনেক শিক্ষিত নারীর পরিচয় ছিল যারা আর্কিটেক্ট, ব্যবসায়ী বা আইনজীবী। এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী যা নেদারল্যান্ডস এখনও পায়নি।

সাবেক ওই কূটনীতিক বলেন, আমি আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেয়েছি বাংলাদেশে। সেটা হলো— যা শোনা যায় সব মেনে নেওয়া ঠিক না। সিদ্ধান্তে আসার আগে নিজে গিয়ে পরিস্থিতি দেখা উচিত।

২০১৫ সালে ঢাকা সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বিস্মিত হয়েছি ঢাকা শহরের ব্যাপ্তি দেখে। আমি গুলশানে থাকতাম, এলাকাটাকে চিনতেই পারিনি। ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম ও অর্থনীতির কলেবর, দুটোই বেড়েছে।

আগামী ৫০ বছরের প্রথম সকাল

১৯৭২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদকে অবহিত করা হয় যে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, আজকের (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আগামী ৫০ বছরের প্রথম সকাল। তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশকে নেদারল্যান্ডস স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং আমাদের উন্নয়ন পরিক্রমায় পাশে থেকেছে।

দুই দেশের মধ্যে নতুন সম্ভাবনাকে স্বীকার করার সময় হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পানি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকা ও হেগ কাজ করতে করছে।

তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ১৫ জন ডাচ পোলট্রি ব্যবসায়ী ঢাকা সফর করবেন। ৭০টিরও বেশি বাংলাদেশি ডিজিটাল কোম্পানি নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ৩০টিরও বেশি ডাচ এনজিও বাংলাদেশে কাজ করছে।

ওয়েবিনারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী বলেন, দুই দেশ এখন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ছাড়াও কৌশলগত স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করছে। ইন্দো-প্যাসিফিকের পরিপ্রেক্ষিতে মেরিটাইম নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার বড় বিষয় এবং এটা নিয়ে ঢাকা ও হেগের স্বার্থ রয়েছে। এমন বিষয়ে কথা বলার সুযোগও রয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ডেল্টা কোয়ালিশনের সদর দফতর ঢাকায় করার জন্য ঢাকার প্রস্তাবে যেন সদস্য রাষ্ট্র নেদারল্যান্ডস সমর্থন দেয়।

Friday, February 11, 2022

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি জুতার রপ্তানি বেড়েছে ৭৩.২২ ভাগ

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি জুতার রপ্তানি বেড়েছে ৭৩.২২ ভাগ

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি জুতার রপ্তানি বেড়েছে ৭৩.২২ ভাগ

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি জুতার রপ্তানি বেড়েছে ৭৩.২২ শতাংশ। এতে রপ্তানিকারকদের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪.৫৮ মিলিয়ন ডলারে।

গত বছরের মোট আয়ের মধ্যে ২৪৯ মিলিয়ন ডলার এসেছে চামড়াজাত জুতা রপ্তানি করে, আর বাকিটা এসেছে অচামড়াজাত জুতা থেকে।

ওটেক্সা’র (অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল) তথ্য বলছে, ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জুতা রপ্তানি করে ১৫৮.৫১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।

২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের জুতা রপ্তানি ১০৪ মিলিয়ন ডলার থেকে ১৬১.৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪.৫৮ মিলিয়ন ডলারে ।

মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা এবং একটি একক দেশের ওপর নির্ভরতা হ্রাস, এর অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। যুক্তিসঙ্গত দাম এবং সফলভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশের মান উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে।

পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি রপ্তানিমুখী চামড়ার পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, “মার্কিন সরকার তার একক দেশের আমদানি নির্ভরতা কমাচ্ছে। এছাড়া, বাণিজ্য দ্বন্দ্বের কারণে চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পণ্যগুলো ক্রমবর্ধমান শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

ইসলাম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পণ্য কেনার গন্তব্যের ওপর একটি ভূ-রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপরন্তু, মার্কিন খুচরা বিক্রেতারা শুল্কের পরিমাণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন। ফলে তারা প্রচুর পরিমাণে অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তরিত করেছে, যা আমাদের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করেছে।

খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ধরে রাখতে হবে রপ্তানিকারকদের। একই সাথে রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

লেদারেক্স ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার আমদানিকারকদেরকে চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে প্ররোচিত করছে, যাতে পণ্যের আমদানি গন্তব্য কোনো একটি দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কম হয়।”

বাংলাদেশের লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট নাজমুল বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনের জিনজিয়াং অঞ্চল থেকে মার্কিন আমদানি নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক যুদ্ধ ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোকে পণ্য ক্রয়ের গন্তব্য স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করেছে।

এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, “আমরা মার্কিন বাজারের সিংহভাগ দখল করতে সক্ষম হবো, যদি আমরা পরিবেশ অনুকূলে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি এবং লিড টাইম কমাতে পারি।”

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে একমত। তিনি বলেন, “দেশে বিদ্যমান কাঁচামাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি, আমরা সহজেই মার্কিন বাজারে নেতৃত্ব দিতে পারি।”

এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেছেন, যদিও পরিবেশগত আর কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ এ সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে বাধা সৃষ্টি করে৷ সরকারের উচিত পৃথক কোম্পানিগুলোকে ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) স্থাপনের অনুমতি দেয়া। যদিও এটি একক কোম্পানির পক্ষে কঠিন, তবে তাদের ব্যবসার স্বার্থে এটি করা উচিত।

বাংলাদেশের ফুটওয়্যার পণ্যের ব্র্যান্ডিং দেশের রপ্তানি আয়ের বড় প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমেরিকান ক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশি পণ্য আর এসবের গুণমানের সাথে পরিচিত ছিল না, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করায় রপ্তানিকারকদের তাদের সাথে সংযুক্ত করেছে।”

তিনি বলেন, “তারা আন্তর্জাতিক বাংলাদেশি চামড়ার পাদুকা এবং চামড়াজাত পণ্যের সোর্সিং শোয়ের আয়োজন করেছে।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অধিকার গোষ্ঠীর সমালোচনার মুখে বায়ু ও পানি দূষণ রোধে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ঢাকার সাভার উপজেলায় ট্যানারি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

২০১৭ সালের এপ্রিলে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সরকার এবং প্রায় ২০০টি ট্যানারিকে সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তর করতে বাধ্য করে।

অনেক ট্যানার সাভারে স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রপ্তানিতে উন্নতি হয়েছে।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির বর্তমান অবস্থা

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২৯.৬৬ শতাংশ বেড়ে ৬৮২.৭৪ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ছিল ৫২৭ মিলিয়ন ডলার।

চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি ৩৭.৪১ শতাংশ বেড়ে ১৮৩ মিলিয়ন এবং চামড়ার জুতা ২৫.৭৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৪.৫২ মিলিয়ন ডলারে।