Sunday, February 20, 2022

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা ওয়ালটনের

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা ওয়ালটনের

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা ওয়ালটনের

ইলেকট্রনিকস পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে চায় দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এবার তারা চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে, যাতে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও টেলিভিশন (টিভি) ও ফ্রিজ রপ্তানি করা যায়।

জানা গেছে, ‘আমাদের পণ্য’ স্লোগানে বাজারে আসা ওয়ালটন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ৩০০ একর জমি চেয়েছে। কিন্তু সেখানে জমির অপ্রতুলতার কারণে তাদের নামে ১০০ একর জমি বরাদ্দ করেছে বেজার নির্বাহী বোর্ড। এখন সবাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের অপেক্ষায়। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলেই শুরু হবে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের নতুন কারখানা নির্মাণের কাজ।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে কারখানা নির্মাণের জন্য আমরা বেজার কাছে জমি চেয়েছি। জমি পেলে আমরা সেখানে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন করব।’

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০০৬ সালে নিবন্ধিত হয়। এটি ওয়ালটন গ্রুপের প্রধান কোম্পানি। কোম্পানিটির সব কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে, যা ঢাকা থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখানে জমির পরিমাণ ৭৬৪ একর। বর্তমানে ওয়ালটনের ১৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের উৎপাদিত উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলো হলো মুঠোফোন, ফ্রিজ, টিভি, এসি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, লিফট, এলইডি বাতি। এ ছাড়া কোম্পানিটি গৃহস্থালিতে ব্যবহার্য বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ইলেকট্রিক ও রাসায়নিক পণ্যসামগ্রী তৈরি করে। বর্তমানে দেশে টিভির বাজারে প্রায় ৪৫ শতাংশ ও এসির ক্ষেত্রেও ২৫ শতাংশের বেশি হিস্যা তাদের বলে দাবি ওয়ালটনের।

বেজা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের প্রাথমিকভাবে ওয়ালটন ৬৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, যা বাংলাদেশের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মতো (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ধরে)। এই কারখানায় মোট ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। কারখানায় কী কী পণ্য উৎপাদন হবে, তার একটি ধারণাও দিয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, সেখানে টিভি, ফ্রিজ, এসি, কম্প্রেসর, তার, অটোমোবাইল ও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন করবে। মোট উৎপাদিত পণ্যের ৬০ শতাংশ দেশের বাজারে বিক্রি করবে। আর বাকি ৪০ শতাংশ পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হবে।

লিন্ডে বাংলাদেশও জমি পাচ্ছে

বহুজাতিক কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশও বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। দেশের সর্ববৃহৎ অক্সিজেন উৎপাদনকারী কোম্পানিটি বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে এয়ার সেপারেশন ইউনিট (এএসইউ) নির্মাণ করবে। প্রস্তাবিত এই প্ল্যান্টে কারখানা, মেডিকেলে ব্যবহারের তরল অক্সিজেন ও নাইট্রাস অক্সাইড উৎপাদিত হবে।

বেজার তথ্য বলছে, লিন্ডে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে পাঁচ একর জমি চেয়েছে। তাদের সে পরিমাণ জমিই অনুমোদন দিয়েছে বেজার নির্বাহী বোর্ড। প্রাথমিকভাবে সেখানে ১৫৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে লিন্ডে। পরে বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়বে।

লিন্ডে বাংলাদেশ হলো লিন্ডে পিএলসি গ্রুপের একটি কোম্পানি, যা জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বহুজাতিক কোম্পানি। ২০১৮ সাল থেকে অবশ্য কোম্পানিটির সদর দপ্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে। বাংলাদেশে এ কোম্পানিটি ব্যবসা করছে ১৯৫৩ সাল থেকে। এর আগে ২০১৫ সালে রাজধানীর অদূরে রূপগঞ্জে এয়ার সেপারেশন ইউনিট স্থাপন করেছিল তারা।

বাইসাইকেল তৈরি করবে পিনাকল

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে বাইসাইকেলও তৈরি হবে। এটি করবে পিনাকল বাইসাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা সেখানে আট একর জমি পেতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে সোয়া কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে পিনাকল বাইসাইকেল। পরে বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়বে। বেজার নির্বাহী বোর্ডের সভায় এরই মধ্যে তাদের প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়েছে।

পিনাকল বাইসাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ সম্রাট কোল্ড স্টোরেজের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি বেজাকে জানিয়েছে, তারা শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে তৈরি করা বাইসাইকেল দেশের বাইরে রপ্তানি করা হবে।

হোটেল ও পর্যটন সেবায় এএমইজেড

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে হোটেল ও পর্যটন সেবা দেবে এএমইজেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা সেখানে পাঁচ একর জমি পাচ্ছে, আর বিনিয়োগ করবে দেড় কোটি ডলার বা ১২৭ কোটি টাকা। পরে তা আরও বাড়বে।

বেজার কর্মকর্তারা বলছেন, ৩০ হাজার একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। চলতি বছরের মধ্যে সেখানে আটটি বড় প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করবে।

ক্রোয়েশিয়া মার্কেটে ব্যাপক সাড়া ওয়ালটন টিভির

ক্রোয়েশিয়া মার্কেটে ব্যাপক সাড়া ওয়ালটন টিভির

ক্রোয়েশিয়া মার্কেটে ব্যাপক সাড়া ওয়ালটন টিভির

এবছর ৩ মিলিয়ন ডলারের টিভি রপ্তানির প্রত্যাশা

ইউরোপের দেশ ক্রোয়েশিয়ার বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশী ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এলইডি টেলিভিশন। দেশটিতে ওয়ালটন টিভির বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে অতি দ্রুত। ওয়ালটন টিভির সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, ফিচার এবং উচ্চ গুণগত মান ক্রোয়েশিয়ার বাজারে অল্প সময়ে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করছে। এছাড়া ওয়ালটন টিভির সময়োপযোগী বিপণন কৌশল এই অসাধারণ সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।

সূত্রমতে, ক্রোয়েশিয়ায় ওইএম (ওরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) পদ্ধতির আওতায় ২০২০ সালে টিভি রপ্তানি শুরু করে ওয়ালটন। তবে ২০২১ সাল থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে নিজস্ব ব্র্যান্ড নামেই টিভি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। ক্রোয়েশিয়ায় ওয়ালটন টিভি বিক্রয় ও বিপণন কার্যক্রম পরিচালনায় কাজ করছে দেশটির খ্যাতনামা ইলেকট্রনিক্স বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ‘স্মার্টফোন আই ট্যাবলেট সার্ভিস ডিওও’।

ক্রোয়েশিয়াসহ বলকান ও মধ্য ইউরোপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রধান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ক্রোয়েশিয়ার বাজারে ওয়ালটন টিভির গ্রাহকচাহিদা বাড়ছে দ্রুত। ইতোমধ্যে দেশটিতে ওয়ালটন টিভি রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের টিভি রপ্তানির প্রত্যাশা ওয়ালটনের। সেজন্য ক্রোয়েশিয়ার বাজারে পরিচালিত হচ্ছে যুগোপযোগি ও আধুনিক বিপণন কৌশল। সেই উদ্দেশ্যে ইন্টারসপার, কউফল্যান্ডের মতো দেশটির বড় বড় সুপার শপে ওয়ালটন টিভি প্রদর্শন ও বিক্রয়ের পাশাপাশি ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় টিভি চ্যানেল এবং অন্যান্য গণমাধ্যমেও প্রচারিত হচ্ছে ওয়ালটন টিভির বিজ্ঞাপন।

ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে টিভি রপ্তানিতে ২৬৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ওয়ালটনের। ওয়ালটন টিভির বড় রপ্তানি বাজার এখন ইউরোপ। বর্তমানে জার্মাানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, রোমানিয়া, নেদারল্যান্ডসহ ইউরোপের ১৪টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন টিভি। এবছর ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার বেশ কিছু নতুন দেশে টিভি রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ চলছে। ওয়ালটনের লক্ষ্য- বিশ্বব্যাপী ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত টেলিভিশন ছড়িয়ে দিয়ে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করা।

জানা গেছে, দেশের শীর্ষ টিভি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এখন ওয়ালটন। বিশ্বের ৩৫টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটনের তৈরি টিভি। বিশ্বের সেরা ৫টি টেলিভিশন প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় পৌঁছানোর মিশন নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশের এই সুপারব্র্যান্ড ও ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট।

‘সস্তায়’ বাজারে এলো দেশে তৈরি রেডমি-১০ স্মার্টফোন

‘সস্তায়’ বাজারে এলো দেশে তৈরি রেডমি-১০ স্মার্টফোন

‘সস্তায়’ বাজারে এলো দেশে তৈরি রেডমি-১০ স্মার্টফোন

শীর্ষ গ্লোবাল স্মার্টফোন কোম্পানি শাওমি বাংলাদেশে তৈরি তাদের দ্বিতীয় স্মার্টফোন রেডমি-১০ (২০২২) সংস্করণ বাজারে ছেড়েছে। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের সব অথরাইজড শাওমি স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে ব্র্যান্ডটি দেশে তৈরি প্রথম স্মার্টফোন রেডমি-৯এ উন্মোচন করেছে। নতুন রেডমি স্মার্টফোন উন্মোচনের মাধ্যমে ‘মেক ইন বাংলাদেশ’ যাত্রা আরও শক্তিশালী করল শাওমি।

রেডমি-১০ (২০২২) স্মার্টফোনটিতে রয়েছে আকর্ষণীয় ফিচার এবং অসাধারণ পারফরম্যান্স ক্ষমতা, যা প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাবে। এতে রয়েছে অসামান্য ৫০ মেগাপিক্সেলের হাই-রেজুলেশনের ক্যামেরা এবং এফএইচডিপ্লাস রেজুলেশনের ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেটযুক্ত ডিসপ্লে।

নতুন স্মার্টফোন উন্মোচন উপলক্ষে শাওমির কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘‘মেক ইন বাংলাদেশ’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমাদের ফ্যানদের জন্য স্থানীয়ভাবে তৈরি দ্বিতীয় স্মার্টফোনের ঘোষণা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। স্থানীয়ভাবে তৈরি আমাদের প্রথম স্মার্টফোন রেডমি ৯এ-এর অসামান্য সফলতার ধারাবাহিকতায় এটি আনা হয়েছে।। আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশের বাজারে মিড-রেঞ্জের পাওয়ারহাউস রেডমি ১০ (২০২২) সংস্করণটি ফ্যানদের কাছে জনপ্রিয় হবে।”

নেক্সট লেভেল ক্যামেরা পারফরম্যান্স

ডিভাইসটিতে থাকা ৫০ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-হাই-রেজুলেশনের প্রাইমারি ক্যামেরা অসাধারণ ডিটেইলসহ ছবি তোলার অভিজ্ঞতা দিবে। ব্যবহারকারীর মূল্যবান সব মুহূর্ত ধরে রাখার স্বাচ্ছ্যন্দ দিতে শাওমি রেডমি-১০ (২০২২) ফোনে একই সঙ্গে দেয়া হয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেলে ম্যাক্রো ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর। শটগুলোকে আরও সুন্দর করে তোলা যাবে ক্যামেরায় থাকা ফিল্টারে, সে জন্য রয়েছে প্যানারোমা সেলফি, যা গ্রুপ ছবি তোলার অভিজ্ঞতা আরো সহজতর করবে । সেলফি নিতে ফোনটির সামনে দেয়া হয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, যাতে রয়েছে টাইম ব্রাস্ট এবং এআই বিউটিফিকেশন।

অসাধারণ ডিসপ্লে এক্সপেরিয়েন্স

রেডমি-১০ (২০২২) রয়েছে বড় ৬.৫ ইঞ্চির ডটডিসপ্লের সঙ্গে ফুলএইচডিপ্লাস রেজুলেশন, এতে থাকছে ৯০হার্জ রিফ্রেশ রেট; যা গেইমিং বা সাধারণ স্ক্রলিং করার সময় স্মুথ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে। এই ডিস্প্লেতে আছে অ্যাডাপটিভ সিঙ্ক প্রযুক্তি, যা সাধারণত ফ্ল্যাগশিপ ফোনে পাওয়া যায়। এই প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিফ্রেশ রেটের সঙ্গে ফ্রেম রেট মিলিয়ে দেয়, এর ফলে ডিভাইসটি স্মুথ রেজাল্ট ও ব্যাটারির পাওয়ার দীর্ঘস্থায়ী করে।

মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৮ প্রসেসরে শক্তিশালী পারফরম্যান্স

রেডমি-১০ (২০২২) ফোনে থাকা ২.০ গিগাহার্জের অক্টা-কোর মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৮ প্রসেসর দেবে যেকোনো সময়ের চেয়ে পরিষ্কার ছবি এবং উন্নত গেইমিং অভিজ্ঞতা। এতে থাকা দ্রুত গতির জিপিইউ, শক্তিশালী হার্ডওয়্যার এবং চমকপ্রদ ফিচার ডিভাইসটিতে দেয় স্মার্টফোন ব্যবহারে নেক্সট লেভেল পারফরম্যান্স।

টেকসই ব্যাটারি

স্মুথ পারফরম্যান্স চাহিদা মেটাতে স্মার্টফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, সঙ্গে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং এবং ২২.৫ ওয়াটের বক্স চার্জার। বড় ব্যাটারির ফোনটি আপনাকে সারাদিন অনায়াসে পাওয়ার ব্যাকআপ দিতে সক্ষম।

কবে পাওয়া যাবে, দাম কত

রেডমি-১০ ২০২২ ফোনটি পাওয়া যাবে কার্বন গ্রে এবং সি ব্লু রঙে। বাংলাদেশে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে ফোনটি দেশের সব অথরাইজড শাওমি স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। স্মার্টফোনটির ৪+৬৪ জিবি সংস্করনের দাম ১৪,৯৯৯ টাকা এবং ৬+১২৮ জিবি সংস্করনের দাম ১৬,৯৯৯ টাকা। বাংলাদেশে তৈরির আগে ফোনটি ২০ হাজার টাকার আশেপাশে দেশের বাজারে বিক্রি হতো। সে তুলনায় দাম এখন অন্তত ৫ হাজার টাকা কম।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন কোম্পানি শাওমি। কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠা করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কনজ্যুমার এআইওটি প্লাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে শাওমির পণ্যগুলো ব্যবহার হচ্ছে।

চীনের টেক জায়ান্ট শাওমি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে। শাওমি একটি কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স এবং স্মার্টফোনসহ স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি; যার মূল হলো স্মার্ট হার্ডওয়্যার এবং ইন্টারনেট অব থিংকস বা আইওটি প্লাটফর্ম।

শাওমি জানায়, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ‘ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং তাদের হৃদয়ে সর্বোত্তম কোম্পানি’ হিসেবে জায়গা করে নেওয়া। পাশাপাশি শাওমির ক্রমাগত উদ্ভাবন, ব্যবহারকারীদের উচ্চ অভিজ্ঞতা এবং পরিচালন দক্ষতা। কোম্পানিটি সম্প্রতি বিশ্বের সেরা সব উদ্ভাবনী পণ্য এনেছে, যা ‘অনেস্ট প্রাইস’ বা সাশ্রয়ী মূল্যে জীবনকে আরও সহজ করে তোলে।

বাজারে এলো ওয়ালটনের নতুন স্পিকার

বাজারে এলো ওয়ালটনের নতুন স্পিকার

বাজারে এলো ওয়ালটনের নতুন স্পিকার

নতুন দুই মডেলের স্পিকার বাজারে নিয়ে এসেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ‘কোরাস’প্যাকেজিং এ ২.১ মাল্টিমিডিয়া স্পিকার দুটির মডেল ‘ডব্লিউএস২১২৯’ (WS2129) এবং ‘ডব্লিউএস২১৬০’(WS2160). উন্নত ফিচারসমৃদ্ধ আকর্ষণীয় ডিজাইনের স্পিকারগুলো দেবে সুমধুর ও জোরালো শব্দ। গান শোনা, মুভি দেখা কিংবা গেম খেলায় অনন্য অনুভূতি পাবেন গ্রাহক।

উল্লেখ্য, গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন মডেলের এবং মূল্যের স্পিকার, সাউন্ডবার এবং অডিও এক্সেসরিজ উৎপাদন এবং বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এর প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ২টি নতুন মডেল নিয়ে এসেছে তারা। স্পিকার দুটির প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে উভয়ের সাথেই সাবউফার আছে।

ডিভাইস দুটি ফুল রেঞ্জ সাউন্ড দিতে সক্ষম। স্পিকারগুলোতে মাল্টি-মোডে ব্লুটুথ, ইউএসবি প্লেব্যাক, অক্স, এফ এম রেডিও এসব সোর্স থেকে সরাসরি পছন্দের মিউজিক উপভোগ করা যাবে। রয়েছে এলইডি ডিসপ্লে, যেখানে দেখা যাবে প্রয়োজনীয় তথ্য।

জানা গেছে, ডব্লিউএস২১৬০’ (WS2160) মডেলের স্পিকারটিতে রয়েছে ১৫ ওয়াটের ২টি স্পিকারের সাথে ৩০ ওয়াটের সাবউফার। বিল্ট-ইন ৩ চ্যানেল পাওয়ার এমপ্লিফায়ার থাকায় এতে পাওয়া যাবে অনন্য মিউজিকের অভিজ্ঞতা। সাথে রয়েছে রিমোট কন্ট্রোল সুবিধা, যার মাধ্যমে দূর থেকেও অডিও ভলিউম নিয়ন্ত্রণ বা পরিবর্তন করা যাবে। এই স্পিকারটির মূল্য ৪,৯৫০ টাকা।

‘ডব্লিউএস২১২৯’ (WS2129) মডেলের স্পিকারটিতে ৫ ওয়াটের ২টি স্যাটেলাইট স্পিকারের সাথে রয়েছে ২০ ওয়াটের সাবউফার। এই মডেলটিতেও যথারীতি বিল্ট-ইন ৩ চ্যানেল পাওয়ার এমপ্লিফায়ার এবং রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে। এর দাম মাত্র ৩,৬৫০ টাকা।

চিফ বিজনেস অফিসার মো. তৌহদুর রহমান রাদ বলেন, “বাংলাদেশের গ্রাহকরা বর্তমানে বিনোদন এবং প্রয়োজন উভয় ক্ষেত্রেই প্রচুর স্পিকার ব্যবহার করেন। সম্প্রতি আমরা সাউন্ডবার এনেছি। যা ইতোমধ্যে গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

উন্নতমানের স্পিকারের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই আমরা আমাদের পণ্যগুলো উৎপাদন এবং বাজারজাত করে থাকি। এজন্য আমাদের নতুন পণ্যগুলোয় সর্বশেষ প্রযুক্তির সব ফিচার আছে, যা গ্রাহকদের বিনোদন ও কাজে অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে।”

স্পিকারগুলো পাওয়া যাচ্ছে সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ওয়ালটনের সব শোরুমে। এতে গ্রাহকরা ১ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন।চিফ বিজনেস অফিসার মোঃ তৌহদুর রহমান রাদ বলেন, “বাংলাদেশের গ্রাহকরা বর্তমানে বিনোদন এবং প্রয়োজন উভয় ক্ষেত্রেই প্রচুর স্পিকার ব্যবহার করেন। সম্প্রতি আমরা সাউন্ডবার এনেছি। যা ইতোমধ্যে গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

উন্নতমানের স্পিকারের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই আমরা আমাদের পণ্যগুলো উৎপাদন এবং বাজারজাত করে থাকি। এজন্য আমাদের নতুন পণ্যগুলোয় সর্বশেষ প্রযুক্তির সব ফিচার আছে, যা গ্রাহকদের বিনোদন ও কাজে অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে।”স্পিকারগুলো পাওয়া যাচ্ছে সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ওয়ালটনের সব শোরুমে। এতে গ্রাহকরা ১ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন।

এসএমই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সীমা কমলো

এসএমই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সীমা কমলো

bsec stock bsec-bsec2-BSEC-বিএসইসি-Bangladesh Securities and Exchange Commission (BSEC)

শেয়ারবাজারে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলেই যে কোনো বিনিয়োগকারী এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করতে পারবেন। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জারি করা এ নির্দেশনায় সই করেছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

এর আগে শেয়ারবাজারে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলে এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করার সুযোগ পেতেন বিনিয়োগকারীরা।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেকোনো বিনিয়োগকারীর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলে তিনি কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারবেন। আর নিবন্ধিত বিনিয়োগকারী এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের লেনদেন করতে পারবেন।

কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধন নিতে বিনিয়োগকারীদের কোনো চার্জ দিতে হবে না। তবে লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজের যে কমিশন আছে, তা দিতে হবে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আগে এসএমই প্ল্যাটফর্মের কোয়ালিফাড ইনভেস্টর হতে শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন সেটি কমিয়ে ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে। ২০ লাখ টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ থাকা যে কোনো বিনিয়োগকারী কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারবেন।

তিনি বলেন, কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধিত হতে বিনিয়োগকারীদের কোনো ফি দিতে হবে না। তবে এসএমই প্ল্যাটফর্মে সিকিউরিটি লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর যে কমিশন ধার্য আছে তা দিতে হবে।

বিভিন্ন পক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় এমন স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ‘স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম’ নামে আলাদা বাজার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প মূলধনের কোম্পনির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপ কোম্পানিজ) রুলস-২০১৬ প্রণয়ন করে। তবে ২০১৮ সালে এর কিছু বিধির সংশোধন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্মল ক্যাপ মার্কেট (এসএমই) প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করে। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এসএমই প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধনের আড়াই বছর পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শেয়ারবাজারে এসএমই প্রতিষ্ঠানের লেনদেন শুরু হয়।

প্রথমিকভাবে ৬টি কোম্পানি নিয়ে শুরু হয় ডিএসইর এসএমই প্ল্যাটফর্মের লেনদেন। এই ছয় কোম্পানি হলো- বেঙ্গল বিস্কিট, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়, অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং মিলস, মাস্টার ফিড এগ্রো, অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ এবং হিমাদ্রী লিমিটেড।

এই এসএমই প্ল্যাটফর্মে শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারেন। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর বলতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তিকে বোঝায়।

বর্তমানে ডিএসই’র এসএমই প্ল্যাটফর্মে ১০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে নিয়ালকো অ্যালয়স, কৃষিবিদ ফিড, মাস্টার ফিড এগ্রোটেক, মোস্তফা মেটাল, মামুন এগ্রো ও অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ- এই ছয় কোম্পানি ‘কিউআইও’ প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রি করে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বাকি চার কোম্পানি অ্যাপেক্স ওয়েভিং, বেঙ্গল বিস্কুট, হিমাদ্রি ও ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজকে বিএসইসির নির্দেশে ওটিসি থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হয়েছে।