Sunday, November 15, 2020

রংপুরে কফি চাষ: সফল মোখলেসুর | Outlook Bangla

রংপুরে কফি চাষ: সফল মোখলেসুর | Outlook Bangla: রংপুরে কফি চাষ: সফল মোখলেসুর রংপুরে কফি চাষ: সফল মোখলেসুর রংপুরে কফি চাষ: সফল মোখলেসুররংপুরে কফি চাষ: সফল মোখলেসুর

Wednesday, November 11, 2020

ধৈর্য ধারণ করলে সুদিন আসবেই | Outlook Bangla

ধৈর্য ধারণ করলে সুদিন আসবেই | Outlook Bangla: ধৈর্য ধারণ করলে সুদিন আসবেই ধৈর্য ধারণ করলে সুদিন আসবেই ধৈর্য ধারণ করলে সুদিন আসবেইধৈর্য ধারণ করলে সুদিন আসবেই

Sunday, November 8, 2020

জিরো থেকে হিরো তিনি | Outlook Bangla

জিরো থেকে হিরো তিনি | Outlook Bangla: জিরো থেকে হিরো তিনিজিরো থেকে হিরো তিনিজিরো থেকে হিরো তিনিজিরো থেকে হিরো তিনিজিরো থেকে হিরো তিনিজিরো থেকে হিরো তিনি

Saturday, November 7, 2020

দেশে ‘ইউটিউব গ্রাম’ | Outlook Bangla

দেশে ‘ইউটিউব গ্রাম’ | Outlook Bangla: দেশে ‘ইউটিউব গ্রাম’দেশে ‘ইউটিউব গ্রাম’দেশে ‘ইউটিউব গ্রাম’ দেশে ‘ইউটিউব গ্রাম’দেশে ‘ইউটিউব গ্রাম’ দেশে ‘ইউটিউব গ্রাম’

Sunday, November 1, 2020

যেভাবে 'তৃষ্ণা' গড়ে তোলেন রাফায়াত | Outlook Bangla

যেভাবে 'তৃষ্ণা' গড়ে তোলেন রাফায়াত | Outlook Bangla: ২০১৩ সাল। ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুলের ক্যানটিনে একদিন ছয় বন্ধুর তুমুল আড্ডা জমেছে। এর মধ্যে হঠাৎই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে একটি সামাজিক সংগঠন শুরুর প্রস্তাব দেয় বন্ধুদের একজন—শাহ রাফায়াত চৌধুরী। এভাবেই টিফিনের ফাঁকে এক আড্ডা থেকেই গড়ে ওঠে রাফায়াতের সংগ�%A...

Tuesday, October 20, 2020

মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি কমানোর প্রস্তাব | Outlook Bangla

মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি কমানোর প্রস্তাব | Outlook Bangla: প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করতে চায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ মোটরসাইকেল নিবন্ধনের নতুন ফি নির্ধারণ করে তা অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব %E...

Sunday, October 18, 2020

রবির আইপিও আবেদনের তারিখ নির্ধারণ | Outlook Bangla

রবির আইপিও আবেদনের তারিখ নির্ধারণ | Outlook Bangla: পুঁজিবাজারে আসছে বহুজাতিক মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড। কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর আবেদন গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানিটির আইপিও আবেদন শুরু হবে আগামী ১৭ নভেম্বর। চলবে ২৩ নভেম্বর পরযন্ত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য...

Saturday, October 17, 2020

জনপ্রিয় হচ্ছে পানিফল, চাষেও লাভজনক | Outlook Bangla

জনপ্রিয় হচ্ছে পানিফল, চাষেও লাভজনক | Outlook Bangla: পানিফল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এর ইংরেজি নাম Water chestnut এবং উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Trapa bispinosa। পানি ফলের আদিনিবাস ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা হলেও এর প্রথম দেখা পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকায়। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় পানি ফলের বাণিজ্যিক ভাবে চাষ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। পানি%E...



জনপ্রিয় হচ্ছে পানিফল, চাষেও লাভজনক
: পানিফল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এর ইংরেজি নাম Water chestnut এবং উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Trapa bispinosa। পানি ফলের আদিনিবাস ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা হলেও এর প্রথম দেখা পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকায়। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় পানি ফলের বাণিজ্যিক ভাবে চাষ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। পানিফল একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। জলাশয় ও বিল-ঝিলে এ ফলটি জন্মে। এর শেকড় থাকে পানির নিচে মাটিতে এবং পাতা পানির উপর ভাসতে থাকে। এক একটি গাছ প্রায় ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পানি ফলের আরেক নাম ‘সিংড়া’।

ফলচাষ শুরু হয় ভাদ্র-আশ্বিন মাসে এবং ফল সংগ্রহ করা হয় অগ্রহায়ন-পৌষ মাসে। পানিফল কচি অবস্থায় লাল, পরে সবুজ এবং পরিপক্ক হলে কালো রং ধারণ করে। ফলটির পুরু নরম খোসা ছাড়ালেই পাওয়া যায় হৃৎপিন্ডাকার বা ত্রিভুজাকৃতির নরম সাদা শাসঁ। কাঁচা ফলের নরম শাসঁ খেতে বেশ সুস্বাদু। প্রতি ১০০ গ্রাম পানিফলে ৮৪.৯ গ্রাম পানি, ০.৯ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ২.৫ গ্রাম আমিষ, ০.৯ গ্রাম চর্বি, ১১.৭ গ্রাম শর্করা, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৮ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.১১ মিলি গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ ও ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

তাছাড়া এ ফলে ৬৫ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে। পানিফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। দেহের প্রয়োজনীয় খনিজ লবণগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম। ফসফরাসের সহযোগিতায় শরীরের হাড় ও দাঁতের গঠন এবং মজবুত করা ক্যালসিয়ামের প্রধান কাজ। লৌহ অত্যন্ত জরুরি একটি খনিজ লবণ। লৌহের অভাবে মানবদেহে অপুষ্টিজনিত রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়। ছোট ছেলেমেয়েরা এবং গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েরা অতি সহজে রোগের শিকার হয়। পানি ফলে যথেষ্ট পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পানি ফলে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমাণ ১৫ মিলিগ্রাম আর শসাতে আছে ভিটামিন ‘সি’ মাত্র ৫ মিলিগ্রাম। ভিটামিন ‘সি’ শরীরে চামড়া, দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য।

তাছাড়া ভিটামিন ‘সি’ অস্ত্রে লৌহ শোষণে সাহায্য করে। বাংলাদেশের শতকরা ৯৩ ভাগ পরিবার ভিটামিন ‘সি’ এর অভাবে ভুগছে। খাদ্যে ভিটামিন ‘সি’ এর ঘাটতি বিবেচনা করে এ ফলের প্রতি আমাদের অধিকতর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। পানি ফল কাঁচা খাওয়া হয়, তবে সিদ্ধ করেও খাওয়া যায়। কাঁচা পানিফল বলকারক দুর্বল ও অসুস্থ মানুষের জন্য সহজপাচ্য খাবার। ফলের শুকনো শাঁস রুটি করে খেলে এলার্জি ও হাত-পা ফোলা রোগ উপশম হয়। পিওপ্রদাহ, উদরাময় ও তলপেটের ব্যথ্যা উপশমে পানিফল খাওয়ায় প্রচলন রয়েছে। বিছাপোকা কামড়ের যন্ত্রনায় থেঁতলানো কাঁচা ফলের প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।

পানিফল খুব লাভজনক একটি ফসল। এর উৎপাদন খরচ খুব কম। সাতক্ষীরা জেলার সদর, কলারোয়া, দেবহাটা, কালিগঞ্জ, আশাশুনি, সদরের আংশিক ও শ্যামনগর উপজেলায় জলাবদ্ধ এলাকার চাষিরা পানিফল চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন। ফলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ ফলের চাষ। সেই সাথে বাড়ছে ফলটির জনপ্রিয়তা।

জেলার সিংহাভাগ পানিফল চাষ হয় সাতক্ষীরার দেবহাটায়। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এ ফল সারা দেশে ফল হিসেবে পরিচিতি না থাকলেও দিনে দিনে এর চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। পানি ফলের বাম্পার ফলন ও লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে চাষীদের। পানি ফল বা পানি স্যাংড়া নামের ফল চাষে অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় দেবহাটাসহ সাতক্ষীরা জেলার চাষীরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে। স্থানীয়ভাবে ফলটি উৎপাদন বেশি হওয়ায় জনপ্রিয় চাষ হয়ে উঠেছে। সুস্বাদু ও প্রিয় মৌসুমে ফল হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে ব্যাপক পরিমাণ চাষ হচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় দেবহাটাতে প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে হেক্টর প্রতি ৩০ টন ফলন হয়েছে।

উপজেলার সখিপুর, গাজিরহাট, কামটা, কোঁড়া, দেবহাটা, পারুলিয়া, কুলিয়া, বহেরাসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ চাষ ফসল চাষের জমি হিসেবে ডোবা, খানা, মৎস্য ঘেরে সুবিধাজনক। সামান্য লবণাক্ত ও মিষ্টি পানিতে চাষ করা যায়। তাছাড়া পানি ফল গাছ কচুরিপানার মতো পানির উপরে ভেসে থাকে, পাতার গোড়া থেকে শিকড়ের মতো ডগা বের হয়ে বংশ বিস্তার করে এবং তা থেকে ফল ধারণ করে। পানিফল চাষে খুব বেশি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। সার ও কীটনাশকের পরিমাণ কম লাগে।

উপজেলার কয়েকজন পানিফল চাষি বলেন, অল্প দিনে মৌসুমী ফল হিসাবে পানি ফল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে পাইকারি বিক্রয় করছেন। তাদের উৎপাদিত ফল পাইকাররা খেত থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ায় বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয় না তাদের।

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ মহাসড়কের সখিপুর ও ডেল্টা মোড় এলাকার খুচরা পানিফল ব্যবসায়ীরা বর্তমানে ২০/২৫ টাকা দরে পানিফল বিক্রয় করছেন। দিনে গড়ে ২০/৩০ কেজি ফল বিক্রয় করে ১০০/১৫০ টাকা লাভ করে। তাদের এটি মৌসুমী ব্যবসা।

পাইকারি পানিফল ব্যবসায়ী কামটা গ্রামের মৃত আব্দুল ছালেকের পুত্র খোকন বাবু সরদার বলেন, চাষের মৌসুম আসার আগে তিনি অর্ধ শতাধিক চাষীর মাঝে অর্থ বিনিয়োগ করেন। পরবর্তীতে ফলন আসার পরে বাজার দর অনুযায়ী উৎপাদিত ফসল ক্রয় করেন। এভাবে ২৫ বছরের বেশি সময় তিনি পানিফল ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন। প্রতিদিন তিনি ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, চিটাগাং, সিলেট, রাজশাহী, বেনাপোল, যশোর, নাটোর, বগুড়া, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ফল রপ্তানি করেন। বর্তমান জেলার বাইরের বাজার ভেদে পাইকারিভাবে বিক্রি করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফ মোহাম্মাদ তিতুমির জানান, পানিফল চাষ কৃৃষি খাতে চাষ হিসেবে ধরা না হলেও এটি অতিদ্রুত চাষের খাতে আনা হতে পারে। তাছাড়া গত বছরের তুলনায় এর আবাদ বেড়ে চলেছে।

Tuesday, October 13, 2020

ই-টিআইএন কীভাবে নেবেন, কোনো টাকা লাগে না | Outlook Bangla

ই-টিআইএন কীভাবে নেবেন, কোনো টাকা লাগে না | Outlook Bangla: এখন চলছে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেয়ার মৌসুম। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে রিটার্ন দেয়ার জন্য করদাতাদের মধ্যে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। প্রত্যেক করদাতার একটি ই-টিআইএন আছে। এটি হলো আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করণ। ই-টিআইএন কীভাবে করবেন? ই-টিআইএন নিতে আপনাকে কর অফিসে %E...


ই-টিআইএন কীভাবে নেবেন, কোনো টাকা লাগে না

এখন চলছে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেয়ার মৌসুম। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেই রিটার্ন দেয়ার জন্য করদাতাদের মধ্যে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। নানা ধরনের কাগজপত্র জোগাড় করতে হয়। অনেকে কর আইনজীবীর কাছেও দৌড়ান। তবে নতুনরা কী করবেন? রিটার্ন দিতে হলে প্রথমেই আপনাকে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নিতে হবে। এ জন্য আপনাকে কর অফিসে যেতে হবে না। এই ঝামেলা থেকে আপনি রেহাই পাবেন। ঘরে বসেই অনলাইনেই ই-টিআইএন নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, ই-টিআইএন নিতে কোনো টাকা লাগে না। কোনো ফি বা মাশুল দিতে হয় না, এটা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে পাওয়া যায়।

কীভাবে টিআইএন নেবেন?

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি ই-টিআইএন নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে www.nbr.gov.bd এই ঠিকানায় ই-টিআইএন অপশনে গিয়ে ক্লিক করলেই ই-টিআইএন নেয়ার পেজ পাওয়া যাবে। অবশ্য সরাসরি incometax.gov.bd ঠিকানায় গিয়েও ই-টিআইএন নেয়ার একই পেজ পাওয়া যাবে। সেখানে আপনাকে প্রথমেই নির্ধারিত স্থানগুলো পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ই-মেইল ও মুঠোফোন নম্বর জরুরি। তারপর রেজিস্ট্রার বাটনে ক্লিক করলেই ই-টিআইএনের ফরম পাওয়া যাবে।


ই-টিআইএন কীভাবে নেবেন

ওই ফরমের শূন্যস্থান পূরণের জন্য আপনার কাছে কিছু মৌলিক তথ্য চাওয়া হবে। যেমন নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, বয়স ইত্যাদি। মনে রাখবেন, ঘরে বসে ই-টিআইএন পেতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবেই। কারণ, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাই-বাছাই করা হয়। অনলাইনে ই-টিআইএনের ওই ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ই-মেইলে ১৩ সংখ্যার ই-টিআইএন পাঠিয়ে দেয়া হবে। এভাবে সহজে ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন ই-টিআইএন।


এখন প্রশ্ন হলো, যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই কিংবা বিদেশি নাগরিকেরা কীভাবে ই-টিআইএন নেবেন? তারা নিজ নিজ পাসপোর্ট ও এর কপি নিয়ে নির্দিষ্ট কর কার্যালয়ে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। তারপর কর কর্মকর্তারা সনাতন পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই করে ই-টিআইএন ইস্যু করে থাকেন। এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ই-টিআইএন নিতে অভিভাবকের টিআইএন, করদাতার ছবি ইত্যাদি লাগে।


এখন আর আগের মতো সনাতন পদ্ধতিতে টিআইএন দেয়া হয় না। রিটার্ন দিতে হলে ১২ সংখ্যার ই-টিআইএন দিতে হয়। বর্তমানে প্রায় ৪২ লাখ ই-টিআইএনধারী আছেন। অবশ্য তাদের সবাই বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেন না। প্রতিবছর ২২-২৩ লাখ টিআইএনধারী রিটার্ন জমা দেন। তবে এ বছর থেকে কিছু শর্তে ছাড় দিয়ে প্রায় সব টিআইএনধারীর রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।


ই-টিআইএন হলো- আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করণ। একজন করদাতাকে আয়কর নিবন্ধন নম্বরের মাধ্যমে করদাতা হিসেবে শনাক্ত করা হয়। নিবন্ধিত করদাতা বছর শেষে রিটার্ন জমা দেয়ার মাধ্যমে বার্ষিক আয়-ব্যয় ও সঞ্চয় বর্ণনা করেন।

এ ছাড়া কিছু কাজ করতে গেলে টিআইএন লাগে। যেমন জমি কিনতে গেলে টিআইএন লাগে। আবার বিদ্যুৎ-সংযোগ নিতেও টিআইএন লাগবে। কিংবা আপনি গাড়ি কিনেছেন, টিআইএন ছাড়া গাড়ির নিবন্ধন নিতে পারবেন না। এমনকি আপনি ব্যাংকে এফডিআর করেছেন, টিআইএনের কপি ওই ব্যাংকে জমা দিলে এফডিআরের সুদের ওপর ৫ শতাংশ কম আয়কর কাটবে। সুদের ওপর ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ উৎসে কর করা হবে।

কীভাবে খুলবেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট | Outlook Bangla

কীভাবে খুলবেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট | Outlook Bangla: নিজের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা হিসাব থাকবে, এটা সবারই কাম্য। তিনি যেকোনো শ্রেণি, পেশা ও আয়ের মানুষ হোন না কেন। তবে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক মাত্র ৫০ শতাংশ মানুষের ব্যাংক হিসাব আছে। আর বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) হিসাব ধরলে ৭০ শতাং�...



কীভাবে খুলবেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

স্টাফ রিপোর্টার, আউটলুকবাংলা ডট কম



নিজের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা হিসাব থাকবে, এটা সবারই কাম্য। তিনি যেকোনো শ্রেণি, পেশা ও আয়ের মানুষ হোন না কেন। তবে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক মাত্র ৫০ শতাংশ মানুষের ব্যাংক হিসাব আছে। আর বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) হিসাব ধরলে ৭০ শতাংশ মানুষ আর্থিক সেবার আওতায় এসেছে।



যদিও ব্যাংক হিসাব ও এমএফএস হিসাব এক নয়। কারণ, এমএফএস মূলত টাকা স্থানান্তর প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে কিছু কেনাকাটা ও বিল পরিশোধ করা যায়। এসব হিসাবে আলাদাভাবে কোনো সঞ্চয় স্কিম নেই। ফলে সঞ্চয়ের প্রবণতা গড়ে তুলতে ব্যাংক হিসাবের বিকল্প নেই। আবার আর্থিক জ্ঞান বাড়াতেও ব্যাংক হিসাব প্রয়োজন।



তাই আজ আমরা তুলে ধরব কীভাবে আপনি ব্যাংক হিসাব খুলবেন। একটি হিসাব খোলার মাধ্যমে আপনার সঙ্গে ব্যাংকের সম্পর্ক শুরু হবে। প্রথমে আপনি ছোট অঙ্কের টাকা জমা করবেন, একসময় প্রয়োজনে কিছু ঋণ নেবেন। এটাই ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম-আমানত নেয়া ও ঋণ দেয়া।



তাহলে জেনে নিই, ব্যাংক হিসাব খুলতে কী প্রয়োজন। আগের চেয়ে ব্যাংক হিসাব খোলা কিন্তু এখন বেশ সহজ হয়েছে। তবে যতই সহজ হোক না কেন, কিছু তথ্য, ছবি তো দিতেই হবে। এ জন্য প্রয়োজন আপনার নিজের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), নমিনির ছবি ও এনআইডি এবং ওই ব্যাংকে হিসাব রয়েছে এমন একজন পরিচয়দানকারী। সঙ্গে সবার স্বাক্ষর তো লাগবেই। জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংক যোগাযোগ করবে, এমন একজনের নাম-ঠিকানাও দিতে হবে।



প্রতিটি হিসাব খোলার সময় গ্রাহক পরিচিতি তথ্য (কেওয়াইসি) জমা দিতে হয়। এখানে নাম-পরিচয়ের পাশাপাশি পেশা, অর্থের উৎস, মাসিক আয় ও ব্যয়ের তথ্য দিতে হবে। প্রয়োজন হলে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নম্বরও জমা নেয় কিছু কিছু ব্যাংক।



হিসাব খোলার ফরমেই দিতে হবে আপনি কী কাজে হিসাবটি ব্যবহার করতে চান। ওই হিসাবে কী পরিমাণ লেনদেন হবে, প্রতি মাসে নগদ ও চেকে কত জমা-উত্তোলন হবে, তার তথ্যও দিতে হবে।



হিসাব খোলার জন্য এসব তথ্যই যথেষ্ট, তা নয়। প্রতিটি হিসাব খোলার সময় গ্রাহক পরিচিতি তথ্য (কেওয়াইসি) জমা দিতে হয়। এখানে নাম-পরিচয়ের পাশাপাশি পেশা, অর্থের উৎস, মাসিক আয় ও ব্যয়ের তথ্য দিতে হবে। প্রয়োজন হলে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নম্বরও জমা নেয় কিছু কিছু ব্যাংক। ই-টিআইএন জমা দিলে সুদের ওপর ৫ শতাংশ কর ছাড় পাওয়া যায়। তবে এখন কিছু কিছু ব্যাংক ইলেকট্রনিক কেওয়াইসিও চালু করেছে। বিশেষ করে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায়। এর ফলে ৫ মিনিটেই ব্যাংক হিসাব খুলে যাচ্ছে।



হিসাব খোলার সময়ই আপনি কী কী সেবা নেবেন তার চাহিদা দিতে পারেন। যেমন এটিএম কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এসএমএস অ্যালার্ট। আর একটি হিসাব খোলার জন্য আপনাকে কতবার স্বাক্ষর করতে হবে, তার হিসাব নেই। তবে এখন বেশির ভাগ ব্যাংক দুই পাতার হিসাব খোলার ফরম চালু করেছে। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই একটি গর্বিত ব্যাংক হিসাবের মালিক হয়ে যেতে পারেন।



এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে অনেক ব্যাংক ঘরে বসে ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ দিয়েছে। এতে অনলাইনেও এসব ছবি ও তথ্য জমা দিয়ে হিসাব খোলা যাচ্ছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা সরেজমিনে যাচাই করে হিসাব খোলার চূড়ান্ত অনুমোদন দিচ্ছেন।



ব্যাংক হিসাবের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, প্রতিটি মানুষের ব্যাংক হিসাব থাকা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে একজন মানুষ নিজের আর্থিক লেনদেন ও চাহিদা মেটাতে পারেন। তবে আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্ক ৫০ শতাংশ মানুষের হিসাব রয়েছে। এটা বাড়াতে হবে। এ জন্য ব্যাংক হিসাব খোলা আরো সহজ করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে অনেকটা সহজ হয়েছে।