করোনার ঊর্ধ্বগতি বারবার হানা দিচ্ছে পর্যটন শিল্পের ওপর। নিঃস্ব করে দিয়েছে এই ব্যবসায় বিনিয়োগকারী অনেককেই।
এদিকে, পর্যটন শিল্পের ওপর বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ায় এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা খুশি।
newsbdd.blogspot.com। দেশের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম। কোটিপতি হওয়ার গল্প, সাফল্য, নিউজ, খবর, সংবাদ, হিরো, শীর্ষ।
করোনার ঊর্ধ্বগতি বারবার হানা দিচ্ছে পর্যটন শিল্পের ওপর। নিঃস্ব করে দিয়েছে এই ব্যবসায় বিনিয়োগকারী অনেককেই।
এদিকে, পর্যটন শিল্পের ওপর বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ায় এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা খুশি।
বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের সফলতার গল্প এবার আসছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে। চ্যানেলটির জনপ্রিয় ‘সুপারফ্যাক্টরিজ’ সিরিজে প্রচারিত হতে যাচ্ছে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞ নিয়ে নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি)। যা ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সুপারফ্যাক্টরিজ সিরিজ প্রচার করতে যাচ্ছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল একটি প্রামাণ্যচিত্র বিষয়ক বাণিজ্যিক টেলিভিশন চ্যানেল। চ্যানেলটির অনুষ্ঠানগুলো মূল ইংরেজিসহ বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলুগু ইত্যাদি ভাষায় ডাবিং করা অডিও ফিডসহ প্রচারিত হয়। বাংলাদেশের ক্যাবল অপারেটরের (ডিশ সংযোগ) গ্রাহক এবং ডিটিএইচ ব্যবহারকারীরা চ্যানেলটির অনুষ্ঠানমালা দেখতে পান।
৪৪ মিনিট দৈর্ঘ্যরে প্রামাণ্যচিত্রটিতে দর্শকরা বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার পেছনে ওয়ালটনের যাত্রা এবং এর পরিচালনা কার্যক্রম দেখতে পাবেন। এতে উঠে আসবে কিভাবে ইলেকট্রনিক্স ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এমনকি এলিভেটর উৎপাদন, বিপণন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিপণ্যের হাব বা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে ওয়ালটন।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের অনুষ্ঠানটিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের জগতে ওয়ালটনের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের ধারাবাহিক ইতিহাস তুলে ধরা হবে। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে একটি কৃষিভিত্তিক দেশকে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বদরবারে উপস্থাপনে ওয়ালটনের স্বপ্ন এবং পরিকল্পনামাফিক তা বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপ এ প্রামাণ্যচিত্রে উঠে আসবে।
‘সুপারফ্যাক্টরিজ: ওয়ালটন’ অনুষ্ঠানটি আধুনিক প্রকৌশলবিদ্যার সফল প্রয়োগ এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে ওয়ালটন পণ্যের অপ্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে ওঠার পেছনের গল্প দর্শকদের সামনে উন্মোচন করবে। প্রামাণ্যচিত্রটি বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের জগতে ওয়ালটনের পথিকৃত হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণামূলক যাত্রার গল্প তুলে ধরবে। দর্শকরা ওয়ালটন কারখানার অত্যাধুনিক উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে পাবেন। পাশাপাশি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে ওয়ালটনের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম সম্পর্কেও জানতে পারবেন। বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে ওয়ালটনের স্বপ্নযাত্রার কথাও এতে উঠে আসবে।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) মোহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ওয়ালটন অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে ওয়ালটন। এই প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের সফলতার গল্প আমরা দর্শক-শুভানুধ্যায়ীদের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি। আমাদের বিশ্বাস এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের হাব হিসেবে বিশ্ববাসী নতুন এক বাংলাদেশকে দেখতে পাবে। প্রামাণ্যচিত্রটি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের জনপ্রিয় সুপারফ্যাক্টরিজ সিরিজ হাই-টেক ফ্যাক্টরিগুলো সম্পর্কে দর্শকদের আরো গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করে, যা তাদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। এই প্রামাণ্যচিত্রে ওয়ালটন গ্রুপের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা এবং দেশটির ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পখাতে তাদের অবদানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তারা আশাপ্রকাশ করেন এর ফলে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক কারখানা এবং বিশাল কর্মযজ্ঞের বিষয়ে দর্শকরা স্পষ্ট ধারণা পাবেন।
জানা গেছে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের এইচডি এবং এসডি উভয় ফরমেটে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রামাণ্যচিত্রটি যথাক্রমে ৬ মার্চ (রোববার) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০.৩০, ১২ মার্চ (শনিবার) রাত ৮.৩০, ১৩ মার্চ (রোববার) সকাল ১০.৩০, ১৯ মার্চ (শনিবার) রাত ৮.৩০, ২৭ মার্চ (রোববার) সকাল ১০.৩০, ২ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ১০.৩০ এবং ৩ এপ্রিল (রোববার) সকাল ১০.৩০ মিনিটে পুনঃপ্রচারিত হবে।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাজারে নিয়ে আসছে নতুন ক্যাটাগরির পণ্য প্রিন্টার। ‘প্রিন্টন’ প্যাকেজিং এ প্রাথমিকভাবে ২টি মডেলের লেজার প্রিন্টার গ্রাহকদের জন্য ছাড়বে ওয়ালটন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওয়ালটন প্রিন্টারে রয়েছে দ্রুতগতির ওয়ারলেস প্রিন্টিংসহ বিভিন্ন সুবিধা।
জানা গেছে, ওয়ালটনের নতুন প্রিন্টার দুটির মডেল প্রিন্টন পিএমএফ২২ এবং প্রিন্টন পিএস২২ । এর মধ্যে পিএমএফ২২ মডেলটি মাল্টি ফাংশন সুবিধাযুক্ত। অর্থাৎ প্রিন্টের পাশাপাশি স্ক্যান এবং ফটোকপি করা যাবে। এর মূল্য ১৬হাজার ৭৫০ টাকা। পিএস২২ মডেলটি সিঙ্গেল ফাংশনের। এতে প্রিন্ট করা যাবে। এই প্রিন্টারটির দাম ১১,৭৫০ টাকা।
ওয়ালটনের প্রিন্টারের প্রধান বিশেষত্ব হচ্ছে ২২ (এ ফোর) এবং ২৩ (লেটার) পিপিএম প্রিন্ট স্পিড। অর্থাৎ অত্যন্ত দ্রুত প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট প্রিন্ট করে। এছাড়া উভয় মডেলেই ১২০০ ইনটু ১২০০ ডিপিআই রেজ্যুলেশন, ৬০০ মেগাহার্টজ প্রসেসর এবং ১২৮ মেগাবাইট মেমোরি রয়েছে। এই প্রিন্টার দুটিতে ইউএসবি ক্যাবল সংযোগের মাধ্যমে প্রিন্ট করা ছাড়াও ওয়ারলেস প্রিন্টিং এর সুবিধা রয়েছে। এছাড়া মাল্টি ফাংশন প্রিন্টারটিতে নেটওয়ার্ক প্রিন্টিং এর সুবিধা রয়েছে; যা কর্মক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের বিশেষ সুবিধা দেবে।
ওয়ালটন প্রিন্টারের প্রোজেক্ট ম্যানেজার মো. শাহিদুজ্জামান বলেন, “আমাদের প্রিন্টারে ‘ওয়ান-স্টেপ ইন্সটলেশন’ অপশন দেওয়া হয়েছে, যার দ্বারা মাত্র এক ক্লিকেই খুব সহজে এর ড্রাইভার পিসিতে ইন্সটল করা যাবে। এই ডিভাইসের প্রতিযোগিতামূলক দাম এবং ফিচার সবার জন্য প্রিন্টার ব্যবহার আরও সহজতর এবং সাশ্রয়ী করতে সক্ষম হবে।‘
বিভিন্ন মোডে বিভিন্ন সাইজের কাগজ প্রিন্ট করার সুবিধা থাকায় প্রিন্টারগুলো সব শ্রেণীর গ্রাহকদের জন্য বেশ সহায়ক হবে বলে মনে করেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কম্পিউটার এবং আইটি এক্সেসরিজের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান রাদ। তার মতে ওয়ালটনের প্রিন্টারগুলো কর্পোরেট অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য দারুণ নির্ভরযোগ্য।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, “করোনা মহামারিতে শিক্ষা কার্যক্রম ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা প্রিন্ট করা, কপি করার কাজে বাইরে যেতে পারেনি। অনেক কর্মকর্তাও ওয়ার্ক ফ্রম হোমে থাকায় এই সমস্যাটির সম্মুখীন হয়েছে। বাজারে থাকা মাল্টিফাংশনাল প্রিন্টারগুলোর মূল্য বেশ চড়া হওয়ায় চাইলেই গ্রাহকরা প্রিন্টার কিনে নিতে পারেনি। আমাদের পণ্য গ্রাহকদের চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়েই ডেভেলপ করা হয়। আমাদের পণ্যে গ্রাহকরা আস্থা রাখতে পারবেন। আর্থিকভাবেও সাশ্রয়ী হবেন।”
এছাড়াও প্রিন্টারগুলোয় ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট মডেলের টোনার বাজারে এনেছে ওয়ালটন। ১,৯৮৫ টাকা মূল্যের টিএন১৬ মডেলের এই টোনারটি ওয়ালটনের ২টি প্রিন্টারেই ব্যবহার উপযোগী।
আরও পাওয়া যাবে টোনারের রিফিল ৬৫ গ্রামের কিট। যার মূল্য মাত্র ৬৫০ টাকা। অর্থাৎ ওয়ালটন প্রিন্টারের গ্রাহকরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় টোনার এবং রিফিলও ওয়ালটন শোরুম থেকেই পাবেন।ওয়ালটনের এই প্রিন্টার দুটিতে থাকছে ১ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি সুবিধা।