Monday, September 2, 2019

বিদ্যুতের আলো ছাড়াই কাজ করা যায় যে ভবনে

সূত্র প্রথম আলো: গুলশানের মতো এলাকায় বাঁশগাছ। তাও আবার বহুতল ভবনের প্রতিটি তলায়। নান্দনিক বিষয়টি সিটিস্কেপ টাওয়ারের সামনে গেলেই চোখে পড়বে। ১৬ তলা ভবনের অধিকাংশ তলাতেই দিনের বেলায় বিদ্যুতের আলো ছাড়াই কাজ করা যায়। ভবনটিতে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। 

সিটিস্কেপ টাওয়ার নির্মাণ করেছে সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) লিড প্লাটিনাম নামের পরিবেশবান্ধব সনদ পায়। লিড প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে এটিই দেশের প্রথম বাণিজ্যিক ভবন। এটি ১১০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৮১। ভবনের স্থপতি মুজতবা আহসান ও শাহরিয়ার ইকবাল রাজ।

সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা মঈন সারোয়ার গত বৃহস্পতিবার ঘুরিয়ে দেখান। তিনি জানান, ভবনের দেয়ালে দ্বিস্তরের কাচ ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে আর্গন গ্যাস থাকায় সূর্যের তাপে খুব বেশি গরম হয় না। আবার ভবনের ভেতরে ও বাইরে স্পেন থেকে আনা তাপ শোষণক্ষমতার বিশেষ কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। এই কাচ ও কাঠের কারণে কক্ষ তুলনামূলক শীতল থাকে তাই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের পেছনে খরচ কিছুটা কম। আবার ভবনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের লিফট। এটি সাধারণ লিফটের চেয়ে ৭৫ শতাংশ কম বিদ্যুতেই চলে। 

এখানেই শেষ নয়, ভবনের প্রক্ষালনকক্ষে ব্যবহৃত পানি পরিশোধন করে আবার ব্যবহার করা হয়। বেসিনের ব্যবহৃত পানিও পরিশোধন হচ্ছে। তাতে ৮০ শতাংশ পানিই পুনরায় ব্যবহার হয় ভবনটিতে। ভবনের ছাদে আছে সৌরবিদ্যুৎ। 


সাড়ে ১৬ কাঠা জমির ওপর পরিবেশবান্ধব ভবনটি নির্মাণে চারপাশের অর্ধেক জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পার্কিংয়ের জন্য বেসমেন্ট আছে তিনটি তলা। তবে সেখানে বিশেষ ব্যবস্থায় দ্বিগুণ গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫টি তলা বেসরকারি ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া ও বিক্রয় করেছে সিটিস্কেপ ইন্টারন্যাশনাল।

No comments:

Post a Comment