মন্দা ব্যবসা। দিন চলাই ছিল কষ্টের। কোনরকমে টেনেটুনে সংসার চলছিল। এর আগে চাকরি করতেন তিনি। দুবাইয়েরই রকউল ফ্যাক্টরিতে। জুনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ হিসেবে। একটি ফোনেই চাকরি ছেড়ে দেন। হাতে মাত্র ৭০ হাজার টাকা পুঁজি। অনেক ভেবেচিন্তে ব্যবসা দিয়ে বসেন। দোকানের ডেকোরেশন করতেই বেশির ভাগ টাকা চলে যায়। এখন মালামাল তুলাই কঠিন হয়ে পড়ে। যে টাকা ছিল, সে টাকা দিয়েই তিনি কিছু গার্মেন্ট পণ্য দোকানে তোলেন। কিন্তু না, এ ব্যবসা তার দিকে মুখ ফিরিয়ে তাকাচ্ছে না। ব্যবসা জমছে না। কি করবেন তিনি? নানা চিন্তা তার মাথায়। তবে হতাশ নন। তিনি হতাশ হবার পাত্র নন। লেগে আছেন। এভাবে দিন চলতে থাকে। কষ্টের দিন। ভাবনার দিন। কিছু না পাওয়ার দিন। এই না পাওয়াই তার জীবনকে ঘুরিয়ে দেয়। জীবনের বাঁকে বাঁকে যার বুকে সাগরের ঢেউ, তিনি হয়ে ওঠেন আনন্দে উদ্বেলিত। আজ তিনি বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন শিল্পপতি। ব্যবসায়ী।