Saturday, October 12, 2019

ব্যাংকিং খাত নিয়ে উল্টোপাল্টা চলছে: সুজন (ভিডিও)

সুজনের সেমিনার, ব্যাংকিং খাত নিয়ে উল্টোপাল্টা পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার: ব্যাংকিং খাত নিয়ে উল্টোপাল্টা পদক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সংগঠনটির মতে, এই খাত সংস্কার না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ খারপের দিকে চলে যাবে। শুধু অর্থমন্ত্রীর টোটকা দাওয়াই দিয়ে খেলাপিঋণের ক্যানসার সারানো যাবে না। খেলাপিঋণ সমস্যা সমাধানের জন্য অবিলম্বে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাংকিং সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। গতকাল জতীয় প্রেস ক্লাবে সুজন আয়োজিত ‘ব্যাংকিং খাত নিয়ে উল্টোপাল্টা পদক্ষেপ বন্ধ করুন: ব্যাংকিং সংস্কার কমিশন গঠন করুন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম। 
সুজন-এর সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় আলোচনা অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহীম খালেদ, লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নাসের বখতিয়ার, অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সংরক্ষিত আসনের বিএনপি সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। 
প্রবন্ধে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন, তিনি আর খেলাপিঋণ এক টাকাও বাড়তে দেবেন না। অতএব, একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্টের চাল প্রয়োগ করে তিনি মন্দঋণ রাইট-অফ করার পদ্ধতি সহজ করে দিয়েছেন, যাতে ক্লাসিফাইড লোনের এই শিথিল পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিভিন্ন ব্যাংক ‘মন্দঋণ রাইট-অফ করা’ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। রাইট-অফ করা মন্দঋণ বাড়ার মানেই হলো এর ফলে ক্লাসিফাইড লোন ওই পরিমাণ কম দেখানো যাবে। তিনি মন্দঋণ আদায়ের জন্যে খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে দুই শতাংশ ঋণ প্রাথমিক কিস্তিতে পরিশোধ করে যে দশ বছরের সময় দেয়ার ব্যবস্থা করলেন, সে সুবিধা নিয়মনিষ্ঠ ঋণ ফেরতদাতারা পান না।
কিন্তু এ-ধরনের পরিবর্তন খেলাপিঋণ সমস্যাটিকে আড়াল করার পন্থা হলেও মন্দঋণ আদায় করার কোনো নিষ্ঠাবান প্রয়াসের মাধ্যমে জোরদার করার লক্ষণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো একজন ‘ব্যবসায়ী অর্থমন্ত্রী’ তার ঋণখেলাপি ব্যবসায়ী বন্ধুদের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত দরদ দেখিয়ে উল্টোপাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন।
প্রবন্ধে আরো বলা হয়, গত ২০১৪-১৯ মেয়াদের সরকারের সময়েও খেলাপিঋণের অবস্থা সংকটজনক থাকা সত্ত্বেও কোন রহস্যজনক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংকিং সংস্কার কমিশন গঠনের ইস্যুটাকে বারবার এড়িয়ে গেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতাগ্রহণের ৯ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো তিনি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেননি, কিন্তু কেন? এদ্দিনে তার বোঝা উচিত যে অর্থমন্ত্রীর টোটকা দাওয়াই দিয়ে খেলাপিঋণের ক্যানসার সারানো যাবে না। দেশে বেশিরভাগ ব্যাংকের অবস্থা ভালো নয়। যার মূল কারণ খেলাপি ঋণ। এমন অবস্থায় প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সুপারিশ করার জন্যে অবিলম্বে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাংকিং সংস্কার কমিশন গঠন করার দাবি জানানো হয়। 
দেশে ব্যাংকঋণ নিয়ে একটা ‘পাতানো খেলা’ চলছে দাবি করে প্রবন্ধে অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, সমস্যার প্রকৃত রূপটি সরকার, ব্যাংকার এবং ঋণখেলাপি সবারই জানা আছে। সমস্যার সমাধানের উপায় সম্পর্কেও এই তিন পক্ষের সবার স্পষ্ট ধারণা আছে। কিন্তু জেনে শুনেই সরকার সমাধানের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছে না। ফলে, এখনো দেশের ব্যাংকিং খাতের প্রধান সমস্যা রয়ে গেছে রাঘববোয়াল ঋণখেলাপিদের কাছে আটকে থাকা বিপুল খেলাপিঋণ। এই ঋণখেলাপিদের প্রায় সবাই ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’, মানে যারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন যে, তারা তাদের ঋণ ফেরত দেবেন না। কারণ তাদের রাজনৈতিক প্রতিপত্তি এবং আর্থিক প্রতাপ দিয়ে তারা শুধু ব্যাংকিং খাত নয় দেশের সংসদকেও দখল করে ফেলেছেন।
এক পরিসখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়, গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের ৬১.৭ শতাংশই ব্যবসায়ী। তাদের সিংহভাগই ব্যাংকের মালিক/পরিচালক। সংসদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য পকৃতপক্ষে ঋণখেলাপি হলেও বিভিন্ন পন্থা অনুসরণ করে তারা তাদের খেলাপিঋণ আড়াল করে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন, বলে অভিযোগ করা হয়।

মূল প্রবন্ধে মইনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের খেলাপি ঋণ ১ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। আসলে দেশের খেলাপি ঋণ ৩ লাখ কোটি টাকা। ব্যাংক খাতের ৩০ শতাংশই খেলাপি। এই সমস্যা সমাধানে শক্তিশালী কমিশন গঠন করতে হবে। শীর্ষ খেলাপি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে হবে। খেলাপি ঋণ ট্রাইব্যুনাল করে প্রতিটি ব্যাংকের শীর্ষ ঋণ ১০ খেলাপিকে বিচার করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বাতিল জরুরি। দেশে এত ব্যাংকের প্রয়োজন নেই। তাই ব্যাংকগুলো একীভুত করতে হবে।
মইনুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের একজন ব্যবসায়ী নাকি এখন ৭টি ব্যাংকের ওপর মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন। ব্যাংকের মালিকানায় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ অন্য কোনো দেশে চালু আছে কি না, আমার জানা নেই।
অধ্যাপক মইনুল বলেন, ব্যাংক পরিচালকদের নিজেদের মধ্যে ঋণ নেয়া বন্ধ করতে হবে। ব্যাংক পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসকে বেআইনি ঘোষণা করতে হবে। যাতে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতাকে অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করতে না পারে।
এই অর্থনীতিবিদ খেলাপি ঋণ কমাতে কয়কটি পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- খেলাপি ঋণ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রত্যেক ব্যাংকের শীর্ষ ১০ জন খেলাপিকে দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা। ব্যাংকিং খাতের জন্য আলাদা ন্যায়পাল নিয়োগ, মন্দ ঋণ আদায়ের জন্য ‘ডেট রিকভারি বা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি’ গঠন, অর্থঋণ আদালতে কোনো ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় হলে জামানত বা বন্ধকী সম্পত্তি নিলাম করার জন্য মামলা করার যে নিয়ম রয়েছে, তা বাতিল করা, প্রতিটি ব্যাংকের শীর্ষ দশ ঋণ খেলাপি প্রতিষ্ঠানের নাম এক বছরের বেশি তালিকাভুক্ত হলে ওই প্রতিষ্ঠানের মূল ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তার পাসপোর্ট জব্দ করা ইত্যাদি।

আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি কেউ কাউকে পছন্দ করে না। কিন্তু ঋণ খেলাপি সৃষ্টিতে সবাই একমত। এখন জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে গর্ববোধ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর আমলেও ৮ শতাংশের কাছাকাছি জিডিপি ছিল। তিনি কখনো এসব নিয়ে গর্ববোধ করতেন না। আয় বৈষম্য কমিয়ে আনতে বলতেন। আর বর্তমানে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে উন্নয়নের পারিমাপক হিসেবে ধরা হচ্ছে। চোর ডাকাতের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। চরম বৈষম্যে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ৯৫ জনকে শোষণ করে ৫ জনের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। তিনি ‘সমাজ পরিবর্তনের ডাক’ দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। তা না হলে এই সমস্যা থেকে বেড় হওয়া যাবে না।

সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘যুবলীগ নেতা সম্রাট আঞ্জুমানের কাছে ২ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল, একবছর কাজ আটকে ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর কানে এ খবর পৌঁছানোর পর এ সমস্যার সমাধান হয়েছে। তাই রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে হবে। রাজনীতি যদি শুদ্ধ না হয় তাহলে কিছুই ভালো হবে না। জিডিপিতে উন্নয়ন দেখছি, কিন্তু আমি তো আমাদের অবস্থানের কোনো উন্নয়ন দেখি না। ব্যাংকিং খাত এখন দুর্বৃত্তদের কবলে। 

কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, যার যা ইচ্ছা, তাই করছে। ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করছে। কিন্তু কিছুই বলার ক্ষমতা আমাদের নেই। বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের মধ্যে এক নম্বর ঋণখেলাপির দেশে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভালো হয়, যদি আমরা ব্যাংকে টাকা না রাখি। মানুষ বোকার মতো ব্যাংকে টাকা রাখছে। আর ঋণখেলাপিদের সুবিধা করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ক্যাসিনোর সম্রাট একজন, ব্যাংকের সম্রাট আরেকজন। এই সম্রাটকে ধরতে পারলে সবকিছু ঠিক হবে।

বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ব্যাংকের ওপর থেকে যখন মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হয়, তখন দেশের অর্থনীতি ধসে পড়ে। এই সরকার ঋণখেলাপিবান্ধব সরকার। তিনি বলেন, রাজনীতি করা এখন একটি বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। তার প্রমাণ ক্যাসিনো সম্রাট যুবলীগ নেতা ঈসমাইল হোসেন সম্রাট। তিনি বলেন, এই সম্রাট আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গ সংগঠনের একজন নেতা হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সে কিন্তু এমপি বা মন্ত্রী কেউ নন। শুধু রাজনীতি করে নায়ক হয়েছেন। গত কয়েক বছরে যত বড় বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে তার সবগুলো এই সরকারের সময়ে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার বলেন, রাজনৈতিক কর্মী যখন ব্যাংক চালাতে আসবে, তখন অবশ্যই ব্যাংকের নিয়ম পালন করা সম্ভব নয়। সরকার রাজনৈতিক নেতাদের ব্যাংক পর্ষদে নিযুক্ত করে সবচেয়ে বড় ভুল করেছে বলে তিনি মনে করেন।

Monday, October 7, 2019

8m came out of poverty in 6yrs: WB

Online Report: Around eight million people in Bangladesh have come out of poverty between 2010 and 2016, according to the latest poverty assessment report of World Bank.
In the rural areas, 90 per cent of the poverty reduction took place whereas situation in the urban areas remained the same as before in the given timeline, the WB report said.  
Bangladesh has progressed significantly in reducing poverty and improving living conditions, mostly driven by labour income, the WB said in its report on Bangladesh Poverty Assessment which was released this morning.
The report shows an increase in economic growth but the rate of poverty reduction declined since 2010, said a WB press release. 
The World Bank programme was held at a hotel in Dhaka on Monday, October 7, 2019. Photo: Courtesy
At a programme in Amari Dhaka hotel in Gulshan of the capital, the World Bank released the report.
Finance Minister AHM Mustafa Kamal, who attended the programme as the chief guest, said in his speech that more one crore people will get jobs by 2030 taking down the current poverty rate to 3 per cent.
The government has undertaken need and technology based initiatives to curb inequality, the finance minister added. 
"The progress that Bangladesh has made in reducing poverty in the last decade is remarkable," said Mercy Tembon, World Bank country director for Bangladesh and Bhutan.
"But, with one out of four people still living in poverty, the country needs to do more, especially in addressing the new frontiers of poverty. For example, tackling urban poverty is critical since at current trends more than half of the poor Bangladesh is projected to live in the urban areas by 2030," quoting her the press release reads.
This poverty reduction is uneven across the country, the WB said in its report.
"Since 2010, the historical gap in poverty between eastern and western divisions re-emerged in the west, poverty increased in Rangpur division, stagnated in Rajshahi and Khulna, while in the east, poverty declined moderately in Chattogram, and rapidly in Barishal, Dhaka and Sylhet."

বিল গেটসের সেকেন্ডে আয় ৩৮০ ডলার

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এখন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর নিট সম্পদমূল্য ছিল ১০৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। মাইক্রোসফট থেকে সরে এসেছেন বিল গেটস। তিনি এখন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনকেই বেশি সময় দিচ্ছেন। আসুন জেনে নেই বিল গেটস নিয়ে দারুণ পাঁচ তথ্য।

১. সেকেন্ডে আয় ৩৮০ ডলার

বিজনেস ইনসাইডার বিল গেটসের আয় নিয়ে মজার কিছু তথ্য বের করেছে। যেমন: প্রতি সেকেন্ডে তাঁর আয় ৩৮০ ডলার, এই হিসাবে প্রতি মিনিটে আয় ২২ হাজার ৮৩১ ডলার। তাঁর নিট সম্পদের মূল্য ক্রোয়েশিয়া, কম্বোডিয়া ও বাহামার মোট দেশজ উৎপাদনের সমান।

একজন গড় আমেরিকান, যাঁর ব্যাচেলর ডিগ্রি আছে, সারা জীবনে গড়ে আয় করেন ২২ লাখ ডলার। আর বিল গেটস এই অর্থ মাত্র দেড় ঘণ্টায় আয় করেন। এখন তিনি যদি প্রতিদিন ১০ লাখ ডলার খরচ করবেন বলে ঠিক করেন, তাহলে লাগবে ২৮৫ বছর।

২. দান প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলার

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর দেওয়া তথ্য হচ্ছে, বিল গেটস এখন পর্যন্ত তাঁর নিট সম্পদের ২৭ শতাংশ জনহিতে দান করেছেন। টাকার অঙ্কে তা ৩৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। তিনি মূলত মাইক্রোসফটের শেয়ার বিক্রি করে তা দান করেছেন। তবে নিজের সম্পদ ও অন্যান্য পারিবারিক ফাউন্ডেশন মিলিয়ে তাঁর দানের পরিমাণ আরও বেশি—সাড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলার।

৩. এবার আয় ১৭ বিলিয়ন ডলার

বিল গেটস ২০১৯ সালে এখন পর্যন্ত সম্পদ বাড়িয়েছেন ১৭ বিলিয়ন ডলার। তিনি তাঁর সম্পদের ৬০ শতাংশ বিনিয়োগ করেছেন নানা ধরনের মূলধনি শেয়ারে। আর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁকে আগ্রাসীই মনে করা হয়। কেননা, এক আমেরিকান গড়ে নিজ সম্পদের ৩২ শতাংশ বিনিয়োগ করে থাকেন।

৪. বাড়ির নাম জানাডু ২.০

সেরা চলচ্চিত্র মানেই অরসেন ওয়েলসের সিটিজেন কেইন। সিনেমার মূল চরিত্র চার্লস ফসটারের কাল্পনিক বাড়ির নাম ছিল ‘জানাডু’। বিল গেটস তাঁর বাড়ির নামও রেখেছেন ‘জানাডু ২.০’। ওয়াশিংটনের মেডিনায় অবস্থিত বাড়িটির মূল্য ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর আয়তন ৬৬ হাজার বর্গফুট।

৫. পরেন ১০ ডলারের ঘড়ি, কিন্তু...

বিল গেটসের হাতঘড়িটির দাম মাত্র ১০ ডলার। নিজেই নিজের প্লেট পরিষ্কার করেন। কিন্তু তাঁর নিজের লাইব্রেরিতে আছে এক মহামূল্যবান সম্পদ। লেওনার্দো দা ভিঞ্চির নোটবুক। এর নাম কোডেক্স লেইচেস্টার। এর মূল্য ৩ কোটি ৮ লাখ ডলার।

বিশ্বব্যাংকের মতে দারিদ্র্য কমেছে অসমভাবে, অর্থমন্ত্রী বললেন ঠিক নয় ।।

Sunday, October 6, 2019

অস্থির ডলারের বাজার, দাম বেড়ে হয়েছে ৮৭ টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার: অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু বাস্তবে আরো ১ থেকে ২ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে হঠাৎ করে খোলাবাজারেও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতি ডলার কিনতে সাধারণ গ্রাহকের ব্যয় করতে হচ্ছে সাড়ে ৮৬ থেকে ৮৭ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ, যারা ভ্রমণ করতে বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের ডলার কিনতে হচ্ছে ৮৭ টাকা দরের উপরে। এক মাস আগেও খোলাবাজারে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৫ টাকা ৫০ পয়সা। এক মাসের ব্যবধানে তা বেড়েছে প্রায় দেড় টাকা।

ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি অনেক বড় আমদানির দায় পরিশোধ হচ্ছে। এ কারণে অনেককে খোলাবাজার থেকে ডলার কিনতে হচ্ছে। তবে খোলাবাজারে সরবরাহ তেমন নেই। এতে দাম বেড়ে গেছে। এছাড়া, আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য না থাকা, বিদেশে অর্থ পাচারসহ নানা কারণে ডলারের বাজারে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে রপ্তানি বাণিজ্য ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে কিছুটা উৎসাহিত হলেও বেড়ে যাচ্ছে পণ্য আমদানির ব্যয়। কারণ আমদানির জন্য বেশি মূল্যে ডলার কিনতে হচ্ছে। ফলে খাদ্যশস্য, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল, শিল্পের কাঁচামালসহ সব আমদানি পণ্যের ব্যয় বাড়ছে। সর্বপরি মূল্যস্ফীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও জোগানের মধ্যে পার্থক্য বেড়ে যাওয়ায় সঙ্কট বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে রপ্তানিকারক ও প্রবাসীদের সুবিধা দিতে সামনে ব্যাংকিং চ্যানেলেও ডলারের দাম বাড়ানোর দাবি উঠেছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার লেনদেনের ওপর সীমা বেঁধে দিলেও সেটা প্রকৃতপক্ষে কার্যকর হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের যে মূল্যের তথ্য দিচ্ছে বাস্তবে তার চেয়ে বেশি মূল্যে কেনাবেচা হচ্ছে। অনেক ব্যাংক বাধ্য হয়ে নীতিমালার ফাঁকফোকর দিয়ে বেশি দরে লেনদেন করছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যাংক, খোলাবাজার ও মানি চেঞ্জারের লেনদেন পর্যবেক্ষণেও ডলারের দর বাড়ার তথ্য পাওয়া গেছে। পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পুরো জুলাই মাসে প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৩০ পয়সা দরে বিক্রি হয়। আগস্টে তা বেড়ে ৮৬ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত হয়। গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কোনো কোনো দিনে প্রতি ডলার ৮৭ টাকায়ও বিক্রি করে মানি চেঞ্জারগুলো। আমদানি চাপ থাকায় হঠাৎ করে ডলারের দাম বেড়ে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। 

জানা গেছে, প্রতি মাসেই এলএনজি আমদানির জন্য পরিশোধ করতে হচ্ছে ১১ কোটি ডলার। আর বিপিসির দায় বাবদ প্রতি মাসেই পরিশোধ করতে হচ্ছে ২৫ কোটি ডলার। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বেড়ে গেছে। সামনে এ চাহিদা আরো বাড়বে। বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও জোগানের মধ্যে পার্থক্য বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কট সামনে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া ডলারের দর কার্যকর করছে না ব্যাংকগুলো। 

কারণ হিসেবে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও আর আগের মতো ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে না। ফলে পণ্য আমদানির দায় পরিশোধ করতে বাজার থেকে হয় তাদের ডলার কিনতে হচ্ছে। অথবা একটি নির্ধারিত কমিশনের বিপরীতে ধার নিতে হচ্ছে। আর এ সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে কিছু কিছু ব্যাংক। তারা ইচ্ছামাফিক ডলার মূল্য আদায় করছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া মূল্য ধরেই ফরওয়ার্ড ডিলিং করছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। ফরওয়ার্ড ডিলিং হলো- একটি ব্যাংকের পণ্যের আমদানি দায় মেটাতে ১০ কোটি ডলারের প্রয়োজন। চাহিদার দিনের ৪ থেকে ৫ দিন আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক বেঁধে দেয়া মূল্য ধরে ডলার কেনা হলো। এর সঙ্গে বিনিময় ঝুঁকি বা অতিরিক্ত প্রিমিয়াম যুক্ত হচ্ছে। যেমন- ৪ দিন আগে ৮৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার কেনা হলো। লেনদেনের দিন ২ শতাংশ অতিরিক্ত ধরে অর্থাৎ ৮৬ টাকায় ডলার লেনদেন করছে। এভাবেই বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংক বেঁধে দেয়া দর কার্যকর করা হচ্ছে না। 

এদিকে খোলাবাজারেও ডলারের মূল্য অস্থির হয়ে পড়েছে। এর কারণ হিসেবে একজন মানিচেঞ্জার ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজিসহ চলমান অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের কারণেই অনেকেই আর নগদ টাকা রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। এতে অনেকেই বাজার থেকে ডলার কিনছেন। আবার অনেকেই বিদেশে যাচ্ছেন। এতে খোলাবাজারে হঠাৎ করে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। নগদ ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে দাম মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ২ টাকা বেড়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা। বর্তমানে তা ৮৭ টাকার উপরে বিক্রি করেছেন কোনো কোনো মানিচেঞ্জার। এভাবেই খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। 

ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যাংকের বাইরে বড় অঙ্কের টাকা মজুত রয়েছে। সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে ঘিরে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তাতে একটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। আবার অনেকে দেশে থাকলেও টাকা পরিবর্তন করে ডলার করে রাখছেন। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ লোকই খোলাবাজার থেকে ডলার কিনছেন। কারণ ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে গেলে তার জন্য নানা কাগজপত্র লাগে। কিন্তু খোলাবাজার থেকে সহজে টাকা দিয়ে ডলার কেনা যায়। এ পরিস্থিতিতে খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বাড়লেও সে অনুযায়ী সরবরাহ নেই। এ কারণেই চাপ বেড়ে গেছে।

ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২ অক্টোবর আমদানি দায় মেটাতে ব্যবসায়ীদের থেকে দেশি ও বিদেশি খাতের বেশিরভাগ ব্যাংক ৮৪ টাকা ৫০ পয়সা নিয়েছে। তবে একটি ব্যাংক আমদানি দায় মেটাতে ডলারের মূল্য নিয়েছে ৮৪ টাকা ৭৫ পয়সা। অন্যদিকে ব্যাংকগুলোর ঘোষিত মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী, ২ অক্টোবর রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক নগদ ডলার বিক্রি করেছে ৮৭ টাকা। একই দিন ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে বিদেশি ব্যাংক আল ফালাহ। ৮৬ টাকা ৬০ পয়সা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে জনতা, বিডিবিএল, অগ্রণী ও এনসিসি ব্যাংক।

পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার কারসাজিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিলে অনাকাঙিক্ষত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মূল্য দিয়েছে ৮৪ টাকা ৫০ পয়সা। এখন ব্যাংকগুলো যদি ৮৭ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি করে তাহলে এটা অনেক বেশি। যেসব ব্যাংক ডলারের দাম বেশি নিচ্ছে এটা কেন নিচ্ছে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেখা উচিত। কারণ এর প্রভাবে যেন ডলারের বাজার অস্থির না হয় এজন্য আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, ডলারের দাম বাড়লে দ্বিমুখী প্রভাব পড়ে। যেমন- ডলারের দাম বাড়লে রপ্তানিকারকরা লাভবান হয়। তবে সমস্যায় পড়ে আমদানিকারকরা। কারণ আমদানি ব্যয় বাড়লে স্থানীয় বাজারের পণ্যের দাম বেড়ে যায়। চাপ পড়ে মূল্যষ্ফীতির উপর। এতে করে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়। ফলে সবচেয়ে কষ্ট হয় গরীরের। 

বিদেশগামী তামিম সরকার বলেন, এত দামে আগে কখনো তিনি ডলার কেনেননি। আগে সর্বোচ্চ প্রতি ডলারের জন্য ৮৬ টাকা দিয়েছেন। আর এখন মতিঝিলের আশা মানি চেঞ্জার থেকে ৮৭ টাকা দরে ডলার কিনেছেন। 

ILO Global Business Forum Highlights the Importance of a Sustainability Vision for Bangladesh’s RMG Sector

Representatives from the world’s largest retails brands met with leading figures from the country’s ready-made garment (RMG) sector at the Annual Bangladesh Business Forum in Dhaka last Wednesday, 2 October 2019.
Over 350 garment-sector representatives from the government, employers’ and workers’ organisations, development partners, global brands and retailers, manufacturers, civil society and academia came together at a high-level event in Dhaka.
Staff reporter: Under the theme ‘Driving Sustainable Change’, the forum was organised by the Better Work Bangladesh (BWB) programme, a joint collaboration between the International Labour Organization (ILO) and the International Finance Corporation (IFC).

Today, Bangladesh’s $34 billion a year garment export industry is the second largest in the world (behind China) with more than 4,500 factories, employing over four million workers.

Discussions centred on the need for a globally competitive garment industry supported by improved labour market governance, effective social dialogue and responsible sourcing practices to ensure decent work and generate long-term prosperity for the industry. A number of speakers also highlighted ongoing issues facing the industry, including how BWB and its brand partners can continue to address gender and OSH non-compliances.
Over 350 RMG stakeholders, including representatives from the government, employers’ and workers’ organisations, development partners, global brands and retailers, manufacturers, civil society and academia attended the high-level event.



Saturday, October 5, 2019

The secret to Bangladesh’s economic success? The SheikhHasina factor

[This article, written by Salman Fazlur Rahman, the prime minister's adviser for private industry and investment, was first published by the World Economic Forum as part of the India Economic Summit.]

 

Nobody disputes the economic credentials of Sheikh Hasina's government - the Asian Development Bank (ADB) is the latest member of a growing list of international institutions attesting to Bangladesh's economic success. The ADB ranked Bangladesh as the fastest-growing economy in the Asia-Pacific region, eclipsing China, Vietnam and India. At the same time, our improvements in many socio-economic indicators are another object of envy to our neighbours.

 

Propelled by a robust manufacturing sector and an enormous boom in infrastructure, Bangladesh has set a target of becoming a developed nation by 2041 to coincide with the platinum jubilee of its independence. Many commentators have called the goal ambitious, but even the government's staunchest critics would think twice before questioning its plausibility. There has been a sea change in attitude from 2006 when our surpassing of Pakistan's growth rate was dismissed as a fluke.

 

Ten years ago, if somebody had told me that Bangladesh would progress this far, I wouldn't have believed it. Now, however, I am in a position to explain the phenomenon. While trying to decipher Bangladesh's economic success, pundits cite several crucial factors, including fulfilling electricity demands, infrastructural development, political stability and food self-sufficiency. But none of these achievements has been easy. When Sheikh Hasina's government tried to introduce and implement its policies, it often faced enormous political risks and implications.

 

Take the electricity crisis for example. When the Awami League re-assumed power a decade ago, the country was grappling with suffocating power outages. These days, however, we produce more electricity than we need at night and are close to eradicating any forms of power shortages once and for all.

 

When she returned to power in 2009, Sheikh Hasina knew that the energy shortage first needed to be mitigated to a tolerable extent, before embarking on long-term plans. As a temporary measure, she decided to allow private companies to build small-range power plants, known as quick-rental power plants. The decision received a barrage of criticism from many quarters — from opposition parties and economists to the press and think tanks — intimidating many in the bureaucracy.

 

But Sheikh Hasina refused to back down from what she thought was the right step forward. She defended her decision forcefully, making necessary amendments to clear any legal ambiguity, and focused on its implementation. Nearly 10 years on, no one doubts that the decision was instrumental in solving the persistent energy crisis.

 

Data from World BankData from World BankIn a way, this chapter also illustrates how much faith Sheikh Hasina puts in the private sector. She is aware of the country's socialist legacy, which is extremely wary of private sector inroads in critical areas, but she also knows the virtues of the free market.

When she first came to power in 1996, she broke the monopoly in the telecommunications industry, paving the way for intense competition between companies. As an obvious consequence, we now enjoy one of the cheapest mobile data and lowest mobile phone usage costs in the world, which, among others, has helped our globally celebrated mobile financial services to flourish.

 

While in power, Sheikh Hasina has opened up many sectors traditionally reserved for the public sector to the private sector, including health, banking, higher education, TV and even export processing and economic zones. At the same time, her government has substantially widened and expanded welfare programmes to lift the poorest and most neglected section of the population and increased subsidies for other crucial elements of the economy such as agriculture. Her development philosophy is a blend of capitalistic and socialistic virtues.

 

For the greater part of our history, the world knew Bangladesh only for natural calamities, wrenching poverty, famine and political violence. While these events and aspects merited attention, they were certainly not a reflection of the aspiration of our nation. The bigger story should have been the resilience with which our people withstood countless natural disasters and crises.

 

Regretfully, downplaying this resilience was the approach adopted by successive governments to ensure the undisrupted flow of foreign aid. A former finance minister once infamously argued that self-sufficiency in food could take a back seat to incoming foreign support. As a person deeply familiar with Bangladesh's state machinery, I know that such a mindset held back our economic progress for so long.

 

Indeed, the single most decisive factor behind Bangladesh's startling success is that Sheikh Hasina has infused a sense of confidence in our national psyche. Oftentimes, she has done so while defying great odds. The Padma Bridge, which the government decided to self-fund after the World Bank's withdrawal is, perhaps, a perfect example of this.

 

Observers may have overlooked the Prime Minister's tenacious, bold, fearless and pragmatic approach, but no explanation of Bangladesh's success would be complete or comprehensive without taking into account the Sheikh Hasina factor.