Thursday, February 3, 2022

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ পদে ১০ চাকরি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ পদে ১০ চাকরি

Jahangirnagar-University_1-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-jau-জাবি

শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। আগ্রহী প্রার্থীকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডাকে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

১. পদের নাম: প্রভাষক গ্রেড ৪ (বাংলা)

কাজের স্থান: জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (স্কুল পর্যায়)

পদের সংখ্যা: ১টি

বেতন স্কেল: ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক এবং বিএড

অভিজ্ঞতা: ৩ বছর

২. পদের নাম: পিএ

কাজের স্থান: ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএস

পদের সংখ্যা: ১টি

বেতন স্কেল: ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক / স্নাতকোত্তর

অভিজ্ঞতা: ৭ বছর / ৫ বছর

৩. পদের নাম: সহকারী হল সুপারিনটেনডেন্ট

কাজের স্থান: ফজিলাতুন্নেসা হল

পদের সংখ্যা: ১টি

প্রার্থীর ধরন: নারী

বেতন স্কেল: ১১৩০০-২৭৩০০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক / স্নাতকোত্তর

অভিজ্ঞতা: ৪ বছর / ৩ বছর

৪. পদের নাম: ল্যাব সহকারী

কাজের স্থান: উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ

পদের সংখ্যা: ১টি

বেতন স্কেল: ১১৩০০-২৭৩০০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক / স্নাতকোত্তর

অভিজ্ঞতা: ৪ বছর / ৩ বছর

৫. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট

কাজের স্থান: গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএস

পদের সংখ্যা: ২টি

বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি / স্নাতক

অভিজ্ঞতা: ২ বছর / নিষ্প্রয়োজন

৬. পদের নাম: টাইমকিপার

কাজের স্থান: পরিবহন অফিস

পদের সংখ্যা: ১টি

বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি / স্নাতক / স্নাতকোত্তর

অভিজ্ঞতা: ২ বছর / নিষ্প্রয়োজন / নিষ্প্রয়োজন

৭. পদের নাম: ড্রাইভার (লাইট)

কাজের স্থান: পরিবহন অফিস

পদের সংখ্যা: ৩টি

বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি

অভিজ্ঞতা: ৩ বছর

১ নম্বর পদের প্রার্থীকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। অন্য প্রার্থীরা সাদা কাগজে লিখে আবেদন করবেন।

১ নম্বর পদের প্রার্থীকে ৬০০ টাকা এবং অন্যান্য পদের প্রার্থীকে ৩০০ টাকা অগ্রণী ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে ব্যাংক ড্রাফট অথবা অগ্রণী ব্যাংক লি. জাবি শাখার সি.ডি-৬৮ অ্যা কাউন্টে টাকা জমাদানের রসিদ সংযুক্ত করতে হবে। জমাকৃত টাকা / ড্রাফট ফেরতযোগ্য নয়।

১ নম্বর পদের প্রার্থীকে ১০ সেট এবং অন্যান্য পদের প্রার্থীকে ৭ সেট আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: রেজিস্ট্রার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার।

বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

Wednesday, February 2, 2022

কারখানা থেকে পাইকারি বোরকা কিনুন | Borka Wholesale Market

১০০র বেশি হিসাব দিয়ে সাকিবের ব্রোকারেজ ব্যবসা শুরু

১০০র বেশি হিসাব দিয়ে সাকিবের ব্রোকারেজ ব্যবসা শুরু
cricket-sakib al-hasan-ক্রিকেট-সাকিব আল হাসান

ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নতুন ব্যবসার পথচলা শুরু হলো। শেয়ার কেনাবেচায় তার মালিকানাধীন মোনার্ক হোল্ডিংয়ে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব খোলা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই খোলা হয়েছে এক শর বেশি হিসাব।

মঙ্গলবার ব্রোকারেজ হাউসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের শুরু হয়েছে শেয়ার কেনাবেচাও। তবে মতিঝিলের সিটি সেন্টারের ৩২ তলায় প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট কার্যালয়ের কাজ এখনও কিছুটা বাকি।

মোনার্ক হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন সাকিব আল হাসান। তবে ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেন শুরুর প্রথম দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

শেয়ার কেনাবেচার ব্যবসায় আসার আগে সাকিব কাঁকড়া উৎপাদন, স্বর্ণ ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায় জড়িয়েছেন। একটি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের একজনও তিনি। তবে তাকে পরিচালক করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির শুভেচ্ছাদূত হিসেবেই কাজ করেছেন।

গত বছরের ২১ মে পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউসের (অনুমোদিত শেয়ার কেনাবেচা হাউস) ব্যবসা করার অনুমতি পায় ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির শুভেচ্ছাদূত সাকিব আল হাসান।

পুঁজিবাজারে যারা বর্তমানে লেনদেন করছেন তাদের নতুন করে বিও হিসাব খোলা নয়, বরং পুঁজিবাজারের জন্য নতুন বিনিয়োগকারী ‍নিয়ে আসা তাদের প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন মোনার্ক হোল্ডিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলমগীর হোসেন।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লেনদেন শুরু হলেও বিও হিসাব খোলা হচ্ছে সোমবার থেকেই। এ সময় এক শর বেশি বিও হিসাব খোলা হয়েছে।

‘আমাদের যে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে তাতে খুব বেশি ব্যবসা সম্প্রসারিত হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের ব্রোকার সার্ভিস ও ডিলার লাইসেন্সের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ডিলার অ্যাকাউন্টে আমাদের ভালো টাকা আছে।’

এই হাউসে কমিশন অন্যান্য হাউসের তুলনায় কম থাকবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা, যদিও কমিশনের হার কত সেটি জানাননি।

তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিনিয়োগকারীদের সহনীয় কমিশন হার নির্ধারণ করা হয়েছে। কমিশনের বিপরীতে মুনাফা করার কোনো ইচ্ছা নেই।’

বিনিয়োগকারীদের মূলধনের বিপরীতে মার্জিন ঋণ নামে যে ঋণ দেয়া হয়, তা আপাতত দেয়া হচ্ছে না এই হাউসে। তবে শিগগির এই সুবিধাও দেয়া হবে।

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্দেশ থাকবে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দেয়া, পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলো সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের স্পষ্ট চিত্র উপস্থাপন করা, যাতে বিনিয়োগকারীরা তথ্য-চিত্র দেখে বিনিয়োগে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ডিজিটাল বুথ ও শাখা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও আমরা প্রথমেই বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে সচেতন করাকে বেশি গুরুত্ব দেব।’

গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নতুন ৫৫টি ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেককে (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) লাইসেন্স দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

সেখান থেকে গত ৩০ জানুয়ারি ডিএসই ওয়েবসাইটে চারটি ব্রোকারেজ হাউসকে স্টক ব্রোকার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, তিন ডিজিটের আইডি এবং ছয় ডিজিটের নম্বর দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এগুলো হচ্ছে থ্রি আই সিকিউরিটিজ, রহমান ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট, মোনার্ক হোল্ডিং ও সোনালী সিকিউরিটিজ।

মঙ্গলবার পর্যন্ত সোনালী সিকিউরিটিজ বাদে বাকি তিনটি ব্রোকারেজ হাউসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

নতুন করে ট্রেক বা ব্রোকারেজ হাউসের সার্টিফিকেট পেতে ৬৬টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এখান থেকে ডিএসই ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাতিল করে ৫১টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিতে বিএসইসির কাছে পাঠায়। পরে আরও ৪টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত করা হয়।

গত ২০ জানুয়ারি আরও তিনটি ব্রোকারেজ হাউস অনুমোদন পাওয়ায় এখন এ তালিকা বেড়ে হয়েছে ৫৮টি। এতে ডিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেকের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮৩টিতে।

লভ্যাংশ ঘোষণায় ইতিহাস সৃষ্টি লাফার্জের

লভ্যাংশ ঘোষণায় ইতিহাস সৃষ্টি লাফার্জের


LH Logo-লাফার্জহোলসিম

গত বছর সিমেন্টের পাশাপাশি চুনাপাথর চিপ বা অ্যাগ্রিগেটস উৎপাদন শুরু করে লাফার্জ। এরপর থেকেই তাদের আয় তরতর করে বাড়তে থাকে। তবে এই ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটিকে চিঠি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। এরপর উচ্চ আদালতে গেলেও এই ব্যবসা এখনও চালু করতে পারেনি কোম্পানিটি।

কারখানা প্রতিষ্ঠার পর ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বহুজাতিক সিমেন্ট কোম্পানি লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ।

বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার প্রতি আড়াই টাকা বা ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

এর আগে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ছিল ১০ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি এক টাকা। ২০১৫ সাল থেকে কোম্পানিটি টানা একই হারে লভ্যাংশ দিয়ে আসছিল।

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।

লভ্যাংশের মতো এবারও শেয়ার প্রতি আয়ও অন্যান্য বছরকে ছাড়িয়ে গেছে। এই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ৩ টাকা ৩৪ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ২ টাকা ৩ পয়সা।

আয়ের পাশাপাশি শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্যও বেড়েছে কোম্পানিটির। গত ৩০ ডিসেম্বর প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১৭ টাকা ৪ পয়সা, যা ঠিক এক বছর আগে ছিল ১৪ টাকা ৮৯ পয়সা।

কোম্পানিটির এবার আয় আরও বাড়তে পারত, যদি না তাদের অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসা চালু থাকত।

গত বছর সিমেন্টের পাশাপাশি চুনাপাথর চিপ বা অ্যাগ্রিগেটস উৎপাদন শুরু করে লাফার্জ। এরপর থেকেই তাদের আয় তরতর করে বাড়তে থাকে।

তবে এই ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটিকে চিঠি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা-সংক্রান্ত চিঠিটি তারা হাতে পায় ২০ সেপ্টেম্বর। এরপর তারা উচ্চ আদালতে যায়। তবে নানা জটিলতায় এই ব্যবসা এখনও বন্ধ রাখতে হচ্ছে তাদের।

যারা এবারের লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিনই হবে লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট।

এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ২১ মার্চ। করোনাকালে এই সভা হবে ভার্চুয়ালি।

রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা

রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা

রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় বছর শুরু হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ (১.৭০ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাঙালিরা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ সালের প্রথম দিন থেকেই সরকার রেমিট্যান্স প্রবাহে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করেছে। তারই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এই সূচকে। এ ছাড়া বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতি চাঙা হওয়ায় ওই সব দেশ থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসছে বলে মনে করছেন তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রণোদনা বেড়েছে। সামনে দুটি ঈদ উৎসব আছে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী দিনগুলোয় রেমিট্যান্স বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে দেখা যায়, টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বরে কিছুটা বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে সেই বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ (১.৭০ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১৪ হাজার ৬৫৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর আগের মাস ডিসেম্বরে ছিল ১৬৩ কোটি ডলার। ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে ৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স বেশি আসলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা বেশ কিছুটা কম। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২৬ কোটি ডলার। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ১৯ লাখ ডলার পঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, জানুয়ারিতে যে রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩১ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ২ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩৫ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার সময় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল মহামারি। আশঙ্কা করা হয়েছিল, প্রবাসী আয়ে ভাটা পড়বে। কিন্তু অবিশ্বাস্য উত্থানে প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে চাপ পড়তে দেননি। টানা দেড় বছর বাড়ার পর গত বছরের জুলাই থেকে ক্রগামত কমতে থাকে রেমিট্যান্স। তবে বছরের শেষ পাঁচ মাস ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির পরও ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি (২২.০৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছিল বাংলাদেশ, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

এর আগে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালে, ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে এসেছিল ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

অর্থবছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ১ হাজার ১৯৪ কোটি ৪০ লাখ (১১.৯৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বা ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর রেমিট্যান্স প্রবাহেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ওই বছরের এপ্রিলে মাত্র ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। মে মাসে তা বেড়ে ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলারে ওঠে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রেমিট্যান্স বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার।

মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরোটা সময়ে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন লক্ষ করা যায়। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

গত অর্থবছরের ১২ মাসের মধ্যে সাত মাসই ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। কিন্তু চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটার টান লক্ষ করা যায়। প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগস্টে আসে ১৮১ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। অক্টোবরে আসে ১৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। নভেম্বরে আসে আরও কম, ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। তবে গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে তা কিছুটা বেড়ে ১৬৩ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। সর্বশেষ জানুয়ারিতে এসেছে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

প্রসঙ্গত, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিয়ে আসছিল সরকার। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বাণিজ্যমেলায় সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের পুরস্কার পেলো ওয়ালটন

বাণিজ্যমেলায় সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের পুরস্কার পেলো ওয়ালটন

Walton gets best electronics stall award in DITF বাণিজ্যমেলায় সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের পুরস্কার পেলো ওয়ালটন

শেষ হলো মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ‘ডিআইটিএফ’ এর ২৬তম আসর। বরাবরের মতো মেলার এই আসরেও দৃষ্টিনন্দন ও শৈল্পিক ডিজাইনের প্যাভিলিয়ন তৈরি করেছিল দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। ফলে এবারের বাণিজ্য মেলাতেও সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের পুরস্কার জিতে নিলো দেশের এই সুপার ব্র্যান্ডটি।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি, ২০২২) রাজধানীর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ডিআইটিএফ-২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টল ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনকে প্রথম পুরস্কার দেয় আয়োজক সংস্থা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর হাত থেকে পুরস্কারের ক্রেস্ট গ্রহণ করেন ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার ও ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক।

এসময় তাদের হাতে সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ূন কবীর, ওয়ালটনের মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমূখ।

উল্লেখ্য, বাণিজ্য মেলায় সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কার চালুর পর থেকে বিগত টানা ১৪ বছর প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে ওয়ালটন। পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন তৈরি করে প্রায় প্রতি বছরই পুরস্কৃত হয়ে আসছে ওয়ালটন।

এ বছর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ডিআইটিএফ। তাই আন্তর্জাতিক মেলার আবহে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ডিআইটিএফ-২২ এ বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ রাখে ওয়ালটন।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের ডিএমডি মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক মেলা চীনের কুনমিং ফেয়ারের আদলে আয়োজন করা হয় ডিআইটিএফ-২২। তাই আন্তর্জাতিক ওই মেলার সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে এবং করোনা সংক্রমন বিস্তার প্রতিরোধের বিষয়টি বিবেচনা করে ওয়ালটন স্টলে বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। শুধুমাত্র ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটনের ইনোভেটিভ ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স, আইটি ডিভাইস ও এক্সেসরিজসহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস পণ্য প্রদর্শন করা হয়। মেলায় আগত দেশি-বিদেশী দর্শণার্থীদের কাছে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট ফ্রিজ, গুগল সার্টিফাইড স্মার্ট টেলিভিশন, বিশ্বের প্রথম ভয়েস কন্ট্রোলসমৃদ্ধ ইনভার্টার প্রযুক্তির স্পিøট টাইপ স্মার্ট এসি, ভিআরএফ এসি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের স্মার্ট টেবিল, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ফ্যান, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার। ফলে মেলায় বিদেশী ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলারের স্পট অর্ডার পেয়েছে ওয়ালটন। এছাড়া জানুয়ারি মাসে মোট রপ্তানি আদেশ মিলেছে ২৩ লাখ ডলারেরও বেশি।