Friday, February 11, 2022

পেওনিয়ারে ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট আসবে বিকাশে

পেওনিয়ারে ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট আসবে বিকাশে

bKash is a subsidiary of BRAC Bank Limited-বিকাশ-ব্র্যাক-ব্যাংক

এখন সারা বিশ্ব থেকে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ার এর মাধ্যমে মূহুর্তেই ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট আসবে বিকাশে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা রিয়েল টাইমে এই সেবা আসার সুবিধা বিকাশমান ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো গতিশীলতা আনবে এবং দেশের বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহকে আরো বেগবান করবে।

ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বর্ডারলেস পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পেওনিয়ার, দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংক এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ যৌথভাবে এই সেবার উদ্বোধন করে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, পেওনিয়ার এর রিজিওনাল সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট রোহিত কুলকার্নি ও চিফ রেভিনিউ অফিসার রবার্ট ক্লার্কসন, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর সহ প্রতিষ্ঠানগুলোর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউট এর অনলাইন লেবার ইনডেক্স১ এর মতে, আইসিটি ফ্রিল্যান্সিং সেবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বের মধ্যে শক্তিশালী। লাখো বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার সারাবিশ্বে এ খাতে অবদান রাখছেন। তারা দেশের অর্থনীতিতে প্রতি বছর মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা যুক্ত করছেন। ফ্রিল্যান্সিং আয়েও সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সেরা একটি দেশ হলো বাংলাদেশ।

নতুন এই সেবার ফলে বিকাশ অ্যাপের রেমিটেন্স আইকন থেকে খুব সহজেই নতুন পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন গ্রাহকরা। যাদের ইতোমধ্যে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট আছে তারাও নিজেদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত করে নিতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত হয়ে গেলে ফ্রিল্যান্সাররা তাৎক্ষনিক তাদের পেমেন্ট বিকাশ অ্যাকাউন্টে আনতে পারবেন। বিকাশ থেকেই পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করারও সুযোগ থাকবে।

দিন রাত ২৪ ঘন্টা যেকোন প্রান্তে বসে বিকাশে তাৎক্ষণিক পেমেন্ট গ্রহণ করার সুযোগ তৈরি হওয়ায় ফ্রিল্যান্সারদের আগের মতো পেমেন্টের জন্য আর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। বিকাশে আসা টাকা তাঁরা প্রয়োজন মত অন্য বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো, বিল পরিশোধ করা, কেনাকাটার পেমেন্ট দেয়া, ক্যাশ আউট করা সহ যেকোনো প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন।

এই সেবায় ফরেন কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড সেটেলমেন্ট ব্যাংক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ব্র্যাক ব্যাংক।

নতুন এই সেবা চালু হওয়া উপলক্ষ্যে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাশে সর্বোচ্চ পেমেন্ট গ্রহণকারী ফ্রিল্যান্সারকে ১টি করে মোবাইল ফোন পুরস্কার দেয়া হবে। ক্যাম্পেইন চলাকালীন একজন গ্রাহক একবারই এই পুরস্কার পাবেন। পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে এক বা একাধিক ট্রানজেকশনে বিকাশ অ্যাকাউন্টে আসা অর্থের পরিমাণ দিনে ১৫,০০০ টাকার বেশি হতে হবে। ক্যাম্পেইন শেষে বিজয়ীদের কাছে পুরস্কারের মোবাইল ফোন তুলে দেয়া হবে। পাশাপাশি, নতুন এই সেবা চালু হওয়া উপলক্ষ্যে প্রতিবার পেওনিয়ার থেকে বিকাশে ট্রানজেকশনে ২% ইন্সট্যান্ট ক্যাশব্যাকও দিচ্ছে বিকাশ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সাররা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি বলেন, “দ্রুততার সাথে তাৎক্ষনিক ভাবে নিরাপদে ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থ পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করায় বিকাশ, পেওনিয়ার ও ব্র্যাক ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরো বলেন, “দক্ষ মানব সম্পদ আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। যে সাড়ে ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে, তারা বিশ্বের অনলাইন আউটসোর্সিং এ ১৬ শতাংশ অবদান রাখছে। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউট এর গবেষণায় উঠে এসেছে, অনলাইন আউটসোর্সিং এ বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য। গত ১৩ বছরে সরকারের বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ ও নীতি সহায়তায় ২০ লক্ষ তরুণ-তরুনীর প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে যা আরো সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছি আমরা”।

“বৈশ্বিক দৃষ্টিকোন থেকেই পেওনিয়ারের জন্য বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ উল্লেখ করে পেওনিয়ারের চিফ রেভিনিউ অফিসার রবার্ট ক্লার্কসন বলেন, “সম্ভাবনাময় বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের উপর বরাবরই আমাদের আস্থা রয়েছে। বিকাশের সাথে এই অংশীদারিত্ব আমাদের বিনিয়োগ ও স্থানীয় গ্রাহকদের সেরা সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতিকেই ব্যক্ত করে। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে সব ধরনের ডিজিটাল ব্যবসায় প্রবৃদ্ধির অংশ হওয়া। বিকাশ ও ব্র্যাক ব্যাংকের মতো শীর্ষ দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদার হয়ে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গী হতে পেরে আমরা আনন্দিত।”

ব্র্যাক ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “ফ্রিল্যান্সারদের বৈদেশিক আয় সরাসরি ও তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশ অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসার এ উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই সেবা দেশের ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট গ্রহণ করার পথ যেমন সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে সেই সাথে দেশে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহকে আরো বৃদ্ধি করবে। আমরা এক সাথে বাংলাদেশকে বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং খাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে এবং এ খাতের বৈদেশিক আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারি।”

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, “বাংলাদেশের যে ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি হয়েছে তার সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে বিশ্ববাজারে দেশের ফ্রিল্যান্সিংকে আরো শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে দেয়ার সুযোগ রয়েছে। রেগুলেটেড পদ্ধতিতে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সহজে পেমেন্ট পাওয়ার এই পদ্ধতি ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘদিনের পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা দূর করবে। এই সেবা আরো অনেককেই ফ্রিল্যান্সিং এ যুক্ত হতে উৎসাহিত করবে, সেই সাথে যারা ফ্রিল্যান্সিং করছেন তাদের কাজে আরো সময় ও মনোযোগ দিতে সহায়তা করবে।”

গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করলো স্যামসাং

গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করলো স্যামসাং

samsang-স্যামসাং-অনলাইন ডেস্ক, আউটলুবাংলা ডটকম Staff reporter, Outlookbangla.com

সম্প্রতি গ্যালাক্সি আনপ্যাকড অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্যামসাং এর বহুল প্রতীক্ষিত গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করেছে। উন্নত ফিচার সমৃদ্ধ এ ডিভাইসগুলোতে রয়েছে অসাধারণ এস-পেন, দ্রুতগতির স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর এবং চমৎকার ক্যামেরা। ডিভাইস দুটি খুব শিগগিরই বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে; আগ্রহীরা আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ডিভাইস দু’টি প্রি-বুকিং দিতে পারবেন।

গ্যালাক্সি এস সিরিজের নতুন ডিভাইস দু’টি চলতি বছরের সবচেয়ে বহুল প্রত্যাশিত ফোন। বিশ্বজুড়ে বিপুল সংখ্যক প্রযুক্তিপ্রেমীর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ডিভাইস দু’টি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর, গ্যালাক্সি আনপ্যাকড অনুষ্ঠানে গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করেছে স্যামসাং। ডিভাইস দু’টিতে বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে স্যামসাং তাই, স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে এ ডিভাইসগুলো।

এ প্রসঙ্গে স্যামসাং মোবাইলের হেড অব বিজনেস মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “বর্তমান বিশ্বে দূরবর্তী স্থান থেকে কাজ করা, অনলাইন ক্লাস ও ডিজিটাল লেনদেন নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে; এ কারণে স্মার্টফোন আমাদের অনেকের কাছেই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে, ক্রেতাদের পর্যবেক্ষণ আমলে নিয়ে তাদেরকে স্মার্টফোন ব্যবহারের উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে নিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের বিশ্বাস, গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ ডিভাইস দু’টি ব্যবহারকারীদের কাছে সৃজনশীলতা ও দক্ষতা বিকাশের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং প্রযুক্তিপ্রেমীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় ভিন্নমাত্রা যোগ করবে।”

গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ ডিভাইস দু’টিতে দ্রুতগতির স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ (৪এনএম) প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ডিভাইসটিতে ৬.৮ ইঞ্চি কিউএইচডি+ ডায়নামিক অ্যামোলেড ডিসপ্লে রয়েছে; পাশাপাশি, ডিভাইসটিতে ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা, ১০৮ মেগাপিক্সেল ওয়াইড ক্যামেরা, দু’টি ১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা ও একটি ৪০ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। এ লেন্সগুলো ব্যবহার করে যে কোন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতেই যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তারা পরিষ্কার ও উজ্জ্বল ছবি তুলতে পারবেন। এছাড়াও, ডিভাইসটিতে রয়েছে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি, যা চোখের পলকেই ব্যবহারকারীদের উন্নত গেমিং অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২+ ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৬ ইঞ্চি এফএইচডি+ ডায়নামিক ডিসপ্লে; সাথে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা, ৫০ মেগাপিক্সেল ওয়াইড ক্যামেরা, ১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা। পাশাপাশি, ডিভাইটিতে রয়েছে ৪৫ ওয়াট দ্রুতগতির চার্জারসহ ৪,৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি সুবিধা, যা ব্যবহারকারীদের সারাদিন চার্জার বহন করার দুশ্চিন্তা ছাড়াই খুব সহজে গেম খেলা ও কনটেন্ট উপভোগ করতে সাহায্য করবে। চমকপ্রদ এসব ফিচারের পাশাপাশি ডিভাইসগুলোতে রয়েছে এস পেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে খুব সহজে বাস্তবিক ছবি তুলতে সাহায্য করবে!

পরবর্তী প্রজন্মের গ্যালাক্সি এস সিরিজ এখন বাজারে; তাই এখন চমৎকার ডিভাইস দু’টি দিয়ে স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোন ব্যবহারকারীরা স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারের অসাধারণ অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।

উচ্চ কর হারের কারণে বিদেশিরা বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকেন: বিডা

উচ্চ কর হারের কারণে বিদেশিরা বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকেন: বিডা

বাংলাদেশে উচ্চ কর হারের কারণে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকেন বলে মনে করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এতে বক্তব্য রাখেন— এনবিআরের কাস্টমস সদস্য (শুল্ক নীতি) মাসুদ সাদিক, সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানা ও সদস্য (আয়কর নীতি) সামস উদ্দিন আহমেদ।

বিডার আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ উন্নয়ন বিভাগের মহাপরিচালক শাহ মোহাম্মদ মাহবুব বলেন, ‘নতুন বিনিয়োগ প্রস্তাব বাস্তবায়নে করপোরেট কর হার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগে সবসময় পার্শ্ববর্তী এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর করপোরেট কর হার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

বাংলাদেশে উচ্চতর কর হারের কারণে অনেক আগ্রহী বিনিয়োগকারীও বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। তাই নতুন বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে এই হার কমানো প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে করপোরেট কর হার ২১ থেকে ২৪ শতাংশের মধ্যে। কিন্তু আমাদের দেশে নন-লিসটেড কোম্পানির কর হার সাড়ে ৩২ শতাংশ, মোট ৪০ শতাংশের ওপরে পড়ে যায়। এ কর হার কমানো দরকার। এই কর হার কমাতে পারলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যাবে। বাংলাদেশকে বিদেশিদের কাছে পজিটিভলি উপস্থাপনে সহায়তা করবে।’

প্রস্তাবনায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া করপোরেট কর দেয় না উল্লেখ মাহবুব বলেন, ‘আমাজন, ফেসবুক ও গুগলের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনলাইন মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া বাংলাদেশে ভ্যাট দিলেও করপোরেট কর দেয় না। তাদের আইনি প্রতিনিধিদের করপোরেট কর দেওয়ার আওতায় আনা উচিত।’ তিনি লভ্যাংশ আয়ের ওপর অগ্রিম কর কোম্পানির জন্য ২০ থেকে ১০ শতাংশ ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০ থেকে ৫ শতাংশ হ্রাস করা, প্লাস্টিক খাতে কন্টিনিউয়াস বন্ডের অনুমতি দেওয়া, টেলিকম সেক্টরের মোট প্রাপ্তির ওপর ন্যূনতম টার্নওভার কর কমানোসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন।

এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মুনিম বলেন, ‘কিছু প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর এত বেশি ও দীর্ঘসময় ছাড় দেওয়া আছে যে, অনেক সময় ওই কোম্পানির কার্যক্রমই শেষ হয়ে যায়। তারপরও করের বোঝা যদি অতিরিক্ত হয়, তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ফেরত পেলো বাংলাদেশ

পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ফেরত পেলো বাংলাদেশ

garment-পোশাক garment পোশাক কারখানা

ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে ফের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারকের অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছে বাংলাদেশ। করোনাকালে ক্রমবর্ধমান কার্যাদেশ সম্পন্ন করতে দেশীয় কারখানাগুলো পুরোদমে উৎপাদন করায় এ অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে দেশটি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, ২০২১ সালে ৩৫.৮১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। আর একই সময়ে ভিয়েতনামের আয় ৩২.৭৫ বিলিয়ন ডলার।

২০২০ সালে ভিয়েতনামের কাছে নিজের অবস্থান হারায় বাংলাদেশ, যখন ভিয়েতনামের আয় করা ২৯.৮ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের আয় ছিল ২৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছর ভিয়েতনামের রপ্তানি ৯.৮৯ শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে আগের বছরের তুলনায় রেকর্ড বৃদ্ধি করেছে ৩০.৩৬ শতাংশ।

স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, “২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। কিন্তু এর বিপরীতে সংক্রমণের হার কম হওয়ায় ভিয়েতনাম কারখানা বন্ধ করেনি।”

সাময়িক বন্ধের ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তিনি বলেন, “ভিয়েতনাম পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নেয়।”

ভিয়েতনামে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত বছর বাংলাদেশ ভালো করেছে। কারণ, নির্মাতারা পর্যাপ্ত কাজের অর্ডার নিয়ে পুরোদমে কারখানা চালিয়েছেন। পোশাক প্রস্তুতকারকরা বলছেন, রপ্তানির ক্ষেত্রে এটি ভাল পারফরম্যান্স করেছে।

খালেদ বলেন, “নিটওয়্যার পণ্যগুলোর বৃদ্ধি ঘটায়; অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে কাঁচামাল সরবরাহের কারণে সেক্টরটি ভালো করেছে।”

বাংলাদেশ নিটওয়্যার খাতের জন্য ৯০ শতাংশের বেশি কাঁচামাল সরবরাহ করতে পারে।

নিটওয়্যার রপ্তানি ২০২১ সালে ৩৭.৭২ শতাংশ বেড়ে ১৯.৫৯ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১৪.২২ বিলিয়ন ডলার। বোনা পণ্যগুলো ২২.৪৬ শতাংশ বেড়ে ১৬.২১ বিলিয়ন আয় করেছে। যা এক বছর আগে একই সময়ে ছিল ১৩.২৪ বিলিয়ন ডলার।

গত বছর মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩৬.৭৯ শতাংশ বেড়ে ৭.১৪ বিলিয়ন ডলারে এবং ভিয়েতনামের ১৪.৩৩ শতাংশ বেড়ে ১৪.৩৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

২০২২ সালে কী ঘটবে?

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, “চলমান মহামারির মধ্যে ২০২২ সালে ভবিষ্যত রপ্তানির দিকনির্দেশনা করা কঠিন ছিল, তবে আমি আশাবাদী যে, দেশীয় পোশাক শিল্প আগামী পাঁচ বছরে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য বিশাল প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, বর্তমান কার্যাদেশের প্রবাহ এবং ক্রেতাদের আস্থায় দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখা কঠিন হবে না।”

২০২১ সালে রপ্তানি আদেশে ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি রেকর্ড করেছেন পোশাক প্রস্তুতকারীরা, যা বিজিএমইএ’র জারি করা ইউটিলাইজেশন ডিক্লেয়ারেশনের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা দ্বারা নির্দেশিত।

শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, “আমাদের অবস্থান ধরে রাখতে আমাদেরকে চীনা বিনিয়োগের পাশাপাশি ক্রেতাদেরও আকৃষ্ট করতে হবে, যারা তাদের ক্রয়ের গন্তব্য পরিবর্তন করছে। সাধারণত, চীনা বিনিয়োগকারীরা ভিয়েতনাম এবং মিয়ানমারকেই পছন্দ করে। কারণ, তাদের সংস্কৃতিতে মিল রয়েছে।

কীভাবে অবস্থান ধরে রাখা যায়?

চীনের সাথে বাংলাদেশের ব্যবধান অনেক বড়, কিন্তু তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক ভিয়েতনামের সাথে সেই ব্যবধান খুব একটা বেশি নয়।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশকে চীনের সাথে ব্যবধান কমাতে হবে এবং দ্বিতীয় অবস্থানটি ধরে রাখতে ভিয়েতনামের সাথে সেই ব্যবধান বাড়াতে হবে এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উন্নতির আরও সুযোগ রয়েছে। আর এটি করতে হলে দক্ষতা উন্নয়ন এবং উৎপাদনে প্রযুক্তি গ্রহণের সাথে বৈচিত্র্যও আনতে হবে।”

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি গত কয়েক বছর যাবত ভাল পারফরম্যান্স করছিল এবং এর বৃদ্ধি একটি স্থির প্রবণতা দেখাচ্ছে। তাই রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। ২০২০ সালে এমনটা ঘটেছে এবং এটি আবারও ঘটতে পারে।”

এ অর্থনীতিবিদ বলেছেন, অবস্থানের ক্ষেত্রে উপর ও নিচ অস্থায়ী বিষয়, যা হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। ভিয়েতনাম কাঠামোগত উন্নয়ন এবং পণ্য বৈচিত্র্যে ভাল করেছে।

মোয়াজ্জেম বলেন, “বাংলাদেশের এলডিসি পরবর্তী সময়ের কথা ভাবা উচিত, যখন রপ্তানির ওপর শুল্ক থাকবে কিন্তু ভিয়েতনাম শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করবে।”

Wednesday, February 9, 2022

বাংলাদেশ ব্যাংকে ১০৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার কোনো দাবিদার নেই!

বাংলাদেশ ব্যাংকে ১০৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার কোনো দাবিদার নেই!:

Bangladesh Bank-Bangladesh Bank-বাংলাদেশ ব্যাংক-বিবি

সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে দাবিহীন আমানত হিসাবে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে বছরের পর জমা রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। মালিক না পাওয়া এসব অ্যাকাউন্টের টাকার পরিমাণ হাজার বা লাখ নয়, ছাড়িয়ে গেছে শত কোটি টাকা।

কোনো ব্যাংকে টাকা জমা আছে কিন্তু ১০ বছর ওই আমানতের দাবিদার না থাকলে সেটাকে ‘আনক্লেইমড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট’ (অদাবিকৃত অর্থ) হিসেবে গণ্য করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ওই অ্যাকাউন্টের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করার নির্দেশনা রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয় ১৫ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকার অদাবিকৃত অর্থ। এর পর ২০১৮ সালে জমা পড়ে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার, ২০১৯ সালে ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ২০২০ সালে ৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩৩ হাজার এবং সবশেষ ২০২১ সালে দাবিহীন আমানত থেকে জমা হয় ৩৭ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বাংলাদেশ ব্যাংকের সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া অদাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ১০৮ কোটি ১৮ লাখ ২২ হাজার ৫০৩ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১০ বছরের বেশি সময় পড়ে থাকা আমানত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে। ব্যাংকগুলো অদাবিকৃত আমানতের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দিচ্ছে। একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করছে।

তিনি জানান, তবে অনেক ব্যাংক এখনও অর্থ জমা করেনি। ওই সব ব্যাংকে পরিদর্শনের সময় বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এ ধরনের হিসাব পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো ব্যাংকের কাছে ১০ বছর ধরে আমানত ও মূল্যবান সামগ্রীর দাবিদার না থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানছে না অনেক ব্যাংক। আবার কিছু ব্যাংক জমা দিলেও সঠিক নিয়মে তথ্য ও সুদের হিসাব করছে না। বছরের পর বছর ধরে ব্যাংকগুলো নিজস্ব সম্পদ হিসেবে এসব অর্থ ব্যবহার করছে। বিভিন্ন পরিদর্শনে বিষয়টি উঠে আসে। এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দাবিবিহীন আমানত ও মূল্যবান সামগ্রী জমা দেওয়ার বিস্তারিত জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে নির্দেশনা রয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অর্থ জমা দেওয়ার পরও দুই বছরের মধ্যেও দাবিদার এলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আর এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তরিত অদাবিকৃত আমানত ও মূল্যবান সামগ্রীর তালিকা সংশ্নিষ্ট ব্যাংক তাদের ওয়েবসাইটে এবং সরকারি গেজেট ও অন্যূন দুটি পত্রিকায় প্রতি তিন মাসে একবার করে এক বছর ধরে প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটেও এক বছর ধরে এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শন করা হবে। এর পরও দুই বছরের মধ্যে কোনো দাবি উত্থাপিত না হলে বাকি অর্থ বা সামগ্রীর ওপর আর কোনো দাবি থাকবে না। পরবর্তী সময়ে তা সরকারের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে এবং সরকারের কাছে ন্যস্ত করা হবে।

ব্যাংকগুলো অদাবিকৃত আমানত ও মূল্যবান সামগ্রীর তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জমার পরও গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে স্বাক্ষরের দলিল ও অন্যান্য দলিল সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার পর আর তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে না। একই সঙ্গে সংশ্নিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদনপত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তরের বিষয়টি চিহ্নিত করতে হবে। মৃত ব্যক্তির জমানো অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য মৃত্যু সনদ জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে নমিনি মনোনয়ন করা না থাকলে উত্তরাধিকার সনদ অনুযায়ী উপযুক্ত উত্তরাধিকারী সংশ্নিষ্ট ব্যাংকে আবেদন করবেন।