Friday, February 11, 2022

পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ফেরত পেলো বাংলাদেশ

পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ফেরত পেলো বাংলাদেশ

garment-পোশাক garment পোশাক কারখানা

ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে ফের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারকের অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছে বাংলাদেশ। করোনাকালে ক্রমবর্ধমান কার্যাদেশ সম্পন্ন করতে দেশীয় কারখানাগুলো পুরোদমে উৎপাদন করায় এ অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে দেশটি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, ২০২১ সালে ৩৫.৮১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। আর একই সময়ে ভিয়েতনামের আয় ৩২.৭৫ বিলিয়ন ডলার।

২০২০ সালে ভিয়েতনামের কাছে নিজের অবস্থান হারায় বাংলাদেশ, যখন ভিয়েতনামের আয় করা ২৯.৮ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের আয় ছিল ২৭.৪৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছর ভিয়েতনামের রপ্তানি ৯.৮৯ শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে আগের বছরের তুলনায় রেকর্ড বৃদ্ধি করেছে ৩০.৩৬ শতাংশ।

স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, “২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। কিন্তু এর বিপরীতে সংক্রমণের হার কম হওয়ায় ভিয়েতনাম কারখানা বন্ধ করেনি।”

সাময়িক বন্ধের ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তিনি বলেন, “ভিয়েতনাম পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নেয়।”

ভিয়েতনামে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত বছর বাংলাদেশ ভালো করেছে। কারণ, নির্মাতারা পর্যাপ্ত কাজের অর্ডার নিয়ে পুরোদমে কারখানা চালিয়েছেন। পোশাক প্রস্তুতকারকরা বলছেন, রপ্তানির ক্ষেত্রে এটি ভাল পারফরম্যান্স করেছে।

খালেদ বলেন, “নিটওয়্যার পণ্যগুলোর বৃদ্ধি ঘটায়; অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে কাঁচামাল সরবরাহের কারণে সেক্টরটি ভালো করেছে।”

বাংলাদেশ নিটওয়্যার খাতের জন্য ৯০ শতাংশের বেশি কাঁচামাল সরবরাহ করতে পারে।

নিটওয়্যার রপ্তানি ২০২১ সালে ৩৭.৭২ শতাংশ বেড়ে ১৯.৫৯ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১৪.২২ বিলিয়ন ডলার। বোনা পণ্যগুলো ২২.৪৬ শতাংশ বেড়ে ১৬.২১ বিলিয়ন আয় করেছে। যা এক বছর আগে একই সময়ে ছিল ১৩.২৪ বিলিয়ন ডলার।

গত বছর মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩৬.৭৯ শতাংশ বেড়ে ৭.১৪ বিলিয়ন ডলারে এবং ভিয়েতনামের ১৪.৩৩ শতাংশ বেড়ে ১৪.৩৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

২০২২ সালে কী ঘটবে?

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, “চলমান মহামারির মধ্যে ২০২২ সালে ভবিষ্যত রপ্তানির দিকনির্দেশনা করা কঠিন ছিল, তবে আমি আশাবাদী যে, দেশীয় পোশাক শিল্প আগামী পাঁচ বছরে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য বিশাল প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, বর্তমান কার্যাদেশের প্রবাহ এবং ক্রেতাদের আস্থায় দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখা কঠিন হবে না।”

২০২১ সালে রপ্তানি আদেশে ২০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি রেকর্ড করেছেন পোশাক প্রস্তুতকারীরা, যা বিজিএমইএ’র জারি করা ইউটিলাইজেশন ডিক্লেয়ারেশনের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা দ্বারা নির্দেশিত।

শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, “আমাদের অবস্থান ধরে রাখতে আমাদেরকে চীনা বিনিয়োগের পাশাপাশি ক্রেতাদেরও আকৃষ্ট করতে হবে, যারা তাদের ক্রয়ের গন্তব্য পরিবর্তন করছে। সাধারণত, চীনা বিনিয়োগকারীরা ভিয়েতনাম এবং মিয়ানমারকেই পছন্দ করে। কারণ, তাদের সংস্কৃতিতে মিল রয়েছে।

কীভাবে অবস্থান ধরে রাখা যায়?

চীনের সাথে বাংলাদেশের ব্যবধান অনেক বড়, কিন্তু তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক ভিয়েতনামের সাথে সেই ব্যবধান খুব একটা বেশি নয়।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশকে চীনের সাথে ব্যবধান কমাতে হবে এবং দ্বিতীয় অবস্থানটি ধরে রাখতে ভিয়েতনামের সাথে সেই ব্যবধান বাড়াতে হবে এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের উন্নতির আরও সুযোগ রয়েছে। আর এটি করতে হলে দক্ষতা উন্নয়ন এবং উৎপাদনে প্রযুক্তি গ্রহণের সাথে বৈচিত্র্যও আনতে হবে।”

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি গত কয়েক বছর যাবত ভাল পারফরম্যান্স করছিল এবং এর বৃদ্ধি একটি স্থির প্রবণতা দেখাচ্ছে। তাই রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। ২০২০ সালে এমনটা ঘটেছে এবং এটি আবারও ঘটতে পারে।”

এ অর্থনীতিবিদ বলেছেন, অবস্থানের ক্ষেত্রে উপর ও নিচ অস্থায়ী বিষয়, যা হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। ভিয়েতনাম কাঠামোগত উন্নয়ন এবং পণ্য বৈচিত্র্যে ভাল করেছে।

মোয়াজ্জেম বলেন, “বাংলাদেশের এলডিসি পরবর্তী সময়ের কথা ভাবা উচিত, যখন রপ্তানির ওপর শুল্ক থাকবে কিন্তু ভিয়েতনাম শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করবে।”

Wednesday, February 9, 2022

বাংলাদেশ ব্যাংকে ১০৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার কোনো দাবিদার নেই!

বাংলাদেশ ব্যাংকে ১০৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার কোনো দাবিদার নেই!:

Bangladesh Bank-Bangladesh Bank-বাংলাদেশ ব্যাংক-বিবি

সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে দাবিহীন আমানত হিসাবে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে বছরের পর জমা রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। মালিক না পাওয়া এসব অ্যাকাউন্টের টাকার পরিমাণ হাজার বা লাখ নয়, ছাড়িয়ে গেছে শত কোটি টাকা।

কোনো ব্যাংকে টাকা জমা আছে কিন্তু ১০ বছর ওই আমানতের দাবিদার না থাকলে সেটাকে ‘আনক্লেইমড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট’ (অদাবিকৃত অর্থ) হিসেবে গণ্য করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ওই অ্যাকাউন্টের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করার নির্দেশনা রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয় ১৫ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকার অদাবিকৃত অর্থ। এর পর ২০১৮ সালে জমা পড়ে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার, ২০১৯ সালে ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ২০২০ সালে ৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩৩ হাজার এবং সবশেষ ২০২১ সালে দাবিহীন আমানত থেকে জমা হয় ৩৭ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বাংলাদেশ ব্যাংকের সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া অদাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ১০৮ কোটি ১৮ লাখ ২২ হাজার ৫০৩ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১০ বছরের বেশি সময় পড়ে থাকা আমানত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে। ব্যাংকগুলো অদাবিকৃত আমানতের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দিচ্ছে। একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করছে।

তিনি জানান, তবে অনেক ব্যাংক এখনও অর্থ জমা করেনি। ওই সব ব্যাংকে পরিদর্শনের সময় বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এ ধরনের হিসাব পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো ব্যাংকের কাছে ১০ বছর ধরে আমানত ও মূল্যবান সামগ্রীর দাবিদার না থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানছে না অনেক ব্যাংক। আবার কিছু ব্যাংক জমা দিলেও সঠিক নিয়মে তথ্য ও সুদের হিসাব করছে না। বছরের পর বছর ধরে ব্যাংকগুলো নিজস্ব সম্পদ হিসেবে এসব অর্থ ব্যবহার করছে। বিভিন্ন পরিদর্শনে বিষয়টি উঠে আসে। এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দাবিবিহীন আমানত ও মূল্যবান সামগ্রী জমা দেওয়ার বিস্তারিত জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে নির্দেশনা রয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অর্থ জমা দেওয়ার পরও দুই বছরের মধ্যেও দাবিদার এলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আর এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তরিত অদাবিকৃত আমানত ও মূল্যবান সামগ্রীর তালিকা সংশ্নিষ্ট ব্যাংক তাদের ওয়েবসাইটে এবং সরকারি গেজেট ও অন্যূন দুটি পত্রিকায় প্রতি তিন মাসে একবার করে এক বছর ধরে প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটেও এক বছর ধরে এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শন করা হবে। এর পরও দুই বছরের মধ্যে কোনো দাবি উত্থাপিত না হলে বাকি অর্থ বা সামগ্রীর ওপর আর কোনো দাবি থাকবে না। পরবর্তী সময়ে তা সরকারের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে এবং সরকারের কাছে ন্যস্ত করা হবে।

ব্যাংকগুলো অদাবিকৃত আমানত ও মূল্যবান সামগ্রীর তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জমার পরও গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে স্বাক্ষরের দলিল ও অন্যান্য দলিল সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার পর আর তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে না। একই সঙ্গে সংশ্নিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদনপত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তরের বিষয়টি চিহ্নিত করতে হবে। মৃত ব্যক্তির জমানো অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য মৃত্যু সনদ জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে নমিনি মনোনয়ন করা না থাকলে উত্তরাধিকার সনদ অনুযায়ী উপযুক্ত উত্তরাধিকারী সংশ্নিষ্ট ব্যাংকে আবেদন করবেন।

Thursday, February 3, 2022

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ পদে ১০ চাকরি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ পদে ১০ চাকরি

Jahangirnagar-University_1-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-jau-জাবি

শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। আগ্রহী প্রার্থীকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডাকে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

১. পদের নাম: প্রভাষক গ্রেড ৪ (বাংলা)

কাজের স্থান: জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (স্কুল পর্যায়)

পদের সংখ্যা: ১টি

বেতন স্কেল: ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক এবং বিএড

অভিজ্ঞতা: ৩ বছর

২. পদের নাম: পিএ

কাজের স্থান: ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএস

পদের সংখ্যা: ১টি

বেতন স্কেল: ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক / স্নাতকোত্তর

অভিজ্ঞতা: ৭ বছর / ৫ বছর

৩. পদের নাম: সহকারী হল সুপারিনটেনডেন্ট

কাজের স্থান: ফজিলাতুন্নেসা হল

পদের সংখ্যা: ১টি

প্রার্থীর ধরন: নারী

বেতন স্কেল: ১১৩০০-২৭৩০০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক / স্নাতকোত্তর

অভিজ্ঞতা: ৪ বছর / ৩ বছর

৪. পদের নাম: ল্যাব সহকারী

কাজের স্থান: উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ

পদের সংখ্যা: ১টি

বেতন স্কেল: ১১৩০০-২৭৩০০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক / স্নাতকোত্তর

অভিজ্ঞতা: ৪ বছর / ৩ বছর

৫. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট

কাজের স্থান: গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএস

পদের সংখ্যা: ২টি

বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি / স্নাতক

অভিজ্ঞতা: ২ বছর / নিষ্প্রয়োজন

৬. পদের নাম: টাইমকিপার

কাজের স্থান: পরিবহন অফিস

পদের সংখ্যা: ১টি

বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি / স্নাতক / স্নাতকোত্তর

অভিজ্ঞতা: ২ বছর / নিষ্প্রয়োজন / নিষ্প্রয়োজন

৭. পদের নাম: ড্রাইভার (লাইট)

কাজের স্থান: পরিবহন অফিস

পদের সংখ্যা: ৩টি

বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি

অভিজ্ঞতা: ৩ বছর

১ নম্বর পদের প্রার্থীকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। অন্য প্রার্থীরা সাদা কাগজে লিখে আবেদন করবেন।

১ নম্বর পদের প্রার্থীকে ৬০০ টাকা এবং অন্যান্য পদের প্রার্থীকে ৩০০ টাকা অগ্রণী ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে ব্যাংক ড্রাফট অথবা অগ্রণী ব্যাংক লি. জাবি শাখার সি.ডি-৬৮ অ্যা কাউন্টে টাকা জমাদানের রসিদ সংযুক্ত করতে হবে। জমাকৃত টাকা / ড্রাফট ফেরতযোগ্য নয়।

১ নম্বর পদের প্রার্থীকে ১০ সেট এবং অন্যান্য পদের প্রার্থীকে ৭ সেট আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: রেজিস্ট্রার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার।

বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

Wednesday, February 2, 2022

কারখানা থেকে পাইকারি বোরকা কিনুন | Borka Wholesale Market

১০০র বেশি হিসাব দিয়ে সাকিবের ব্রোকারেজ ব্যবসা শুরু

১০০র বেশি হিসাব দিয়ে সাকিবের ব্রোকারেজ ব্যবসা শুরু
cricket-sakib al-hasan-ক্রিকেট-সাকিব আল হাসান

ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নতুন ব্যবসার পথচলা শুরু হলো। শেয়ার কেনাবেচায় তার মালিকানাধীন মোনার্ক হোল্ডিংয়ে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব খোলা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই খোলা হয়েছে এক শর বেশি হিসাব।

মঙ্গলবার ব্রোকারেজ হাউসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের শুরু হয়েছে শেয়ার কেনাবেচাও। তবে মতিঝিলের সিটি সেন্টারের ৩২ তলায় প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট কার্যালয়ের কাজ এখনও কিছুটা বাকি।

মোনার্ক হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন সাকিব আল হাসান। তবে ব্রোকারেজ হাউসে লেনদেন শুরুর প্রথম দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

শেয়ার কেনাবেচার ব্যবসায় আসার আগে সাকিব কাঁকড়া উৎপাদন, স্বর্ণ ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায় জড়িয়েছেন। একটি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের একজনও তিনি। তবে তাকে পরিচালক করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির শুভেচ্ছাদূত হিসেবেই কাজ করেছেন।

গত বছরের ২১ মে পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউসের (অনুমোদিত শেয়ার কেনাবেচা হাউস) ব্যবসা করার অনুমতি পায় ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির শুভেচ্ছাদূত সাকিব আল হাসান।

পুঁজিবাজারে যারা বর্তমানে লেনদেন করছেন তাদের নতুন করে বিও হিসাব খোলা নয়, বরং পুঁজিবাজারের জন্য নতুন বিনিয়োগকারী ‍নিয়ে আসা তাদের প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন মোনার্ক হোল্ডিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলমগীর হোসেন।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লেনদেন শুরু হলেও বিও হিসাব খোলা হচ্ছে সোমবার থেকেই। এ সময় এক শর বেশি বিও হিসাব খোলা হয়েছে।

‘আমাদের যে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে তাতে খুব বেশি ব্যবসা সম্প্রসারিত হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের ব্রোকার সার্ভিস ও ডিলার লাইসেন্সের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ডিলার অ্যাকাউন্টে আমাদের ভালো টাকা আছে।’

এই হাউসে কমিশন অন্যান্য হাউসের তুলনায় কম থাকবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা, যদিও কমিশনের হার কত সেটি জানাননি।

তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিনিয়োগকারীদের সহনীয় কমিশন হার নির্ধারণ করা হয়েছে। কমিশনের বিপরীতে মুনাফা করার কোনো ইচ্ছা নেই।’

বিনিয়োগকারীদের মূলধনের বিপরীতে মার্জিন ঋণ নামে যে ঋণ দেয়া হয়, তা আপাতত দেয়া হচ্ছে না এই হাউসে। তবে শিগগির এই সুবিধাও দেয়া হবে।

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্দেশ থাকবে বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দেয়া, পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলো সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের স্পষ্ট চিত্র উপস্থাপন করা, যাতে বিনিয়োগকারীরা তথ্য-চিত্র দেখে বিনিয়োগে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ডিজিটাল বুথ ও শাখা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও আমরা প্রথমেই বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে সচেতন করাকে বেশি গুরুত্ব দেব।’

গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নতুন ৫৫টি ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেককে (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) লাইসেন্স দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

সেখান থেকে গত ৩০ জানুয়ারি ডিএসই ওয়েবসাইটে চারটি ব্রোকারেজ হাউসকে স্টক ব্রোকার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, তিন ডিজিটের আইডি এবং ছয় ডিজিটের নম্বর দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এগুলো হচ্ছে থ্রি আই সিকিউরিটিজ, রহমান ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট, মোনার্ক হোল্ডিং ও সোনালী সিকিউরিটিজ।

মঙ্গলবার পর্যন্ত সোনালী সিকিউরিটিজ বাদে বাকি তিনটি ব্রোকারেজ হাউসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

নতুন করে ট্রেক বা ব্রোকারেজ হাউসের সার্টিফিকেট পেতে ৬৬টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এখান থেকে ডিএসই ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাতিল করে ৫১টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিতে বিএসইসির কাছে পাঠায়। পরে আরও ৪টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত করা হয়।

গত ২০ জানুয়ারি আরও তিনটি ব্রোকারেজ হাউস অনুমোদন পাওয়ায় এখন এ তালিকা বেড়ে হয়েছে ৫৮টি। এতে ডিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেকের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮৩টিতে।