Sunday, February 20, 2022

ইউরোপ-বাংলাদেশ চেম্বার গঠনের উদ্যোগ ব্যবসায়ীদের

ইউরোপ-বাংলাদেশ চেম্বার গঠনের উদ্যোগ ব্যবসায়ীদের

ইউরোপ-বাংলাদেশ চেম্বার গঠনের উদ্যোগ ব্যবসায়ীদের

ইউরোপে তৈরি পোশাকের বাইরে আরও অনেক পণ্য রপ্তানি হলেও সেগুলোর ভোক্তা মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিরাই। মূল ধারার বাজারে এখনও সেসব পণ্য খুব একটা পরিচিত হয়নি। এ অবস্থার উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রত্যেকটি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের নিয়ে ইউরোপ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এফবিসিসিআই আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের সভাপতি কাজী এনায়েত উল্লাহ।

এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় কাজী এনায়েত উল্লাহ জানান, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে এ উদ্যোগ কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইউরোপ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠিত হলে ইউরোপের মূল অর্থনীতিতে বাংলাদেশি পণ্যের দৃশ্যমান উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ চেম্বারের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের সঠিক চিত্র তুলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ইউরোপিয়ান বিনিয়োগ আকর্ষণে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

এ সময় তিনি জানান, আমাদের আগে স্বাধীন হওয়া অনেক দেশকে আর্থসামাজিক সূচকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এসব তথ্য সঠিকভাবে বিদেশে উপস্থাপিত হচ্ছে না। যার কারণে ব্র্যান্ডিংয়ে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরের পর সে দেশের প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। এ আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে ফ্রান্সে বাংলাদেশের ব্যাপক ব্র্যান্ডিং করতে চায় ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বার।

করোনা মহামারির পর ইউরোপের শ্রম বাজারের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরির আহ্বান জানান কাজী এনায়েত উল্লাহ।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিদেশে অনেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। দেশগুলোর মূল অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন তারা। প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল নেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি। দেশের অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও বিনিয়োগবান্ধব নীতিগুলো তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আয় দিন দিন বাড়ছে। বিপুল জনসংখ্যার কারণে এ দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারও বিশাল। তাই এ দেশে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখতে পারেন।

এফবিসিসিআই’র উদ্যোগে পিডব্লিউসি লন্ডনের বাজারের ওপর গবেষণা করছে জানিয়ে সভাপতি বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ গবেষণার ফলাফল জানা যাবে। গবেষণার তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যকে জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে এফবিসিসিআই। ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশের বাজারেও একই ধরনের গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

এ সময় ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারকে ফ্রান্সে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই’র সভাপতি।

সভায় এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, বিদেশের বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের নভেম্বরে প্যারিসে ফ্রান্সের শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনাল ও ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে এফবিসিসিআই। এসব কার্যক্রমের ফলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় হয়েছে। যা দেশে বিদেশী বিনিয়োগ আনতে সহায়তা করবে।

এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় সব শিল্পই রয়েছে। কিন্তু অনেকগুলোই অনানুষ্ঠানিক ভাবে হওয়ায় সঠিক তথ্য উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে। ফ্রান্স বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন মো. আমিন হেলালী।

এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম, ফ্রান্স-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নির্বাহী পরিচালক রুবাবা নভেরা সায়ীদ, ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের সহ-সভাপতি ফখরুল আকন সেলিম, এফবিসিসিআই’র উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী ও ড. ফেরদৌসী বেগম। সভা সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহম্মাদ মাহফুজুল হক।

Sunday, February 13, 2022

৩০ দিনের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

৩০ দিনের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

৩০ দিনের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘৭ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলোর কাগজপত্রে সমস্যার কারণে আইপিও অনুমোদনে সময় লাগে। ভালো কোম্পানিগুলো সঠিক তথ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে এক মাসের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন দেওয়া সম্ভব।’

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে,অনলাইন বিজনেস নিউজপোর্টাল বিজনেস আওয়ার২৪.কম আয়োজিত “শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির প্রতিবন্ধকতা ও সমাধানের উপায়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেকে অভিযোগ করেন আইপিওর অনুমোদনের ক্ষেত্রে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়। কিন্তু যেসব কোম্পানি সঠিক কাগজপত্র দেয়, তাদের ৭-২৮ দিন কিংবা এক থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন দেই। আমরা কয়েকটি কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘যখন কোনো কোম্পানি ছলচাতুরীর মধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে চায় তারা সঠিক কাগজপত্র দিতে পারে না। তাদের কাছে কাগজপত্র চাইলে এক সপ্তাহ সময়ের জায়গায় তিন মাস, ছয় মাস পার হয়ে যায় কিন্তু তারা সেই কাগজপত্র নিয়ে আসতে পারে না। পরে তারা আমাদের দোষ দেয়, যে আমরা আইপিওর অনুমোদন দিচ্ছি না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়া কোম্পানির তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই।’

তিনি বলেন, ‘ভালো কোম্পানি বাজারে আসছে না- কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। তারা আসছে, তবে দেরি করে আসছে। চলতি বছরই ভালো ভালো কিছু কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসবে। আমরা ভালো কোম্পানি আনতে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা যে ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে প্রত্যাশা করতেছেন তাদেরকে শিগগিরই দেখতে পারবেন।

তিনি বলেন, জোর করে ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনা যাবে না। সেজন্য তাদেররকে বুঝিয়ে সুযোগ-সুবিধা দিয়েই বাজারে আনার চেষ্টা করছি। কোম্পানিগুলোকে এখানে আসতে পেইড অব ক্যাপিটাল বেঁধে দিয়ে জোর প্রয়োগ করা ঠিক হবেনা। বরং তাদেরকে পুঁজিবাজারের ভালো দিকগুলো নিয়ে বুঝিয়ে এখানে আনতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাটাই করেছি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদেরও ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজার বিষয়ক আপনাদের করা রিপোর্টিং এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে দেশে এবং দেশের বাইরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সম্মান এবং গুরুত্ব পাওয়া যায় বলেই আমেরিকায় মেটা, ফেসবুক, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে। আমাদের এখানেও এই বিষয়ে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকে যেভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, সেটা কোনভাবেই ব্যবসাবান্ধব নয়। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক উভয়েই সমস্যায় পড়ে। কিন্তু তাদেরকে যদি পুনঃতফসিলের সুযোগ না বাড়ানো হতো তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো তো ব্যবসা বন্ধ করে দিতো না। তারা বাধ্য হয়েই পুঁজিবাজারে আসতো।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম আইপিও বাণিজ্য, প্লেসমেন্ট বাণিজ্য। আমরা সেগুলো বন্ধ করতে পেরেছি। অডিটের ক্ষেত্রে যে অপবাদ ছিল সেগুলোও বন্ধ করতে পেরেছি। চার্টার্ড অডিট ফার্মগুলো এক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে কর্মসংস্থান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সিএমএসএমই খাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আরো আগেই সেটা করা উচিত ছিল। তাহলে এতোদিনে তারা মিডিয়াম প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতো এবং ধীরে ধীরে কর্পোরেটে পরিণত হতো।

Saturday, February 12, 2022

Company Act needs amendment to make it time-befitting: Commerce Secretary

Company Act needs amendment to make it time-befitting: Commerce Secretary

Company Act Needs Amendment To Make It Time-Befitting: Commerce Secretary

Commerce Ministry’s Senior Secretary Tapan Kanti Ghosh said on Saturday that the country’s Company Act needs to be amended and modernized in line with the global perspective for sustainable financial growth.

The Company Act has been amended in 1994, which needs to be more up-to-date in the perspective to adopt so many changes in the global economy and trading system, he said.

The commerce secretary came up with remarks while addressing as the chief guest in the opening session at journalists workshop titled “Investigative Journalism on Company Reporting”, held at ERF Auditorium on Saturday.

In order to develop skilled of economic reporters, the program was jointly organized by Management and Resources Development Initiative (MRDI) and Economic Reporters’ Forum (ERF).

The four-part workshop was chaired by ERF President Sharmeen Rinvy. Barrister Nihad Kabir, chairperson BUILD (Business Initiative Leading Development) and former president of Metropolitan Chamber of Commerce (MCCI), Shahidul Islam CFA former president CFA Society Bangladesh, Shafiqul Alam, bureau chief of Agency France Press (AFP), Hasibur Rahman, Executive Director MRDI, among others, spoke in the function. ERF secretary SM Rashedul Islam Moderated the program.

Tapan Kanti Ghosh said the government has taken initiative to amend the company law to make it inclusive of all relevant issues after reviewing various aspects of the economy.

He said in the free market economy, it is the responsibility of the state to ensure fair prices of goods and services rising to encourage market competition.

The government is trying to do that along with creating a competitive environment for business and productions, the senior commerce secretary said.

Barrister Nihad Kabir said, “There are complications in several cases in company law. Many people get into trouble when they go to liquidate a company. That is why many are not going to end the legal process”

In response to a question, Nihad Kabir said there is no option to produce a complete new Company Act, it should be a consequence of previous Company Act as well as World Trade Organization (WTO) and other international rules and regulations.

She said the problems that have arisen with the passage of time need to be rectified in the new amendment of the Company Act.

AFP bureau chief Shafiqul Alam outlines what aspects the reporter needs to look at in preparing an investigative report on the company.

He said that not only financial irregularities but also the impact of the company’s activities on society and human life and its impact on the environment could be the subject of investigation reporting.

Hasibur Rahman said the MRDI works to improve the skills of journalists including investigative journalism.

To this end, MRDI assists individual reporters and organizations with financial and logistical support, he said.

এক জমিতেই ৩০ প্রজাতির বাঁশ (ভিডিও)

এক জমিতেই ৩০ প্রজাতির বাঁশ (ভিডিও)

এক জমিতেই ৩০ প্রজাতির বাঁশ (ভিডিও)

কয়েক বছর আগেও দেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই যেখানে সেখানে দেখা যেত বাঁশ বাগান। কিন্তু নানা কারণে দ্রুতই সেসব বাগান অস্তিত্ব হারাচ্ছে। শহরে বাঁশ বাগানের দেখা তো পাওয়া যাবেই না, গ্রাম থেকেও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বাগানগুলো।

এমন বাস্তবতায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম। বান্দরবানের লামা উপজেলায় অবস্থিত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের চত্বরে গড়ে তোলা হয়েছে বাঁশ বাগান। আর এই বাগানের বিশেষত্ব হলো- একটি-দুটি নয়, ৩০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে এই বাগানে।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক রাহুল সরকার বলেন, ‘সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০০৭ সালে প্রায় ৮০ শতক জমিতে বাঁশ বাগানটি গড়ে তোলা হয়। প্রথম পর্যায়ে বনবিভাগ থেকে কয়েক প্রজাতির বাঁশ এনে রোপণ করা হয়। পরে দেশের বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বাইর থেকে বাঁশ এনে এখানে রোপণ করা হয়। বর্তমানে এই বাগানে ৩০ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে।’

কেন এই বাঁশ বাগান

রাহুল সরকার বলেন, ‘বিলুপ্তপ্রায় গাছ সংরক্ষণ আমাদের কোয়ান্টামের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাই বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে বাঁশ বাগানও গড়ে তোলা হয়েছে।’

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বাঁশ বাগানে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে ‘কোয়ান্টাম ব্যাম্বোরিয়াম’ নামে একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা আছে, বনবিভাগের সহযোগিতায় ব্যাম্বোরিয়াম।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক বলেন, ‘অ্যাকুরিয়ামে যেমন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ থাকে, তেমনি ব্যাম্বোরিয়ামে অনেক প্রজাতির বাঁশ থাকে।’

যেসব বাঁশ রয়েছে এখানে

ব্যাম্বোরিয়ামে প্রবেশ করতেই দেখা মিলবে সাদা বাঁশের। পাতাগুলো সাদা। তাই হয়তো এটি সাদা বাঁশ নামে পরিচিত।

পাশেই রয়েছে ঘটি বাঁশ। এই বাঁশ দেখলে মনে হবে, অনেকগুলো মাটির হাঁড়ি একটির উপর আরেকটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো স্বর্ণ বাঁশ। সোনালী রঙের বাঁশটি খুব বেশি লম্বা ও মোটা নয়। সোনালী বর্ণের হওয়ায় দূর থেকে এই বাঁশ খুবই সুন্দর দেখায়।

সবচেয়ে লম্বা ও মোটা ভুদুম বাঁশ। আকাশ ছোয়া এ বাঁশটপাহাড়ি অঞ্চলেই জন্মে।

তেঁতুয়া, থাই, মাকলা, মিতিঙ্গা, তল্লা, বরাক, রেঙ্গুন, ফারুয়া, বেথুয়া, ব্রান্ডিসি, বাইজ্জা, মাকলা, কাঁটা, হেজা, লাঠি, ঘটি, জিগজ্যাগ, বারওয়ারী, বরাক, কনককাইচ, মুলি ও বোম্ব বাঁশ।

বিচিত্র এ বাঁশ বাগানে ঘুরতে আসা দর্শণার্থী আবদুর রহমান জানান, তার বাড়ি ফেনী জেলায়। সমতল ভূমির এ জেলায় তিনি ৩ প্রকারের বাঁশ দেখেছেন। এখানে এক বাগানে ৩০ প্রজাতির বাঁশ দেখে তিনি অভিভূত।

কুমিল্লা থেকে বেড়াতে আসা বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা তাহিবুর রহমান এই বাগান থেকে বিষ্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সত্যি খুব ভালো সংগ্রহ রয়েছে বাগানটিতে। আশা করি বাগানটি সংরক্ষণের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম বাঁশ সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা পাবে।’

No negative growth in any area of the economy: Kamal

No negative growth in any area of the economy: Kamal

No Negative Growth In Any Area Of The Economy: Kamal

Finance Minister AHM Mustafa Kamal has said that there is no sector of Bangladesh’s economy witnessed negative growth, although the global economy was hit hard by the pandemic.

He said this while briefing reporters on the outcomes of the two consecutive meetings of the Cabinet Committee on Economic Affairs and the Cabinet Committee on Public Purchase held virtually on Thursday.

“You can easily find a calculation of the economy. There is no inflation while our exchange rates have remained stable. When globally remittance was facing tough times, our (inward) remittance achieved a 15 per cent growth”, he added.

He also said that the country’s revenue generation obtained 30 per cent growth while the import and IT sector witnessed growth too.

Kamal said though remittance is not considered while calculating the GDP growth, it is considered while calculating per capita income.

“These are the areas of the economy…If there was any negative growth, it will be reflected into the economy,” he said.

Referring to his budget speech, the finance minister said his prediction in the previous FY2020-21 proved correct in the economic growth. The predictions were close to the World Bank’s projections.

He said it was possible because of the people’s participation and efficient leadership of Prime Minister Sheikh Hasina.

“Our expansionary monetary policy has played a role in this regard. We followed this policy when many countries in the world didn’t dare to take this path”, he said adding, these were reasons for the economic growth.

He said that whatever the way you calculate the economic growth, finally you find the same result. “We have given the clarifications.”

Kamal said somebody may say that it was not a correct calculation, but you can yourself see our achievements.

“Nobody can show this achievement anywhere”, he said.

‘নারীর ক্ষমতায়নে নেদারল্যান্ডসের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ’

‘নারীর ক্ষমতায়নে নেদারল্যান্ডসের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ’

‘নারীর ক্ষমতায়নে নেদারল্যান্ডসের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ’

নারী ক্ষমতায়নে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এমনটা বলেছেন ওই দেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রেনে জোনস। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন।

আশির দশকের প্রথম দিকে বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন রেনে জোনস। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর আবার ২০১৫ সালে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠকের জন্য ঢাকায় এলে পুরনো শহরকে চিনতেই পারেননি তিনি।

জীবনের প্রথম পোস্টিং সম্পর্কে রেনে বলেন, ওই সময়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেকে মনে করতো নারী চাকরিজীবীদের জন্য ঢাকা ভালো জায়গা নয়। এখন তা চিন্তাও করা যায় না।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে অনেক শিক্ষিত নারীর পরিচয় ছিল যারা আর্কিটেক্ট, ব্যবসায়ী বা আইনজীবী। এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী যা নেদারল্যান্ডস এখনও পায়নি।

সাবেক ওই কূটনীতিক বলেন, আমি আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেয়েছি বাংলাদেশে। সেটা হলো— যা শোনা যায় সব মেনে নেওয়া ঠিক না। সিদ্ধান্তে আসার আগে নিজে গিয়ে পরিস্থিতি দেখা উচিত।

২০১৫ সালে ঢাকা সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বিস্মিত হয়েছি ঢাকা শহরের ব্যাপ্তি দেখে। আমি গুলশানে থাকতাম, এলাকাটাকে চিনতেই পারিনি। ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম ও অর্থনীতির কলেবর, দুটোই বেড়েছে।

আগামী ৫০ বছরের প্রথম সকাল

১৯৭২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদকে অবহিত করা হয় যে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, আজকের (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আগামী ৫০ বছরের প্রথম সকাল। তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশকে নেদারল্যান্ডস স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং আমাদের উন্নয়ন পরিক্রমায় পাশে থেকেছে।

দুই দেশের মধ্যে নতুন সম্ভাবনাকে স্বীকার করার সময় হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পানি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকা ও হেগ কাজ করতে করছে।

তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ১৫ জন ডাচ পোলট্রি ব্যবসায়ী ঢাকা সফর করবেন। ৭০টিরও বেশি বাংলাদেশি ডিজিটাল কোম্পানি নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ৩০টিরও বেশি ডাচ এনজিও বাংলাদেশে কাজ করছে।

ওয়েবিনারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী বলেন, দুই দেশ এখন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ছাড়াও কৌশলগত স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করছে। ইন্দো-প্যাসিফিকের পরিপ্রেক্ষিতে মেরিটাইম নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার বড় বিষয় এবং এটা নিয়ে ঢাকা ও হেগের স্বার্থ রয়েছে। এমন বিষয়ে কথা বলার সুযোগও রয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ডেল্টা কোয়ালিশনের সদর দফতর ঢাকায় করার জন্য ঢাকার প্রস্তাবে যেন সদস্য রাষ্ট্র নেদারল্যান্ডস সমর্থন দেয়।