Sunday, February 13, 2022

৩০ দিনের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

৩০ দিনের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

৩০ দিনের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘৭ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলোর কাগজপত্রে সমস্যার কারণে আইপিও অনুমোদনে সময় লাগে। ভালো কোম্পানিগুলো সঠিক তথ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে এক মাসের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন দেওয়া সম্ভব।’

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে,অনলাইন বিজনেস নিউজপোর্টাল বিজনেস আওয়ার২৪.কম আয়োজিত “শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির প্রতিবন্ধকতা ও সমাধানের উপায়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেকে অভিযোগ করেন আইপিওর অনুমোদনের ক্ষেত্রে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়। কিন্তু যেসব কোম্পানি সঠিক কাগজপত্র দেয়, তাদের ৭-২৮ দিন কিংবা এক থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন দেই। আমরা কয়েকটি কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘যখন কোনো কোম্পানি ছলচাতুরীর মধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে চায় তারা সঠিক কাগজপত্র দিতে পারে না। তাদের কাছে কাগজপত্র চাইলে এক সপ্তাহ সময়ের জায়গায় তিন মাস, ছয় মাস পার হয়ে যায় কিন্তু তারা সেই কাগজপত্র নিয়ে আসতে পারে না। পরে তারা আমাদের দোষ দেয়, যে আমরা আইপিওর অনুমোদন দিচ্ছি না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়া কোম্পানির তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই।’

তিনি বলেন, ‘ভালো কোম্পানি বাজারে আসছে না- কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। তারা আসছে, তবে দেরি করে আসছে। চলতি বছরই ভালো ভালো কিছু কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসবে। আমরা ভালো কোম্পানি আনতে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা যে ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে প্রত্যাশা করতেছেন তাদেরকে শিগগিরই দেখতে পারবেন।

তিনি বলেন, জোর করে ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনা যাবে না। সেজন্য তাদেররকে বুঝিয়ে সুযোগ-সুবিধা দিয়েই বাজারে আনার চেষ্টা করছি। কোম্পানিগুলোকে এখানে আসতে পেইড অব ক্যাপিটাল বেঁধে দিয়ে জোর প্রয়োগ করা ঠিক হবেনা। বরং তাদেরকে পুঁজিবাজারের ভালো দিকগুলো নিয়ে বুঝিয়ে এখানে আনতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাটাই করেছি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদেরও ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজার বিষয়ক আপনাদের করা রিপোর্টিং এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে দেশে এবং দেশের বাইরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সম্মান এবং গুরুত্ব পাওয়া যায় বলেই আমেরিকায় মেটা, ফেসবুক, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে। আমাদের এখানেও এই বিষয়ে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকে যেভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, সেটা কোনভাবেই ব্যবসাবান্ধব নয়। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক উভয়েই সমস্যায় পড়ে। কিন্তু তাদেরকে যদি পুনঃতফসিলের সুযোগ না বাড়ানো হতো তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো তো ব্যবসা বন্ধ করে দিতো না। তারা বাধ্য হয়েই পুঁজিবাজারে আসতো।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম আইপিও বাণিজ্য, প্লেসমেন্ট বাণিজ্য। আমরা সেগুলো বন্ধ করতে পেরেছি। অডিটের ক্ষেত্রে যে অপবাদ ছিল সেগুলোও বন্ধ করতে পেরেছি। চার্টার্ড অডিট ফার্মগুলো এক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে কর্মসংস্থান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সিএমএসএমই খাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আরো আগেই সেটা করা উচিত ছিল। তাহলে এতোদিনে তারা মিডিয়াম প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতো এবং ধীরে ধীরে কর্পোরেটে পরিণত হতো।

No comments:

Post a Comment