Sunday, February 20, 2022

‘সস্তায়’ বাজারে এলো দেশে তৈরি রেডমি-১০ স্মার্টফোন

‘সস্তায়’ বাজারে এলো দেশে তৈরি রেডমি-১০ স্মার্টফোন

‘সস্তায়’ বাজারে এলো দেশে তৈরি রেডমি-১০ স্মার্টফোন

শীর্ষ গ্লোবাল স্মার্টফোন কোম্পানি শাওমি বাংলাদেশে তৈরি তাদের দ্বিতীয় স্মার্টফোন রেডমি-১০ (২০২২) সংস্করণ বাজারে ছেড়েছে। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের সব অথরাইজড শাওমি স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে ব্র্যান্ডটি দেশে তৈরি প্রথম স্মার্টফোন রেডমি-৯এ উন্মোচন করেছে। নতুন রেডমি স্মার্টফোন উন্মোচনের মাধ্যমে ‘মেক ইন বাংলাদেশ’ যাত্রা আরও শক্তিশালী করল শাওমি।

রেডমি-১০ (২০২২) স্মার্টফোনটিতে রয়েছে আকর্ষণীয় ফিচার এবং অসাধারণ পারফরম্যান্স ক্ষমতা, যা প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাবে। এতে রয়েছে অসামান্য ৫০ মেগাপিক্সেলের হাই-রেজুলেশনের ক্যামেরা এবং এফএইচডিপ্লাস রেজুলেশনের ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেটযুক্ত ডিসপ্লে।

নতুন স্মার্টফোন উন্মোচন উপলক্ষে শাওমির কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘‘মেক ইন বাংলাদেশ’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমাদের ফ্যানদের জন্য স্থানীয়ভাবে তৈরি দ্বিতীয় স্মার্টফোনের ঘোষণা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। স্থানীয়ভাবে তৈরি আমাদের প্রথম স্মার্টফোন রেডমি ৯এ-এর অসামান্য সফলতার ধারাবাহিকতায় এটি আনা হয়েছে।। আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশের বাজারে মিড-রেঞ্জের পাওয়ারহাউস রেডমি ১০ (২০২২) সংস্করণটি ফ্যানদের কাছে জনপ্রিয় হবে।”

নেক্সট লেভেল ক্যামেরা পারফরম্যান্স

ডিভাইসটিতে থাকা ৫০ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-হাই-রেজুলেশনের প্রাইমারি ক্যামেরা অসাধারণ ডিটেইলসহ ছবি তোলার অভিজ্ঞতা দিবে। ব্যবহারকারীর মূল্যবান সব মুহূর্ত ধরে রাখার স্বাচ্ছ্যন্দ দিতে শাওমি রেডমি-১০ (২০২২) ফোনে একই সঙ্গে দেয়া হয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেলে ম্যাক্রো ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর। শটগুলোকে আরও সুন্দর করে তোলা যাবে ক্যামেরায় থাকা ফিল্টারে, সে জন্য রয়েছে প্যানারোমা সেলফি, যা গ্রুপ ছবি তোলার অভিজ্ঞতা আরো সহজতর করবে । সেলফি নিতে ফোনটির সামনে দেয়া হয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, যাতে রয়েছে টাইম ব্রাস্ট এবং এআই বিউটিফিকেশন।

অসাধারণ ডিসপ্লে এক্সপেরিয়েন্স

রেডমি-১০ (২০২২) রয়েছে বড় ৬.৫ ইঞ্চির ডটডিসপ্লের সঙ্গে ফুলএইচডিপ্লাস রেজুলেশন, এতে থাকছে ৯০হার্জ রিফ্রেশ রেট; যা গেইমিং বা সাধারণ স্ক্রলিং করার সময় স্মুথ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে। এই ডিস্প্লেতে আছে অ্যাডাপটিভ সিঙ্ক প্রযুক্তি, যা সাধারণত ফ্ল্যাগশিপ ফোনে পাওয়া যায়। এই প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিফ্রেশ রেটের সঙ্গে ফ্রেম রেট মিলিয়ে দেয়, এর ফলে ডিভাইসটি স্মুথ রেজাল্ট ও ব্যাটারির পাওয়ার দীর্ঘস্থায়ী করে।

মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৮ প্রসেসরে শক্তিশালী পারফরম্যান্স

রেডমি-১০ (২০২২) ফোনে থাকা ২.০ গিগাহার্জের অক্টা-কোর মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৮ প্রসেসর দেবে যেকোনো সময়ের চেয়ে পরিষ্কার ছবি এবং উন্নত গেইমিং অভিজ্ঞতা। এতে থাকা দ্রুত গতির জিপিইউ, শক্তিশালী হার্ডওয়্যার এবং চমকপ্রদ ফিচার ডিভাইসটিতে দেয় স্মার্টফোন ব্যবহারে নেক্সট লেভেল পারফরম্যান্স।

টেকসই ব্যাটারি

স্মুথ পারফরম্যান্স চাহিদা মেটাতে স্মার্টফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, সঙ্গে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং এবং ২২.৫ ওয়াটের বক্স চার্জার। বড় ব্যাটারির ফোনটি আপনাকে সারাদিন অনায়াসে পাওয়ার ব্যাকআপ দিতে সক্ষম।

কবে পাওয়া যাবে, দাম কত

রেডমি-১০ ২০২২ ফোনটি পাওয়া যাবে কার্বন গ্রে এবং সি ব্লু রঙে। বাংলাদেশে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে ফোনটি দেশের সব অথরাইজড শাওমি স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। স্মার্টফোনটির ৪+৬৪ জিবি সংস্করনের দাম ১৪,৯৯৯ টাকা এবং ৬+১২৮ জিবি সংস্করনের দাম ১৬,৯৯৯ টাকা। বাংলাদেশে তৈরির আগে ফোনটি ২০ হাজার টাকার আশেপাশে দেশের বাজারে বিক্রি হতো। সে তুলনায় দাম এখন অন্তত ৫ হাজার টাকা কম।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন কোম্পানি শাওমি। কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠা করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কনজ্যুমার এআইওটি প্লাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে শাওমির পণ্যগুলো ব্যবহার হচ্ছে।

চীনের টেক জায়ান্ট শাওমি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে। শাওমি একটি কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স এবং স্মার্টফোনসহ স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি; যার মূল হলো স্মার্ট হার্ডওয়্যার এবং ইন্টারনেট অব থিংকস বা আইওটি প্লাটফর্ম।

শাওমি জানায়, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ‘ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং তাদের হৃদয়ে সর্বোত্তম কোম্পানি’ হিসেবে জায়গা করে নেওয়া। পাশাপাশি শাওমির ক্রমাগত উদ্ভাবন, ব্যবহারকারীদের উচ্চ অভিজ্ঞতা এবং পরিচালন দক্ষতা। কোম্পানিটি সম্প্রতি বিশ্বের সেরা সব উদ্ভাবনী পণ্য এনেছে, যা ‘অনেস্ট প্রাইস’ বা সাশ্রয়ী মূল্যে জীবনকে আরও সহজ করে তোলে।

বাজারে এলো ওয়ালটনের নতুন স্পিকার

বাজারে এলো ওয়ালটনের নতুন স্পিকার

বাজারে এলো ওয়ালটনের নতুন স্পিকার

নতুন দুই মডেলের স্পিকার বাজারে নিয়ে এসেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ‘কোরাস’প্যাকেজিং এ ২.১ মাল্টিমিডিয়া স্পিকার দুটির মডেল ‘ডব্লিউএস২১২৯’ (WS2129) এবং ‘ডব্লিউএস২১৬০’(WS2160). উন্নত ফিচারসমৃদ্ধ আকর্ষণীয় ডিজাইনের স্পিকারগুলো দেবে সুমধুর ও জোরালো শব্দ। গান শোনা, মুভি দেখা কিংবা গেম খেলায় অনন্য অনুভূতি পাবেন গ্রাহক।

উল্লেখ্য, গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন মডেলের এবং মূল্যের স্পিকার, সাউন্ডবার এবং অডিও এক্সেসরিজ উৎপাদন এবং বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এর প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ২টি নতুন মডেল নিয়ে এসেছে তারা। স্পিকার দুটির প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে উভয়ের সাথেই সাবউফার আছে।

ডিভাইস দুটি ফুল রেঞ্জ সাউন্ড দিতে সক্ষম। স্পিকারগুলোতে মাল্টি-মোডে ব্লুটুথ, ইউএসবি প্লেব্যাক, অক্স, এফ এম রেডিও এসব সোর্স থেকে সরাসরি পছন্দের মিউজিক উপভোগ করা যাবে। রয়েছে এলইডি ডিসপ্লে, যেখানে দেখা যাবে প্রয়োজনীয় তথ্য।

জানা গেছে, ডব্লিউএস২১৬০’ (WS2160) মডেলের স্পিকারটিতে রয়েছে ১৫ ওয়াটের ২টি স্পিকারের সাথে ৩০ ওয়াটের সাবউফার। বিল্ট-ইন ৩ চ্যানেল পাওয়ার এমপ্লিফায়ার থাকায় এতে পাওয়া যাবে অনন্য মিউজিকের অভিজ্ঞতা। সাথে রয়েছে রিমোট কন্ট্রোল সুবিধা, যার মাধ্যমে দূর থেকেও অডিও ভলিউম নিয়ন্ত্রণ বা পরিবর্তন করা যাবে। এই স্পিকারটির মূল্য ৪,৯৫০ টাকা।

‘ডব্লিউএস২১২৯’ (WS2129) মডেলের স্পিকারটিতে ৫ ওয়াটের ২টি স্যাটেলাইট স্পিকারের সাথে রয়েছে ২০ ওয়াটের সাবউফার। এই মডেলটিতেও যথারীতি বিল্ট-ইন ৩ চ্যানেল পাওয়ার এমপ্লিফায়ার এবং রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে। এর দাম মাত্র ৩,৬৫০ টাকা।

চিফ বিজনেস অফিসার মো. তৌহদুর রহমান রাদ বলেন, “বাংলাদেশের গ্রাহকরা বর্তমানে বিনোদন এবং প্রয়োজন উভয় ক্ষেত্রেই প্রচুর স্পিকার ব্যবহার করেন। সম্প্রতি আমরা সাউন্ডবার এনেছি। যা ইতোমধ্যে গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

উন্নতমানের স্পিকারের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই আমরা আমাদের পণ্যগুলো উৎপাদন এবং বাজারজাত করে থাকি। এজন্য আমাদের নতুন পণ্যগুলোয় সর্বশেষ প্রযুক্তির সব ফিচার আছে, যা গ্রাহকদের বিনোদন ও কাজে অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে।”

স্পিকারগুলো পাওয়া যাচ্ছে সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ওয়ালটনের সব শোরুমে। এতে গ্রাহকরা ১ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন।চিফ বিজনেস অফিসার মোঃ তৌহদুর রহমান রাদ বলেন, “বাংলাদেশের গ্রাহকরা বর্তমানে বিনোদন এবং প্রয়োজন উভয় ক্ষেত্রেই প্রচুর স্পিকার ব্যবহার করেন। সম্প্রতি আমরা সাউন্ডবার এনেছি। যা ইতোমধ্যে গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

উন্নতমানের স্পিকারের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই আমরা আমাদের পণ্যগুলো উৎপাদন এবং বাজারজাত করে থাকি। এজন্য আমাদের নতুন পণ্যগুলোয় সর্বশেষ প্রযুক্তির সব ফিচার আছে, যা গ্রাহকদের বিনোদন ও কাজে অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে।”স্পিকারগুলো পাওয়া যাচ্ছে সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ওয়ালটনের সব শোরুমে। এতে গ্রাহকরা ১ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন।

এসএমই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সীমা কমলো

এসএমই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সীমা কমলো

bsec stock bsec-bsec2-BSEC-বিএসইসি-Bangladesh Securities and Exchange Commission (BSEC)

শেয়ারবাজারে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলেই যে কোনো বিনিয়োগকারী এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করতে পারবেন। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জারি করা এ নির্দেশনায় সই করেছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

এর আগে শেয়ারবাজারে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলে এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন করার সুযোগ পেতেন বিনিয়োগকারীরা।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেকোনো বিনিয়োগকারীর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকলে তিনি কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারবেন। আর নিবন্ধিত বিনিয়োগকারী এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের লেনদেন করতে পারবেন।

কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধন নিতে বিনিয়োগকারীদের কোনো চার্জ দিতে হবে না। তবে লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজের যে কমিশন আছে, তা দিতে হবে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আগে এসএমই প্ল্যাটফর্মের কোয়ালিফাড ইনভেস্টর হতে শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন সেটি কমিয়ে ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে। ২০ লাখ টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ থাকা যে কোনো বিনিয়োগকারী কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারবেন।

তিনি বলেন, কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর হিসেবে নিবন্ধিত হতে বিনিয়োগকারীদের কোনো ফি দিতে হবে না। তবে এসএমই প্ল্যাটফর্মে সিকিউরিটি লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর যে কমিশন ধার্য আছে তা দিতে হবে।

বিভিন্ন পক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় এমন স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ‘স্মল ক্যাপিটাল প্ল্যাটফর্ম’ নামে আলাদা বাজার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প মূলধনের কোম্পনির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপ কোম্পানিজ) রুলস-২০১৬ প্রণয়ন করে। তবে ২০১৮ সালে এর কিছু বিধির সংশোধন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্মল ক্যাপ মার্কেট (এসএমই) প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করে। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এসএমই প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধনের আড়াই বছর পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শেয়ারবাজারে এসএমই প্রতিষ্ঠানের লেনদেন শুরু হয়।

প্রথমিকভাবে ৬টি কোম্পানি নিয়ে শুরু হয় ডিএসইর এসএমই প্ল্যাটফর্মের লেনদেন। এই ছয় কোম্পানি হলো- বেঙ্গল বিস্কিট, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়, অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং মিলস, মাস্টার ফিড এগ্রো, অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ এবং হিমাদ্রী লিমিটেড।

এই এসএমই প্ল্যাটফর্মে শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারেন। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর বলতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তিকে বোঝায়।

বর্তমানে ডিএসই’র এসএমই প্ল্যাটফর্মে ১০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে নিয়ালকো অ্যালয়স, কৃষিবিদ ফিড, মাস্টার ফিড এগ্রোটেক, মোস্তফা মেটাল, মামুন এগ্রো ও অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ- এই ছয় কোম্পানি ‘কিউআইও’ প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রি করে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বাকি চার কোম্পানি অ্যাপেক্স ওয়েভিং, বেঙ্গল বিস্কুট, হিমাদ্রি ও ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজকে বিএসইসির নির্দেশে ওটিসি থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হয়েছে।

ইউরোপ-বাংলাদেশ চেম্বার গঠনের উদ্যোগ ব্যবসায়ীদের

ইউরোপ-বাংলাদেশ চেম্বার গঠনের উদ্যোগ ব্যবসায়ীদের

ইউরোপ-বাংলাদেশ চেম্বার গঠনের উদ্যোগ ব্যবসায়ীদের

ইউরোপে তৈরি পোশাকের বাইরে আরও অনেক পণ্য রপ্তানি হলেও সেগুলোর ভোক্তা মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিরাই। মূল ধারার বাজারে এখনও সেসব পণ্য খুব একটা পরিচিত হয়নি। এ অবস্থার উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রত্যেকটি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের নিয়ে ইউরোপ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এফবিসিসিআই আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের সভাপতি কাজী এনায়েত উল্লাহ।

এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় কাজী এনায়েত উল্লাহ জানান, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে এ উদ্যোগ কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইউরোপ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠিত হলে ইউরোপের মূল অর্থনীতিতে বাংলাদেশি পণ্যের দৃশ্যমান উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ চেম্বারের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের সঠিক চিত্র তুলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ইউরোপিয়ান বিনিয়োগ আকর্ষণে নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

এ সময় তিনি জানান, আমাদের আগে স্বাধীন হওয়া অনেক দেশকে আর্থসামাজিক সূচকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এসব তথ্য সঠিকভাবে বিদেশে উপস্থাপিত হচ্ছে না। যার কারণে ব্র্যান্ডিংয়ে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরের পর সে দেশের প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। এ আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে ফ্রান্সে বাংলাদেশের ব্যাপক ব্র্যান্ডিং করতে চায় ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বার।

করোনা মহামারির পর ইউরোপের শ্রম বাজারের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরির আহ্বান জানান কাজী এনায়েত উল্লাহ।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিদেশে অনেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। দেশগুলোর মূল অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন তারা। প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল নেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি। দেশের অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও বিনিয়োগবান্ধব নীতিগুলো তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আয় দিন দিন বাড়ছে। বিপুল জনসংখ্যার কারণে এ দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারও বিশাল। তাই এ দেশে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখতে পারেন।

এফবিসিসিআই’র উদ্যোগে পিডব্লিউসি লন্ডনের বাজারের ওপর গবেষণা করছে জানিয়ে সভাপতি বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এ গবেষণার ফলাফল জানা যাবে। গবেষণার তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যকে জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে এফবিসিসিআই। ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশের বাজারেও একই ধরনের গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

এ সময় ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারকে ফ্রান্সে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই’র সভাপতি।

সভায় এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, বিদেশের বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের নভেম্বরে প্যারিসে ফ্রান্সের শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা এমইডিইএফ ইন্টারন্যাশনাল ও ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে এফবিসিসিআই। এসব কার্যক্রমের ফলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় হয়েছে। যা দেশে বিদেশী বিনিয়োগ আনতে সহায়তা করবে।

এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় সব শিল্পই রয়েছে। কিন্তু অনেকগুলোই অনানুষ্ঠানিক ভাবে হওয়ায় সঠিক তথ্য উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে। ফ্রান্স বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন মো. আমিন হেলালী।

এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম, ফ্রান্স-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নির্বাহী পরিচালক রুবাবা নভেরা সায়ীদ, ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের সহ-সভাপতি ফখরুল আকন সেলিম, এফবিসিসিআই’র উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী ও ড. ফেরদৌসী বেগম। সভা সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহম্মাদ মাহফুজুল হক।

Sunday, February 13, 2022

৩০ দিনের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

৩০ দিনের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

৩০ দিনের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘৭ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলোর কাগজপত্রে সমস্যার কারণে আইপিও অনুমোদনে সময় লাগে। ভালো কোম্পানিগুলো সঠিক তথ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে এক মাসের মধ্যেই আইপিও অনুমোদন দেওয়া সম্ভব।’

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে,অনলাইন বিজনেস নিউজপোর্টাল বিজনেস আওয়ার২৪.কম আয়োজিত “শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তির প্রতিবন্ধকতা ও সমাধানের উপায়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেকে অভিযোগ করেন আইপিওর অনুমোদনের ক্ষেত্রে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়। কিন্তু যেসব কোম্পানি সঠিক কাগজপত্র দেয়, তাদের ৭-২৮ দিন কিংবা এক থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন দেই। আমরা কয়েকটি কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘যখন কোনো কোম্পানি ছলচাতুরীর মধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে চায় তারা সঠিক কাগজপত্র দিতে পারে না। তাদের কাছে কাগজপত্র চাইলে এক সপ্তাহ সময়ের জায়গায় তিন মাস, ছয় মাস পার হয়ে যায় কিন্তু তারা সেই কাগজপত্র নিয়ে আসতে পারে না। পরে তারা আমাদের দোষ দেয়, যে আমরা আইপিওর অনুমোদন দিচ্ছি না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়া কোম্পানির তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই।’

তিনি বলেন, ‘ভালো কোম্পানি বাজারে আসছে না- কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। তারা আসছে, তবে দেরি করে আসছে। চলতি বছরই ভালো ভালো কিছু কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসবে। আমরা ভালো কোম্পানি আনতে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা যে ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে প্রত্যাশা করতেছেন তাদেরকে শিগগিরই দেখতে পারবেন।

তিনি বলেন, জোর করে ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনা যাবে না। সেজন্য তাদেররকে বুঝিয়ে সুযোগ-সুবিধা দিয়েই বাজারে আনার চেষ্টা করছি। কোম্পানিগুলোকে এখানে আসতে পেইড অব ক্যাপিটাল বেঁধে দিয়ে জোর প্রয়োগ করা ঠিক হবেনা। বরং তাদেরকে পুঁজিবাজারের ভালো দিকগুলো নিয়ে বুঝিয়ে এখানে আনতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাটাই করেছি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদেরও ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজার বিষয়ক আপনাদের করা রিপোর্টিং এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে দেশে এবং দেশের বাইরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সম্মান এবং গুরুত্ব পাওয়া যায় বলেই আমেরিকায় মেটা, ফেসবুক, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে। আমাদের এখানেও এই বিষয়ে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকে যেভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, সেটা কোনভাবেই ব্যবসাবান্ধব নয়। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক উভয়েই সমস্যায় পড়ে। কিন্তু তাদেরকে যদি পুনঃতফসিলের সুযোগ না বাড়ানো হতো তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো তো ব্যবসা বন্ধ করে দিতো না। তারা বাধ্য হয়েই পুঁজিবাজারে আসতো।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম আইপিও বাণিজ্য, প্লেসমেন্ট বাণিজ্য। আমরা সেগুলো বন্ধ করতে পেরেছি। অডিটের ক্ষেত্রে যে অপবাদ ছিল সেগুলোও বন্ধ করতে পেরেছি। চার্টার্ড অডিট ফার্মগুলো এক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে কর্মসংস্থান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সিএমএসএমই খাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আরো আগেই সেটা করা উচিত ছিল। তাহলে এতোদিনে তারা মিডিয়াম প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতো এবং ধীরে ধীরে কর্পোরেটে পরিণত হতো।