Sunday, February 9, 2014

ঠাকুরগাঁওয়ে বায়োগ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে

ঠাকুরগাঁও: বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই তার উৎপাদনের পদ্ধতিও হচ্ছে ভিন্ন। এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এর উৎপাদন হচ্ছে ভিন্ন প্রক্রিয়ায়। যেমন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি মুরগির খামারে বায়োগ্যাস দিয়ে রান্নাবান্নার কাজ ছাড়াও জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে বিদ্যুৎ। আর উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে খামারের বিভিন্ন কাজে। শুধু তাই নয়, খামারের দু’পাশের দুটি পাড়াতে বায়োগ্যাস সরবরাহ করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বঠিনা গ্রামে ১০ একর জমির উপর স্থাপিত ‘নিশান্তপুর পোল্ট্রি এ্যান্ড ফিডস লিমিটেড’ নামে একটি আধুনিক মুরগির খামার রয়েছে। শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে এই খামারে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে এখানে উৎপাদন হচ্ছে বায়োগ্যাস। ১০ হাজার ৭৫০ ঘনফুট আয়তন বিশিষ্ট রয়েছে দু’টি বায়োগ্যাস প্লান্ট।

মুরগির খামার ও বায়োগ্যাস প¬্যান্টের উদ্যোক্তা জনার্দন চক্রবর্তী ও শিবলী ইসলাম জানান, আপাতত ১০ কিলোওয়াট (১০,০০০ ওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বায়োগ্যাস দিয়ে চালানো হচ্ছে মুরগির খামারের ৬টি ব্র“ডার, খামারের শ্রমিকদের ৪টি শেডে চলছে ৩ বেলা রান্নার কাজ। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এই মুরগির খামারে কাজ করছে অর্ধশত শ্রমিক।

উদ্যোক্তারা আরো জানান, প্রতিদিন এখানে ৩০ হাজার ডিম উৎপাদন হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার পাইকাররা এসে ডিম নিয়ে যায়। এখানে পৃথকভাবে স্থাপিত ফিড মিলে উৎপাদন হচ্ছে প্রতিদিন আড়াই টন করে মুরগির খাবার। তাছাড়া ৮টি পুকুরে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতের মাছ। প্রতি মাসে এক টন করে মাছ ছাড়াও উৎপাদন হচ্ছে ১৬০০ কেজি করে মাছের পোনা।

তারা আরো জানান, শিগগির দুটি গ্রামের শতাধিক পরিবারের মধ্যে বায়োগ্যাস সংযোগ দেবেন। এই গ্যাসের সাহায্যে গ্রামবাসী রান্নাবান্নার কাজ করতে পারবেন, জ্বালাতে পারবেন বাতি। সরকারের বিদ্যুতের উপর গ্রামবাসীর নির্ভরতা কমবে।

ইতোমধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও সদর ইউএনও প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। তারা এ প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ নিলে বর্তমান সরকার তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করবে। কেননা, এ ধরনের উদ্যোগে দেশের ডিমের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আবাসিক জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

No comments:

Post a Comment