বরিশাল: বরিশাল মহানগরী ও বিভাগের ৬ জেলার চাইনিজ রেস্তোরাঁগুলোর চাহিদা মিটিয়ে লেটুস পাতা বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে সফলতা পেয়েছেন মো. আবুল কালাম আজাদ। তিনি একজন ক্ষুদ্র নার্সারি ব্যবসায়ী।
নগরীর আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠা গ্রীন গার্ডেন নার্সারির শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায়, সখের বসে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. আজাদ, আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেটেডিয়ামের প্রায় ১ একর জমি ভাড়া নেন। কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই ব্যক্তিগত সামান্য কিছু অর্থে একটি ক্ষুদ্র নার্সারি গড়ে তোলেন।
এরপর মাত্র ২ বছরের মাথায় ব্যক্তিগত নার্সারি উদ্যোক্তা হিসেবে ২০০৯ সালে মো. আবুল কালাম আজাদ জাতীয়ভাবে ২য় স্থান অধিকার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরস্কার নেন। পুরস্কার পেয়ে আজাদ আরো বেশি উৎসাহী হন। তারপর তিনি (আজাদ) গ্রীন গার্ডেন নার্সারির আয়তন বাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি বাণিজ্যিক দিক চিন্তা করে বিভিন্ন ধরনের ফলজ, ঔষুধি, ফুলের গাছ ও মূল্যবান বনসাই গাছ নিয়ে কাজ শুরু করেন।
তবে এবছরই তিনি শীত প্রধান দেশে চাষকৃত লেটুস্ পাতা বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য পরীক্ষামূলক রোপন করে সফলতা পান। এ লেটুস্ পাতা শুধু দেশে নয়, বিশ্ব বাজারে বিভিন্ন চাইনিজ রেস্তোরাঁয় বহু সুস্বাদু খাবারের সাথে ও খাবারের পাশে ডেকোরেশনের জন্য ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যে লেটুস্ পাতা বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন চাইনিজ রেস্তোরাঁগুলোর মালিকেরা এক সময় ঢাকায় অর্ডার দিতো।
বরিশাল নগরীর বগুরা রোড ইয়াং থাই চাইনিজ রেস্তোরাঁর প্রো.রিপন কর্মকার জানান, গ্রীন গার্ডেন নার্সারির এ ধরনের উদ্যোগকে ব্যক্তিগত ভাবে আমি সাধুবাদ জানাই। কারণ যে লেটুস্ পাতা পেতে হলে রাজধানী ঢাকায় অর্ডার দিতে হতো। সেই লেটুস্ পাতা কম খরচে এখন হাতের কাছে চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যায়।
গ্রীন গার্ডেন নার্সারির প্রো. আবুল কালাম আজাদ জানান, শুধু লেটুস্ পাতা নয়, নার্সারির অন্য কোন প্রয়োজনে বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বা কৃষিবিদের সহযোগিতা ছাড়াই কিছু বই পড়ে এ সফলতার ফসল ঘড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। তবে স্থানীয় প্রতিবেশী সাধারণ মানুষ এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেটেডিয়াম কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ও উৎসাহ না পেলে এ সফলতা সম্ভব হতো না। এজন্য তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
No comments:
Post a Comment