Wednesday, February 2, 2022

লভ্যাংশ ঘোষণায় ইতিহাস সৃষ্টি লাফার্জের

লভ্যাংশ ঘোষণায় ইতিহাস সৃষ্টি লাফার্জের


LH Logo-লাফার্জহোলসিম

গত বছর সিমেন্টের পাশাপাশি চুনাপাথর চিপ বা অ্যাগ্রিগেটস উৎপাদন শুরু করে লাফার্জ। এরপর থেকেই তাদের আয় তরতর করে বাড়তে থাকে। তবে এই ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটিকে চিঠি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। এরপর উচ্চ আদালতে গেলেও এই ব্যবসা এখনও চালু করতে পারেনি কোম্পানিটি।

কারখানা প্রতিষ্ঠার পর ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বহুজাতিক সিমেন্ট কোম্পানি লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ।

বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার প্রতি আড়াই টাকা বা ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

এর আগে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ছিল ১০ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি এক টাকা। ২০১৫ সাল থেকে কোম্পানিটি টানা একই হারে লভ্যাংশ দিয়ে আসছিল।

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ।

লভ্যাংশের মতো এবারও শেয়ার প্রতি আয়ও অন্যান্য বছরকে ছাড়িয়ে গেছে। এই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ৩ টাকা ৩৪ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ২ টাকা ৩ পয়সা।

আয়ের পাশাপাশি শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্যও বেড়েছে কোম্পানিটির। গত ৩০ ডিসেম্বর প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১৭ টাকা ৪ পয়সা, যা ঠিক এক বছর আগে ছিল ১৪ টাকা ৮৯ পয়সা।

কোম্পানিটির এবার আয় আরও বাড়তে পারত, যদি না তাদের অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসা চালু থাকত।

গত বছর সিমেন্টের পাশাপাশি চুনাপাথর চিপ বা অ্যাগ্রিগেটস উৎপাদন শুরু করে লাফার্জ। এরপর থেকেই তাদের আয় তরতর করে বাড়তে থাকে।

তবে এই ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটিকে চিঠি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা-সংক্রান্ত চিঠিটি তারা হাতে পায় ২০ সেপ্টেম্বর। এরপর তারা উচ্চ আদালতে যায়। তবে নানা জটিলতায় এই ব্যবসা এখনও বন্ধ রাখতে হচ্ছে তাদের।

যারা এবারের লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিনই হবে লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট।

এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ২১ মার্চ। করোনাকালে এই সভা হবে ভার্চুয়ালি।

রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা

রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা

রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় বছর শুরু হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ (১.৭০ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাঙালিরা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ সালের প্রথম দিন থেকেই সরকার রেমিট্যান্স প্রবাহে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করেছে। তারই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এই সূচকে। এ ছাড়া বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতি চাঙা হওয়ায় ওই সব দেশ থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসছে বলে মনে করছেন তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রণোদনা বেড়েছে। সামনে দুটি ঈদ উৎসব আছে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী দিনগুলোয় রেমিট্যান্স বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে দেখা যায়, টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বরে কিছুটা বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে সেই বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ (১.৭০ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১৪ হাজার ৬৫৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর আগের মাস ডিসেম্বরে ছিল ১৬৩ কোটি ডলার। ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে ৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স বেশি আসলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা বেশ কিছুটা কম। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২৬ কোটি ডলার। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ১৯ লাখ ডলার পঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, জানুয়ারিতে যে রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩১ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ২ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩৫ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার সময় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল মহামারি। আশঙ্কা করা হয়েছিল, প্রবাসী আয়ে ভাটা পড়বে। কিন্তু অবিশ্বাস্য উত্থানে প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে চাপ পড়তে দেননি। টানা দেড় বছর বাড়ার পর গত বছরের জুলাই থেকে ক্রগামত কমতে থাকে রেমিট্যান্স। তবে বছরের শেষ পাঁচ মাস ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির পরও ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি (২২.০৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছিল বাংলাদেশ, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

এর আগে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালে, ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে এসেছিল ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

অর্থবছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ১ হাজার ১৯৪ কোটি ৪০ লাখ (১১.৯৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বা ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর রেমিট্যান্স প্রবাহেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ওই বছরের এপ্রিলে মাত্র ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। মে মাসে তা বেড়ে ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলারে ওঠে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রেমিট্যান্স বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার।

মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরোটা সময়ে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন লক্ষ করা যায়। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

গত অর্থবছরের ১২ মাসের মধ্যে সাত মাসই ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। কিন্তু চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটার টান লক্ষ করা যায়। প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগস্টে আসে ১৮১ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। অক্টোবরে আসে ১৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। নভেম্বরে আসে আরও কম, ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। তবে গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে তা কিছুটা বেড়ে ১৬৩ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। সর্বশেষ জানুয়ারিতে এসেছে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

প্রসঙ্গত, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিয়ে আসছিল সরকার। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বাণিজ্যমেলায় সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের পুরস্কার পেলো ওয়ালটন

বাণিজ্যমেলায় সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের পুরস্কার পেলো ওয়ালটন

Walton gets best electronics stall award in DITF বাণিজ্যমেলায় সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের পুরস্কার পেলো ওয়ালটন

শেষ হলো মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ‘ডিআইটিএফ’ এর ২৬তম আসর। বরাবরের মতো মেলার এই আসরেও দৃষ্টিনন্দন ও শৈল্পিক ডিজাইনের প্যাভিলিয়ন তৈরি করেছিল দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। ফলে এবারের বাণিজ্য মেলাতেও সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের পুরস্কার জিতে নিলো দেশের এই সুপার ব্র্যান্ডটি।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি, ২০২২) রাজধানীর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ডিআইটিএফ-২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টল ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনকে প্রথম পুরস্কার দেয় আয়োজক সংস্থা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর হাত থেকে পুরস্কারের ক্রেস্ট গ্রহণ করেন ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার ও ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক।

এসময় তাদের হাতে সেরা ইলেকট্রনিক্স স্টলের সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ূন কবীর, ওয়ালটনের মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমূখ।

উল্লেখ্য, বাণিজ্য মেলায় সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কার চালুর পর থেকে বিগত টানা ১৪ বছর প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে ওয়ালটন। পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন তৈরি করে প্রায় প্রতি বছরই পুরস্কৃত হয়ে আসছে ওয়ালটন।

এ বছর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ডিআইটিএফ। তাই আন্তর্জাতিক মেলার আবহে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ডিআইটিএফ-২২ এ বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ রাখে ওয়ালটন।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের ডিএমডি মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক মেলা চীনের কুনমিং ফেয়ারের আদলে আয়োজন করা হয় ডিআইটিএফ-২২। তাই আন্তর্জাতিক ওই মেলার সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে এবং করোনা সংক্রমন বিস্তার প্রতিরোধের বিষয়টি বিবেচনা করে ওয়ালটন স্টলে বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। শুধুমাত্র ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটনের ইনোভেটিভ ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স, আইটি ডিভাইস ও এক্সেসরিজসহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস পণ্য প্রদর্শন করা হয়। মেলায় আগত দেশি-বিদেশী দর্শণার্থীদের কাছে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট ফ্রিজ, গুগল সার্টিফাইড স্মার্ট টেলিভিশন, বিশ্বের প্রথম ভয়েস কন্ট্রোলসমৃদ্ধ ইনভার্টার প্রযুক্তির স্পিøট টাইপ স্মার্ট এসি, ভিআরএফ এসি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের স্মার্ট টেবিল, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ফ্যান, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার। ফলে মেলায় বিদেশী ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলারের স্পট অর্ডার পেয়েছে ওয়ালটন। এছাড়া জানুয়ারি মাসে মোট রপ্তানি আদেশ মিলেছে ২৩ লাখ ডলারেরও বেশি।

Monday, January 31, 2022

নতুন মোটরসাইকেল কেনার পর ব্রেক-ইন-পিরিয়ড মেনে চলার নিয়ম!!

নতুন মোটরসাইকেল কেনার পর ব্রেক-ইন-পিরিয়ড মেনে চলার নিয়ম!!

মোটরসাইকেল-What-to-do-to-keep-the-bike-off-for-a-long-time

আমাদের দেশের বেশিরভাগ তরুণের কাছে বাইক বা মোটরসাইকেল একটা স্বপ্নের নাম। একটা বয়সের তরুণেরা যেমন স্বপ্ন দেখে একজন সুন্দরী সঙ্গীর, তেমনি স্বপ্ন দেখে বাইকের। স্বপ্নের বাইক হাতে আসলে তখন নতুন বাইকের রুলস মেনে চলার ব্যাপারটা বাইক পাওয়ার আনন্দে মাথা থেকে বের হয়ে যায়। যেমন ব্রেক-ইন-পিরিয়ড না মেনে ইচ্ছে মতো চালাতে থাকলে প্রিয়জনের মুখে হাসি ফুটবে ঠিকই, কিন্তু এই প্রিয় বাইকটা আর বাইক থাকবে না, বারোটা বেজে যাবে ইঞ্জিনের। আচ্ছা নিয়ম জানার আগে তবে জেনে নেয়া যাক ব্রেক-ইন-পিরিয়ডটা আসলে কি?

ব্রেক-ইন-পিরিয়ড কি?

এটা হচ্ছে সেই সময় যখন ইঞ্জিন একেবারে নতুন থাকে, বিশেষত প্রথম কয়েকশো বা হাজার (০-১০০০) কিমি। এ সময়টাতে ইঞ্জিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন পিস্টন রিং, ভাল্ব ও সিলিন্ডার বোর খসখসে থাকে, যেটা যথাযথ প্রক্রিয়ায় দূর করতে হয়। সেজন্য বাইকারকে এ সময়ে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, যাতে ইঞ্জিনের ওই যন্ত্রাংশগুলো মসৃণ হয় এবং বাইক যথাযথ মাইলেজ ও সার্ভিস দিতে পারে।

ধৈর্যশীল হতে হবে

সাধারণত নতুন বাইক কিনেই আমরা খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ি। কিন্তু যেহেতু প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে বাইকের দাম বেশি এবং বাইকটি থেকে আমরা ভালো মাইলেজ ও দীর্ঘ স্থায়িত্ব প্রত্যাশা করি, সেজন্য ব্রেক-ইন-পিরিয়ড পার না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্যশীল হতে হবে। আবেগের বশে বাইক চালালে হবে না। বরং নিয়ম মেনে চালতে হবে। তা না হলে অতি ভালোবাসার বাইকটির ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আসুন এবার জেনে নেয়া যাক কিভাবে ব্রেক-ইন-পিরিয়ড মানবেন!!

১. কেউ চাইলে দুই ভাগে ব্রেক-ইন-পিরিয়ড পার করতে পারেন। প্রথমে ০ থেকে ৫০০ কিমি ও পরে ৫০১ থেকে ১০০০ কিমি।

২. ব্রেক-ইন-পিরিয়ডের সময় উচ্চ আরপিএম-এ ইঞ্জিন চালু করবেন না।

৩. ইঞ্জিন চালু করে কমপক্ষে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন।

৪. যত দ্রুত সম্ভব (৩০০-৪০০ কিমি) প্রথমবার ইঞ্জিন ওয়েল (মবিল) পরিবর্তন করুন। ওয়েল ফিল্টারও পাল্টিয়ে ফেলুন। এটা পাল্টানো তেমন কঠিন কিছু না। দ্বিতীয়বার ১০০০ কিমি চালিয়ে ইঞ্জিন ওয়েল ও ওয়েল ফিল্টার পাল্টিয়ে ফেলুন। তবে সার্ভিস সেন্টারের ইঞ্জিনিয়ার প্রথমবার এত দ্রুত ইঞ্জিন ওয়েল ও ফিল্টার পাল্টানোর ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করতে পারে। একটা সার্ভিস সেন্টারে এটা দেখা গেছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, ভারতের সার্ভিস সেন্টারগুলোতে এটাই করা হয়।

৫. ব্রেক-ইন-পিরিয়ডের প্রথম ৫০০ কিমি চালানোর সময় কোনো গিয়ারেই ৪৫০০ আরপিএম অতিক্রম করা ঠিক হবে না। তাছাড়া উচ্চ গিয়ারে কম আরপিএম-এও চালাবেন না। যেমন; ৫ম গিয়ারে ২০০০ আরপিএম। এতে ইঞ্জিনের উপর বেশি চাপ পড়ে।

৬. ব্রেক-ইন-পিরিয়ডের সময় হাইওয়েতে দূর পাল্লার ভ্রমণে বের হবেন না।

৭. অধিক ওজন (পিলিয়ন) নিয়ে বাইক চালাবেন না, চেষ্টা করুন একাই চড়ার।

৮. ব্রেক-ইন-পিরিয়ডের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাৎ ৫০০-১০০০ কিমি-এ অনেক বাইক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান (ইয়ামাহা) বলতে পারে ৬০০০ আরপিএমে চালালেও সমস্যা নেই। কিন্তু তার পরও ৪৫০০ আরপিএম অতিক্রম না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাছাড়া বেশিক্ষণ একই আরপিএমেও বাইক চালানো ঠিক হবে না।

৯. একটানা ৩০ মিনিট বা ৩০ কিমি চালানোর পর কিছুক্ষণ থামা উচিৎ। এতে বাইকের ইঞ্জিন ঠাণ্ডা হওয়ার সময় পাবে।

১০. ব্রেক-ইন-পিরিয়ডে খুব বেশি অ্যাক্সিলারেশন তোলা ঠিক নয়।

১১. ব্রেক-ইন-পিরিয়ডে ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করতে শুধু খনিজ ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করুন। সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল এ সময়ে পরিহার করে চলুন।

১২. ব্রেক-ইন-পিরিয়ড শেষে বাইকের সর্বোচ্চ আরপিএম তোলা উচিৎ।

ব্রেক-ইন-পিরিয়ড না মানলে কি হবে?

১. পারফরম্যান্স কমে যাবে।

২. ইঞ্জিনের দীর্ঘস্থায়ীত্ব কমে যাবে।

৩. মাইলেজ কমে যাবে।

৪. টপ ইস্পিড ভালো পাবেন না।

পরিশেষে বলা যায়; একটি মোটরবাইক কিনে নেওয়াই সব না। কিনে সঠিকভাবে পরিচালনা করাটাই আসল। না হলে মোটরবাইক থেকে ভালো সার্ভিস আশা করাটা বোকামী। আজকাল আমাদের সমাজে দেখা যায় ব্রেক-ইন-পিরিয়ড মেনে চলানোটা অসম্ভব। অসম্ভব এ জন্যই হয়েছে কারণ অনেকে আলসামো করে এসব মানতে চায় না। আবার অনেকে স্বপ্নের বাইক নিয়েই গতির খেলা শুরু করে দেয়। স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হলেই সব শেষ না। স্বপ্নটা বাস্তবে পরিণত হওয়ার পরেও লালন পালনের ব্যবস্থা করতে হয়। মোটরবাইকের ব্রেক-ইন-পিরিয়ড প্রক্রিয়াটাও ঠিক তেমন। সহযাত্রী নিয়ে শুরুর দিক থেকেই চলা আর গতির মেলায় মেতে উঠলে বাইকের দীর্ঘস্থায়ীত্ব কমে যাবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

তাই আমরা চেষ্টা করবো যথাযথ ব্রেক-ইন-পিরিয়ড মেনে বাইক চালাতে। ধন্যবাদ।

খরচ ছাড়াই বিও হিসাবের ই-তথ্য পাবেন বিনিয়োগকারীরা

খরচ ছাড়াই বিও হিসাবের ই-তথ্য পাবেন বিনিয়োগকারীরা

BO-Account-আইপিও ঘিরে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার হিড়িক

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা এখন থেকে ই-মেইলে বিও হিসাবের (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) তথ্য বিনা খরচে পাবেন। সে জন্য বিও হিসাব খোলার সময় বিনিয়োগকারীদের দেওয়া ই-মেইলটি সঠিক ও কার্যকর হতে হবে।

নতুন এ সেবা চালু করেছে শেয়ারবাজারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিও হিসাব ও শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আগারগাঁও কার্যালয়ে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও আবদুল হালিম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভ্র কান্তি চৌধুরী। আর নতুন এ সেবার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সিডিবিএলের ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এখন থেকে প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বিনিয়োগকারীর ই-মেইলে তাঁর বিও হিসাবের আগের মাসের লেনদেন তথ্যসহ পূর্ণাঙ্গ বিবরণী বা স্টেটমেন্ট স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে যাবে। তবে এ জন্য বিও হিসাবের সঙ্গে দেওয়া ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর সঠিক হতে হবে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি নানা কারসাজির মাধ্যমে কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। নতুন এ সেবা এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সহায়তা করবে। বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসে সিডিবিএল থেকে পাওয়া প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউস থেকে পাওয়া তাদের বিও হিসাবের তথ্য মিলিয়ে নিতে পারবেন।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে সিডিবিএল তাদের ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসের অংশ হিসেবে অনলাইনে ঘরে বসে বিও হিসাব খোলার সুবিধা চালু করে। যদিও অনলাইনে বিও হিসাব খোলার ওই সেবায় এখনো বিনিয়োগকারীদের আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। এক বছরে মাত্র ৬ হাজারের মতো বিও হিসাব খোলা হয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে।

সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে শেয়ারবাজার সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। এর মধ্যে শেয়ার রয়েছে প্রায় ১৫ লাখ বিও হিসাবে। শেয়ার শূন্য বিও হিসাব রয়েছে প্রায় সোয়া ৪ লাখ। আর এক লাখের বেশি বিও হিসাব অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে।

প্রাইজবন্ডের ড্র; প্রথম পুরস্কার ০১২১৮৪১

প্রাইজবন্ডের ড্র; প্রথম পুরস্কার ০১২১৮৪১

১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজ বন্ডের ১০৬তম ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ীর নম্বর ০১২১৮৪১। তিন লাখ ২৫ হাজার টাকার দ্বিতীয় পুরস্কারের নম্বর ০৬৫০৭৭৫। এক লাখ টাকা করে দু’টি তৃতীয় পুরস্কারের নম্বর ০৩৩০৪৯২ ও ০৭২৮৪০৮। প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা করে দু’টি চতুর্থ পুরস্কারের নম্বর ০৬১৯৫২৯ ও ০৮৯৪৪২০।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান।

ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ীর নম্বর ০১২১৮৪১। তিন লাখ ২৫ হাজার টাকার দ্বিতীয় পুরস্কারের নম্বর ০৬৫০৭৭৫। এক লাখ টাকা করে দু’টি তৃতীয় পুরস্কারের নম্বর ০৩৩০৪৯২ ও ০৭২৮৪০৮। প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা করে দু’টি চতুর্থ পুরস্কারের নম্বর ০৬১৯৫২৯ ও ০৮৯৪৪২০। পঞ্চম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা বিজয়ী ৪০ জন।

একক সাধারণ পদ্ধতিতে ড্র পরিচালনা করা হয়েছে অর্থাৎ প্রতি সিরিজের একই নম্বরধারীরা পুরস্কার পাবেন। বর্তমানে প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের ৬৭টি সিরিজ যথা- কক, কখ, কগ, কঘ, কঙ, কচ, কছ, কজ, কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ এবং গথ এই ‘ড্র’-এর আওতাভুক্ত।

তিন মাস অন্তর মাসের শেষ দিন প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪-এর ৫৫ ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী ১ জুলাই, ১৯৯৯ থেকে প্রাইজবন্ড পুরস্কারের অর্থ থেকে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হয়ে থাকে।