Showing posts with label জিডিপি. Show all posts
Showing posts with label জিডিপি. Show all posts

Sunday, June 28, 2020

ইউরোপ মাত করলো নানিয়ারচরের আম

স্টাফ রিপোর্টার: রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনার এই সংকটের মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে এ উপজেলার বগাছড়ি হতে ২ হাজার ৬০০ কেজি ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালি জাতের আম ইউরোপের দেশ ইতালিতে এবং ৪০০ কেজি যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে। আরও ৮ হাজার ৫০০ কেজি আম রপ্তানির আদেশ পাওয়া গেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনেও আম রপ্তানির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ মৌসুমে প্রায় ৭০-৮০ টন রপ্তানিযোগ্য আম এ উপজেলা থেকে সরবরাহ করা যাবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

Saturday, June 27, 2020

দেশেই নতুন জাতের মুরগি উদ্ভাবন, শিগগিরই আসছে বাজারে (ENGLISH)

।। দেশি স্বাদ ও নিরাপদ মাংসের নিশ্চয়তা দেবে বিএলআরআই ।।

স্টাফ রিপোর্টার: ঐতিহ্যবাহী দেশি মুরগির মাংসের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) উদ্ভাবন করলো উন্নতজাতের মুরগি। দেখতে অবিকল দেশি মুরগির মতো। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় অত্যন্ত উপযোগী। রোগবালাই কম হয় বলে এ জাতের মুরগি পালনে ওষুধের ব্যবহার অনেক কম। ফলে মাংস অনেক বেশি সুস্বাদু ও নিরাপদ।

স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই এ মুরগি বাজারজাত করা হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিএলআরআই। এ বিষয়ে আফতাব হ্যাচারি লিমিটেড ও বিএলআরআইয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

Wednesday, September 25, 2019

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৫ চ্যালেঞ্জ দেখছে এডিবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার: চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে শিল্প খাত। জাতীয় বাজেটে সরকারের পক্ষ থেকে ৮.২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হলেও বেশকিছু চ্যালেঞ্জের কারণে এ লক্ষ্য পূরণ হবে না বলে ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৯’-এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ৮.১৩ শতাংশ। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৫ চ্যালেঞ্জ দেখছে এডিবি। এগুলো হচ্ছে- রপ্তানি বহুমুখীকরণ, শহর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা, মানব সম্পদ ও ভ্যাট আইনের কার্যকর প্রয়োগ। 

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এডিবির ঢাকা আবাসিক মিশন কার্যালয়ে হালনাগাদ এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। এ সময় এডিবি ঢাকা মিশনের প্রধান মনমোহন প্রকাশ স্বাগত বক্তব্য দেন। আর মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থার অর্থনীতিবিদ সন চ্যাং হং।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক ও বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে। এর পাশাপাশি উচ্চতর প্রবাসী আয়ের কারণে বাড়বে ভোগব্যয়। একইসঙ্গে সহজ মুদ্রানীতির কারণে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহও বাড়বে। ব্যবসায় পরিবেশ উন্নত করতে চলমান সংস্কার এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের সুবাদেও বাড়বে প্রবৃদ্ধি। একই সময়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন ও ভ্যাটের আওতা বাড়ার কারণে পণ্য ও সেবার দাম বাড়বে বলে মনে করে এডিবি। ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৫.৮ শতাংশ হতে পারে। 

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অগ্রগামী। রেমিট্যান্স প্রবাহ, সহজ মুদ্রানীতি, বেসরকারি বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে সংস্কার কার্যক্রম, অবকাঠামো খাতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ার কারণে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- রপ্তানি বহুমুখীকরণ, শহর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা, মানব সম্পদ ও ভ্যাট আইনের কার্যকর প্রয়োগ ইত্যাদি।

দুর্নীতি বিরোধী চলমান অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, সুশাসনের জন্য এটা খুবই ফলপ্রসূ হবে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। তবে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। থেমে গেলে হবে না। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে এজন্য অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে রাস্তা, বন্দর এবং পদ্মাসেতুসহ বড় প্রকল্পগুলো এবং ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেগুলো যথাসময়ে শেষ করতে হবে। সেই সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, আর্থিক খাতের উন্নয়ন ও ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭.২ শতাংশ, যা গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত মূল এশিয়ান ডেভলপমেন্ট আউট লুকে বলা হয়েছিল ৭.৩ শতাংশ। এছাড়া পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হবে ২.৪ শতাংশ, যা মূল প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ৩.৬ শতাংশ। আর বাংলাদেশের মূল প্রতিবেদনের পূর্বাভাসেও বলা হয়েছিল এবছর প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশ, যা হালনাগাদ প্রতিবেদনে একই রয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৪ শতাংশ, যা মূল প্রতিবেদনের পূর্বাভাসে ছিল ৫.৫ শতাংশ। কোরিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে ২.৪ শতাংশ, যা আগে ছিল ২.৫ শতাংশ। সিঙ্গাপুরের প্রবৃদ্ধি হবে ১.৪ শতাংশ, যা মূল পূর্বাভাসে ছিল ২.৬ শতাংশ। তবে সব মিলিয়ে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৫ শতাংশ, যা মূল প্রতিবেদনের পূর্বাভাসে ছিল ৫.৬ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে কৃষিখাতের অংশ থাকবে ৩.৮ শতাংশ। এছাড়া শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ১২.৫ শতাংশ। সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৪ শতাংশ। এদিকে মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর মূল্যস্ফীতি হবে ৫.৮ শতাংশ। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি এবং ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের কারণে মূল্যস্ফীতি কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।

আউটলুক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হবে ১০ শতাংশ। এক্ষেত্রে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে সেখান থেকে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। আমদানির ক্ষেত্রে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হবে ৯ শতাংশ। কারণ সরকারের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে প্রচুর মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি করতে হচ্ছে। তবে এ বছর খাদ্য আমদানি কমতে পারে। শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আমদানি শুল্ক বাড়ায় এটা হতে পারে। এছাড়া চলতি অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমবে। সেক্ষেত্রে এ খাতে প্রবৃদ্ধি দাড়াবে ১১.৩ শতাংশ।

এডিবির আউটলুক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এডিবির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সুন চ্যান হং বলেন, বাংলাদেশের শিল্প, কৃষি ও প্রবাসী আয়ে চাঙা থাকলেও জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের বেশি হবে না। তারপরও এ প্রবৃদ্ধি অর্জনে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে জনমিতির সুবিধা ভোগ করার জন্য মানব সম্পদের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে পারলে বিশেষ করে প্রবাসী আয় ব্যাপকভাবে বাড়ানো সম্ভব। যেমন এখন বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষ বিদেশ থাকে। কিন্তু গত অর্থবছরে রেমিট্যান্সে এসেছে ১৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। কিন্তু দক্ষ মানব সম্পদ যেমন- ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা এরকম দক্ষ মানব সম্পদ বিদেশি পাঠাতে পারলে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আহরণ করা সম্ভব।