নওগাঁ: নওগাঁর উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক সালাহউদ্দিন উজ্জ্বল আঙ্গুর চাষ করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে নওগাঁ’র মাটিতে আঙ্গুর চাষের যে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে তা তিনি প্রমাণ করেছেন।
সালাহউদ্দিন উজ্জ্বল নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ি মহল্লার সৈয়দ আলীর পুত্র। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করে সরকারি-বেসরকারি যে কোন একটি চাকরি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে জীবিকার তাগিদে কৃষিভিত্তিক প্রকল্প হাতে নেন। পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলা থেকে অস্ট্রেলিয়ান উন্নত জাতের আঙ্গুরের চারা এনে রোপণ করেন।
২০১২ সালে কোমাইগাড়ি নতুন জেলখানা’র পার্শ্বে ৩ বিঘা জমি লীজ নিয়ে গড়ে তোলেন আঙ্গুরের বাগান। ওই বছরের এপ্রিল মাসে অস্ট্রেলিয়ান উন্নত জাতের মধ্যে ক্রীমসন সীডলেস এবং মেনেনডি সীডলেস জাতের আঙ্গুরের প্রায় ৩শ’টি চারা রোপণ করেন। প্রতিবিঘা জমি প্রতিবছর বর্তমানে ১২ হাজার টাকা করে বছরে ৩৬ হাজার টাকা করে ৩ বছরের জন্য। মোট লীজ মূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা তাকে পরিশোধ করতে হচ্ছে। চারা রোপণ, শ্রমিক খরচ, সার ফসফেট ইত্যাদি বাবদ প্রথম বছর খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
চারা রোপণের ১১ মাস পর ২০১৩ সালের ১ ফেব্র“য়ারি মাসে প্রথম গাছ ছেঁটে দিলে প্রথমবারের মত মোট গাছের মধ্যে ১০টি গাছে আঙ্গুর ধরে। প্রতিটি গাছ থেকে এ বছর এক কেজি করে আঙ্গুর উৎপাদিত হয়। ২০১৪ সালে ফেব্র“য়ারি মাসে দ্বিতীয়বারের মত গাছ ছেঁটে দিলে পুনরায় আঙ্গুর ধরে। এ পর্যায়ে প্রায় একশ’টি গাছে আঙ্গুর ধরেছে। প্রতিটি গাছে এই পর্যায়ে কমপক্ষে ৩ কেজি করে মোট ৩শ’ কেজি আঙ্গুর উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন তিনি। বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজি ২৫০ টাকা হারে উৎপাদিত আঙ্গুরের বিক্রি মূল্য পাবেন ৭৫ হাজার টাকা।
উজ্জ্বল জানিয়েছেন, আগামী ২-১ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৫ সাল নাগাদ তার বাগানের আঙ্গুরের উৎপাদন আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পাবে। বছরে দুই বার আঙ্গুর উৎপাদিত হবে। প্রতিবার প্রতিটি গাছ থেকে ২০ কেজি করে মোট ৪০ কেজি আঙ্গুর উৎপাদিত হবে। সে হিসেবে ৩শ’টি গাছে প্রতি পর্যায়ে ৬ হাজার কেজি করে বছরে দু’টি ধাপে ১২ হাজার কেজি আঙ্গুর উৎপাদিত হবে। আঙ্গুরের বর্তমান বাজার অব্যাহত থাকলেও তখন উৎপাদিত আঙ্গুরের মূল্য পাবেন ৩০ লাখ টাকা। আর আঙ্গুরের মূল্য বৃদ্ধি হলে বিক্রিত মূল্য আরও বেড়ে যাবে। এ থেকে পরিচর্যা, সার ফসফেট, লেবার খরচ ইত্যাদি বাবদ আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা বাদ দিলে বছরে নীট মুনাফা করবেন প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা বলে উজ্জ্বল জানিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম নুরুজ্জামান মন্ডল জানিয়েছেন, আঙ্গুর চাষ করে সালাহউদ্দিন উজ্জ্বল এক অসাধ্য সাধন করেছেন। উন্নতজাতের আঙ্গুর চাষে এই সফলতা বিরল। উজ্জ্বলের বাগানের আঙ্গুর আকারে যেমন বড় তেমনই খেতে সুস্বাদু ও মিষ্টি। উজ্জ্বলের মত এ ধরনের কৃষিভিত্তিক প্রকল্প গড়ে তুলে শিক্ষিত বেকার যুবকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। তাকে অনুসরণ করলে অনেকেই সফল হতে পারবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
সালাহউদ্দিন উজ্জ্বল নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ি মহল্লার সৈয়দ আলীর পুত্র। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করে সরকারি-বেসরকারি যে কোন একটি চাকরি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে জীবিকার তাগিদে কৃষিভিত্তিক প্রকল্প হাতে নেন। পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলা থেকে অস্ট্রেলিয়ান উন্নত জাতের আঙ্গুরের চারা এনে রোপণ করেন।
২০১২ সালে কোমাইগাড়ি নতুন জেলখানা’র পার্শ্বে ৩ বিঘা জমি লীজ নিয়ে গড়ে তোলেন আঙ্গুরের বাগান। ওই বছরের এপ্রিল মাসে অস্ট্রেলিয়ান উন্নত জাতের মধ্যে ক্রীমসন সীডলেস এবং মেনেনডি সীডলেস জাতের আঙ্গুরের প্রায় ৩শ’টি চারা রোপণ করেন। প্রতিবিঘা জমি প্রতিবছর বর্তমানে ১২ হাজার টাকা করে বছরে ৩৬ হাজার টাকা করে ৩ বছরের জন্য। মোট লীজ মূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা তাকে পরিশোধ করতে হচ্ছে। চারা রোপণ, শ্রমিক খরচ, সার ফসফেট ইত্যাদি বাবদ প্রথম বছর খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
চারা রোপণের ১১ মাস পর ২০১৩ সালের ১ ফেব্র“য়ারি মাসে প্রথম গাছ ছেঁটে দিলে প্রথমবারের মত মোট গাছের মধ্যে ১০টি গাছে আঙ্গুর ধরে। প্রতিটি গাছ থেকে এ বছর এক কেজি করে আঙ্গুর উৎপাদিত হয়। ২০১৪ সালে ফেব্র“য়ারি মাসে দ্বিতীয়বারের মত গাছ ছেঁটে দিলে পুনরায় আঙ্গুর ধরে। এ পর্যায়ে প্রায় একশ’টি গাছে আঙ্গুর ধরেছে। প্রতিটি গাছে এই পর্যায়ে কমপক্ষে ৩ কেজি করে মোট ৩শ’ কেজি আঙ্গুর উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন তিনি। বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজি ২৫০ টাকা হারে উৎপাদিত আঙ্গুরের বিক্রি মূল্য পাবেন ৭৫ হাজার টাকা।
উজ্জ্বল জানিয়েছেন, আগামী ২-১ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৫ সাল নাগাদ তার বাগানের আঙ্গুরের উৎপাদন আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পাবে। বছরে দুই বার আঙ্গুর উৎপাদিত হবে। প্রতিবার প্রতিটি গাছ থেকে ২০ কেজি করে মোট ৪০ কেজি আঙ্গুর উৎপাদিত হবে। সে হিসেবে ৩শ’টি গাছে প্রতি পর্যায়ে ৬ হাজার কেজি করে বছরে দু’টি ধাপে ১২ হাজার কেজি আঙ্গুর উৎপাদিত হবে। আঙ্গুরের বর্তমান বাজার অব্যাহত থাকলেও তখন উৎপাদিত আঙ্গুরের মূল্য পাবেন ৩০ লাখ টাকা। আর আঙ্গুরের মূল্য বৃদ্ধি হলে বিক্রিত মূল্য আরও বেড়ে যাবে। এ থেকে পরিচর্যা, সার ফসফেট, লেবার খরচ ইত্যাদি বাবদ আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা বাদ দিলে বছরে নীট মুনাফা করবেন প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা বলে উজ্জ্বল জানিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম নুরুজ্জামান মন্ডল জানিয়েছেন, আঙ্গুর চাষ করে সালাহউদ্দিন উজ্জ্বল এক অসাধ্য সাধন করেছেন। উন্নতজাতের আঙ্গুর চাষে এই সফলতা বিরল। উজ্জ্বলের বাগানের আঙ্গুর আকারে যেমন বড় তেমনই খেতে সুস্বাদু ও মিষ্টি। উজ্জ্বলের মত এ ধরনের কৃষিভিত্তিক প্রকল্প গড়ে তুলে শিক্ষিত বেকার যুবকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। তাকে অনুসরণ করলে অনেকেই সফল হতে পারবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।